রাফায় আগ্রাসন চালালে ইসরায়েলে অস্ত্রের চালান বন্ধ: বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফাইল ছবি রয়টার্স

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাফায় বড় ধরনের আগ্রাসনের নির্দেশ দিলে ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্রের চালান বন্ধ করে দেবেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

গতকাল বুধবার সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রথমবার এ কথা বলেন ইসরায়েলের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।  

সিএনএনের এরিন বার্নেটকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে ২০০০ হাজার পাউন্ড বোমার একটি চালান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব বোমা এবং অন্যান্য উপায়ে গাজায় বেসামরিক মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি এটা স্পষ্ট করেছি যে যদি তারা (ইসরায়েল) রাফায় যায়, আমি তাদের সেই অস্ত্র সরবরাহ করব না যা দিয়ে সেই শহরের সমস্যা সমাধানে তারা এটি ব্যবহার করবে।

গাজায় মানবিক সংকটের মধ্যে অস্ত্রের চালান সীমিত করতে নিজ দলের সদস্যসহ অন্যদের তীব্র চাপের মুখে ছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

এতদিন এই চাপের মধ্যেই ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়ে এসেছে বাইডেন প্রশাসন।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, আমরা ইসরায়েলের নিরাপত্তা থেকে সরে আসছি না। তবে আমরা ওই এলাকায় যুদ্ধ চালানোর ইসরায়েলের ক্ষমতা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি।

বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আয়রন ডোম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমসহ ইসরায়েলকে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখলেও রাফায় বড় ধরনের স্থল হামলা শুরু হলে অন্যান্য চালান বন্ধ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আয়রন ডোম এবং সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা হামলার জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে ইসরায়েল যেন নিরাপদ থাকে তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ অব্যাহত রাখব। কিন্তু এটা ঠিক, আমরা অস্ত্র ও গোলাবারুদের সরবরাহ করব না।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার জেরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতা থেকে বাঁচতে উত্তরের শহর রাফায় আশ্রয় নিয়েছে ১০ লাখ মানুষ। যেখানে খাবারের তীব্র সংকটসহ মানবিক সংকটে আছে মানুষ।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

5h ago