সম্ভবত এটিই গাজায় যুদ্ধবিরতির শেষ সুযোগ: ব্লিঙ্কেন

ব্লিঙ্কেন বলেন, চলমান আলোচনা ‘খুব সম্ভবত যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি বাস্তবায়নের শেষ সুযোগ’।
তেল আবিবে পৌঁছে উড়োজাহাজ থেকে নামছেন ব্লিঙ্কেন। ছবি: রয়টার্স
তেল আবিবে পৌঁছে উড়োজাহাজ থেকে নামছেন ব্লিঙ্কেন। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের এটি নবম মধ্যপ্রাচ্য সফর। সোমবার তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ অন্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন। তারপর গাজায় যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশরে যাবেন তিনি।

আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি ও ডয়চে ভেলে।

ব্লিঙ্কেন বলেন, চলমান আলোচনা 'খুব সম্ভবত যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি বাস্তবায়নের শেষ সুযোগ'।

'আমরা এখন একটি ক্রান্তিলগ্নে রয়েছি—জিম্মিদের বাড়ি ফিরিয়ে আনা, যুদ্ধবিরতি চালু ও সবাইকে টেকসই শান্তি ও নিরাপত্তার পথে নিয়ে আসার এটাই সবচেয়ে সেরা এবং সম্ভবত সর্বশেষ সুযোগ এটি', যোগ করেন তিনি।

ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে সফররত এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, তাদের মনে হচ্ছে, এখন চুক্তির ক্ষেত্রে যে বিরোধ আছে তা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। তাই কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত।

যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশর যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য মধ্যস্থতা করছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাদের চেষ্টা সফল হয়নি।

রোববার নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার বৈঠকে জানিয়েছেন, কিছু ক্ষেত্রে ইসরায়েল নমনীয় হতে পারে, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তাদের অবস্থানের বদল হবে না।

তিনি বলেছেন, 'আমরা (হামাসের সঙ্গে) আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু এখনো পর্যন্ত ঐক্যমত্যে পৌঁছাইনি।'

হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ছবি: সংগৃহীত
হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ছবি: সংগৃহীত

'যুদ্ধবিরতির আলোচনা খুবই জটিল। হামাস এখনো দোহায় আলোচনার জন্য কোনো প্রতিনিধি পাঠায়নি। তাই ইসরায়েল নয়, হামাসের ওপর বরং চাপ সৃষ্টি করা উচিত। আমরা আমাদের নীতি থেকে সরতে চাই না। এটা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য জরুরি', যোগ করেন নেতানিয়াহু।

গাজায় এখনো ১১০ জন ইসরায়েলি বন্দি আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। গত নভেম্বর যুদ্ধবিরতির সময় একশ বন্দি মুক্তি পেয়েছিলেন।

হামাসের অভিযোগ

হামাস রোববার জানিয়েছে, নেতানিয়াহু সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি নতুন নতুন শর্ত আরোপ করছেন।

ইতোমধ্যে ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে। হামাসের দাবি, মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করছে। কিন্তু নেতানিয়াহু তা বানচাল করে দিচ্ছেন। গাজায় বন্দিদের যদি কিছু হয়, তাহলে তার জন্য নেতানিয়াহু দায়ী থাকবেন।

গত কয়েকদিন ধরে ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দোহায় কথা বলছেন মধ্যস্থতাকারী দেশের প্রতিনিধিরা। কিন্তু হামাস জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর বারবার নতুন নতুন প্রস্তাব দিচ্ছেন।

Comments