ইউক্রেনের তীব্র হামলার মুখে রাশিয়ার বেলগোরোদে জরুরি অবস্থা

ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে ইউক্রেনের হাউইটজার কামান মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি: রয়টার্স
ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে ইউক্রেনের হাউইটজার কামান মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে অবস্থিত রুশ প্রদেশ বেলগোরোদে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বেলগোরোদের গভর্নর জানিয়েছেন, ইউক্রেনের তীব্র হামলার মুখে এই প্রদেশের পরিস্থিতি এখন 'অত্যন্ত জটিল'।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

গভর্নর ভিয়াচেসলাভ গ্লাদকভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে বলেন, 'ইউক্রেনের সেনাবাহিনী কামান হামলা চালিয়ে বেলগোরোদ প্রদেশের পরিস্থিতিকে অত্যন্ত জটিল করে তুলেছে। বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে, বেসামরিক মানুষ হতাহত হচ্ছেন।'

তিনি জানান, আজ বুধবার থেকে 'প্রাদেশিক পর্যায়ে জরুরি অবস্থা চালু থাকবে। আমরা সরকারি কমিশনকে কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমেও এ অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারির অনুরোধ জানিয়েছি।'

ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চল ও রাশিয়ার কুরস্কের পাশেই বেলগোরোদের অবস্থান। ইতোমধ্যে কুরস্কে অভিযান চালিয়ে এক হাজার বর্গকিমি রুশ ভূখণ্ড দখলের দাবি করেছে ইউক্রেন।

রুশ ভূখণ্ডে হামলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ইউক্রেনীয় ড্রোন। ছবি: রয়টার্স
রুশ ভূখণ্ডে হামলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ইউক্রেনীয় ড্রোন। ছবি: রয়টার্স

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রুশ ভূখণ্ড এভাবে আক্রান্তের কোনো নজির নেই।

গ্লাদকভ জানান, কামানের গোলার পাশাপাশি বেলগোরোদে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলাও হয়েছে।

তিনি জানান, 'বেলগোরোদের দুইটি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। তবে কেউ হতাহত হননি।

'শেবেকিনোতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন বেশ কয়েকবার ড্রোন হামলার শিকার হয়। একটি অ্যাপার্টমেন্টে আগুন ধরে যেয়ে স্ল্যাব ধসে পড়ে। গ্যাস সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়', যোগ করেন তিনি। 

গত সপ্তাহে কুরস্কের গভর্নর সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করেন। তিনি জানান, ইউক্রেনের বাহিনী রাশিয়ার ভেতরে ১২ কিমি (সাড়ে ৭ মাইল) ঢুকে পড়েছে এবং ২৮টি শহর ও গ্রামের দখল নিয়েছে।

বেলগোরোদ থেকে পালিয়ে আসা রুশ নাগরিকদের অস্থায়ী আবাস। ছবি: রয়টার্স
বেলগোরোদ থেকে পালিয়ে আসা রুশ নাগরিকদের অস্থায়ী আবাস। ছবি: রয়টার্স

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার রুশ সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীদের 'লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার' নির্দেশ দেন এবং জানান, 'ইউক্রেনকে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।'

প্রায় আট দিন ধরে চলা কুরস্ক অভিযানের ফলে কুরস্ক থেকে প্রায় এক লাখ ২১ হাজার মানুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এসব হামলায় ১২ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত ও ১২১ জন আহত হয়েছেন বলে প্রাদেশিক গভর্নর আলেক্সেই স্মিরনভ নিশ্চিত করেছেন।

কুরস্ক কর্তৃপক্ষ সোমবার ঘোষণা দিয়েছে, বেলোভস্কি জেলা থেকে তারা সবাইকে সরিয়ে নিচ্ছে। সেখানে ১৪ হাজার মানুষের বসবাস।

প্রতিবেশী প্রদেশ বেলগোরোদ জানিয়েছে, তারা সীমান্তবর্তী জেলা ক্রাসনোয়ারুঝস্কি থেকে সবাইকে সরিয়ে নিচ্ছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

6 killed as microbus plunges into canal in Noakhali

The accident took place around 5:40am in Chandraganj Purba Bazar area

7m ago