গাজার ‘নিরাপদ অঞ্চলের’ আশ্রয়শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৪০

দক্ষিণ গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আল মাওয়াসি আশ্রয়শিবিরে তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করছিলেন। ফাইল ছবি: রয়টার্স (২৫ এপ্রিল, ২০২৪)
দক্ষিণ গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আল মাওয়াসি আশ্রয়শিবিরে তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করছিলেন। ফাইল ছবি: রয়টার্স (২৫ এপ্রিল, ২০২৪)

গাজার এক আশ্রয়শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত ও ৬০ জন আহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজার অন্যান্য অংশ থেকে পালিয়ে আসা ফিলিস্তিনিরা আল-মাওয়াসি নামের এই আশ্রয় শিবিরে অবস্থান করছিলেন। দক্ষিণ গাজায় স্থল অভিযানের শুরুতে এ অঞ্চলকে 'নিরাপদ' বলে ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। 

আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা। 

মঙ্গলবার ভোরে খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকার এই শিবিরের অন্তত ২০টি তাঁবুতে হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ।

আল-মাওয়াসি আশ্রয়শিবিরের প্রবেশপথে যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ইউকে-মেড পরিচালিত একটি ফিল্ড হাসপাতাল আছে। এই হাসপাতালের কাছেই হামলার ঘটনা ঘটে।

আগেও আল-মাওয়াসি ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফাইল ছবি: রয়টার্স (জুলাই ২০২৪)
আগেও আল-মাওয়াসি ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফাইল ছবি: রয়টার্স (জুলাই ২০২৪)

গাজার রাফা ও খান ইউনিসে স্থল অভিযান চালানোর সময় আল-মাওয়াসিকে 'নিরাপদ অঞ্চল' ঘোষণা করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর অনেক ফিলিস্তিনি নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে উপকূলীয় এই এলাকায় আশ্রয় নেন। এখানকার তাঁবুগুলোয় তাঁরা গাদাগাদি করে অবস্থান করছেন।

উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তুপ থেকে মানুষকে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। বিমান হামলায় মাটির ওপর থেকে ৩০ ফিট গভীর পর্যন্ত গর্ত তৈরি হয়েছে বলে তারা আল জাজিরাকে জানান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার পর এলাকাটিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। যখন তাঁবুগুলো আগুনে পুড়ছিল, তখন আকাশে চক্কর দিচ্ছিল ইসরায়েলি গোয়েন্দা উড়োজাহাজ।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, 'এটা গাজার যুদ্ধে সবচেয়ে ঘৃণ্য গণহত্যার একটি।'

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খান ইউনিসের নিরাপদ অঞ্চলের ভেতর থেকে 'উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হামাস যোদ্ধা' জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করছিল।

ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ এক্সে পোস্ট করে জানান, '(হামাসের) জঙ্গিরা সেখানে বসে (ইসরায়েলি) সেনা ও ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জঙ্গি হামলা পরিচালনা করছিলেন।'

'হামলার আগে বেসামরিক ব্যক্তিদের ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি এড়াতে অসংখ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যার মধ্যে আছে সুনির্দিষ্ট ও নিখুঁত গোলাবারুদের ব্যবহার, আকাশপথে নজরদারি ও অন্যান্য উদ্যোগ।'

আগেও আল-মাওয়াসি ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফাইল ছবি: রয়টার্স (জুলাই ২০২৪)
আগেও আল-মাওয়াসি ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফাইল ছবি: রয়টার্স (জুলাই ২০২৪)

হামাস ইসরায়েলের এই দাবি অস্বীকার করে জানিয়েছে, ঐ শিবিরে তাদের কোন যোদ্ধা ছিলেন না।

'ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের কুৎসিত অপরাধের স্বপক্ষে যুক্তি দেওয়ার জন্য মিথ্যা বলছে', যোগ করে হামাস।

এই বিবৃতিতে হামাস আরও জানায়, 'আমরা অসংখ্যবার জানিয়েছি, আমাদের কোনো সদস্য বেসামরিক ব্যক্তিদের সঙ্গে অবস্থান করছেন না বা সামরিক লক্ষ্য পূরণে ব্যবহার করছেন না।'

Comments

The Daily Star  | English
Prof Yunus in Time magazine's 100 list 2025

Prof Yunus named among Time’s 100 Most Influential People of 2025

A tribute article on Prof Yunus was written by Hillary Clinton for the magazine

2h ago