মোদিকে ক্ষমতায় রাখতে নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডু যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন

নিতিশ কুমার, নরেন্দ্র মোদি ও চন্দ্রবাবু নাইডু

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এই দফায় ক্ষমতায় যেতে এনডিএ জোটের শরিকদের সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হবে। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন অন্ধ্রপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) চন্দ্রবাবু নাইডু এবং বিহারের জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) নীতীশ কুমার।

ইতোমধ্যে কংগ্রেস তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে বলেও গণমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে।

ভারতের স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী বিজেপি ২৪৩ আসনে এগিয়ে ছিল। বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এগিয়ে ছিল ৩০২ আসনে। তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে আছে ২২২ আসনে। এর মধ্যে জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস পেতে পারে ৯৫টি আসন।

ভারতে ক্ষমতায় যেতে প্রয়োজন ২৭২ আসন। হিসাব বলছে, মোদিকে এই সংখ্যায় পৌঁছাতে জোটের সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হবে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি যেখানেই এককভাবে ৩০৩টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করেছিল, এবার জোট সরকার গড়া ছাড়া উপায় নেই। আর সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন নিতিশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডু।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী নীতীশের দল জেডিইউ ১৬টি আসনে এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপি ১৭টি আসনে এগিয়ে আছে। কোনোভাবে তারা এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে গেলেই চরম বিপাকে পড়তে হবে মোদিকে। সেক্ষেত্রে এনডিএ জোটের আসন সংখ্যা কমে হয়ে যাবে ২৬৯। সেই ক্ষেত্রে অবশ্য জেডিইউ ও টিডিপি ইন্ডিয়া জোটে যোগ দিলেও রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন জোট সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন সংখ্যায় পৌঁছাতে পারবে না।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এনডিএ জোটে ঐক্য ধরে রাখতে তৎপর হয়ে উঠেছেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। ইতোমধ্যে তারা নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।

কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোট পূর্বানুমানের চেয়েও ভালো ফলাফল করায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠছে লোকসভা নির্বাচনের সমীকরণ।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago