নেপালে ভূমিকম্পে অন্তত ১১৯ জনের মৃত্যু

ভূমিকম্পের আঘাতের পর ধ্বংসস্তূপ। ছবি: এএফপি

নেপালে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে অন্তত ১১৯ জন মারা গেছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০০ জন।

আজ শনিবার বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে এতে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত অন্তত ১১৯ জন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০০ জন। বর্তমানে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ দশমিক ছয় মাত্রার ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১৮ কিলোমিটার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ভূমিকম্পের আঘাতে ধসে পড়া ঘর-ভবন থেকে জীবিতদের বের করার চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা।

আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: এএফপি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

নেপালের করনালি প্রদেশ পুলিশের মুখপাত্র গোপাল চন্দ্র ভট্টরাই এএফপিকে বলেছেন, উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

'ভূমিকম্পে কিছু রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আমরা বিকল্প পথে ওই এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছি', বলেন তিনি।

ভারতীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর লখনউ ও পাটনায় শুক্রবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

এর কয়েক ঘণ্টা পর একই এলাকায় ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পন হয় বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস, যার মাত্রা ছিল চার।

২০১৫ সালে নেপালে সাত দশমিক আট মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় নয় হাজার মানুষ মারা যায় এবং ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়। এতে প্রায় আট হাজার স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে যায়, যার ফলে শ্রেণিকক্ষবিহীন হয়ে পড়ে প্রায় ১০ লাখ শিশু। সেই ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যায় স্মৃতিসৌধ ও রাজপ্রাসাদসহ কয়েকশ দর্শনীয় স্থান।

গত বছরের নভেম্বরে জাজারকোটের নিকটবর্তী দোতি জেলায় পাঁচ দশমিক ছয় মাত্রার ভূমিকম্পে ছয়জনের মৃত্যু হয়।

Comments

The Daily Star  | English
zubuyer

Bangladeshi photographer captures stunning nebulae with self-made telescope

Astrophotographer Zubuyer Kaolin captures a stunning Orion Nebula image with a self-built telescope

1h ago