মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ চায় ইসরায়েল, চরম পরিণতির হুমকি ইরানের প্রেসিডেন্টের

তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা শান্তিতে বসবাস করতে চাই। এটা ইসরায়েল যে সর্বাত্মক যুদ্ধ চায়।
নিউইয়র্কে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েল এখন লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইরানকেও টেনে এনে মধ্যেপ্রাচ্যজুড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করতে চায় বলে মন্তব্য করেছে তেহরান।

সোমবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান নিউইয়র্কে বলেন, এমন যুদ্ধ হলে পরিস্থিতি আর কখনোই আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যাবে না।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট এখন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার কারণ হতে চাই না। কারণ এর পরিণতিতে যা হবে তা অপূরণীয়।

তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা শান্তিতে বসবাস করতে চাই। এটা ইসরায়েল যে সর্বাত্মক যুদ্ধ চায়।

পেজেশকিয়ান তার দেশে তুলনামূলকভাবে মধ্যপন্থী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তিনি গত জুলাই মাসে একটি বাস্তববাদী পররাষ্ট্রনীতি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হন। তিনি গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় নীরবতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা করেছেন।

আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের সমাধানের আহ্বান জানান পেজেশকিয়ান।

ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘাতে ইরান অংশ নেবে কিনা জানতে চাইলে পেজেশকিয়ান বলেন, 'আমরা যেকোনো গোষ্ঠীকে রক্ষা করব যারা তাদের অধিকার এবং নিজেদের রক্ষার জন্য লড়ছে।'

গতকাল সোমবার থেকে লেবাননে বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েল বলেছে, হিজবুল্লাহর প্রায় ১৬০০ অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৪৯২ জন নিহত ও কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।

হিজবুল্লাহ সক্রিয় রয়েছে, এমন এলাকা থেকে লেবাননের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। লেবাননে বাসিন্দাদের মোবাইল ফোনে টেক্সট ও ভয়েস মেসেজে এই কথা বলেছে ইসরায়েল। অব্যাহত হামলার মুখে দক্ষিণ লেবানন থেকে হাজারো লোকজনকে সরে যেতে দেখা গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus’ economic gambit paying off

Two months ago, as Professor Muhammad Yunus waded into Bangladesh’s unprecedented political turmoil, he inherited economic chaos by default.

5h ago