লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজে হামলার দাবি হুতিদের, পাল্টা হামলা যুক্তরাষ্ট্রের

হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর কেওআই নামের জাহাজটি থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)

লোহিত সাগরের মূর্তিমান আতঙ্ক হুতিরা এবার মার্কিন এক বাণিজ্যিক জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে।

এর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ১০টি ড্রোনের সাহায্যে হুতিদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আজ বৃহস্পতিবার বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হুতিরা বলছে, জাহাজটির নাম কেওআই, যা যুক্তরাষ্ট্র-পরিচালিত। 

তবে মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে জানিয়েছে, ইয়েমেনের এডেন বন্দরের দক্ষিণে পরিচালিত একটি জাহাজে বিস্ফোরণের তথ্য পাওয়া গেছে।

যদিও জাহাজটির নামসহ বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেওআই একটি লাইবেরিয়ান-পতাকাবাহী কন্টেইনার জাহাজ, যা যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ওসিওনিক্স সার্ভিসেসের মাধ্যমে পরিচালিত। একই কোম্পানির জ্বালানি তেলবাহী জাহাজ মার্লিন লুয়ান্ডা গত শনিবার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে লোহিত সাগরে চলমান বাণিজ্যিক জাহাজে একেরপর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। বর্তমানে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক জলপথ লোহিত সাগরে তারা মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বুধবার জানান, মার্কিন বাণিজ্যিক জাহাজ কেওআই'র ওপর কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, 'জাহাজটি ইসরায়েলের দিকে যাচ্ছিল।'

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এডেন উপসাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে গুলি করে ইরানের তিনটি ড্রোন এবং হুতিদের একটি জাহাজ বিধ্বংসী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে। এসময় হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

How Chattogram built its economic legacy

Picture a crowded harbour where the salty seabreeze carries whispers of far-off lands, where merchants of all creed and caste haggle over silks and spices, and where towering ships of all varieties – Chinese junks, Arab dhows, and Portuguese carracks – sway gently in the waters of the Bay of Bengal.

14h ago