আল জাজিরার বিশ্লেষণ

লেবাননে কী চায় ইসরায়েল?

লেবাননের পশ্চিমাঞ্চলে সমুদ্রের ধারে একটি বাস্তুচ্যুত পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। ছবি: রয়টার্স
লেবাননের পশ্চিমাঞ্চলে সমুদ্রের ধারে একটি বাস্তুচ্যুত পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। ছবি: রয়টার্স

গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে সংঘাতের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধেও পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধে জড়িয়েছে ইসরায়েল। তবে বিশ্লেষকদের মতে, শুধু হিজবুল্লাহকে নির্মূল করেই থামবে না ইসরায়েল। তাদের লক্ষ্য আরও বড়।  

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

সাবেক মার্কিন কূটনীতিক নাবিল খৌরি বর্তমানে বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান আরব সেন্টারে নন-রেসিডেন্ট সিনিয়র ফেলো হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি মত দেন, লেবাননে ইসরায়েলের দীর্ঘ-মেয়াদী লক্ষ্য রয়েছে, যা শুধু হিজবুল্লাহকে পেছনে হটতে বাধ্য করায় সীমাবদ্ধ থাকবে না।

ইসরায়েলি হামলার পর বৈরুতের রফিক হারারি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন। ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলি হামলার পর বৈরুতের রফিক হারারি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন। ছবি: রয়টার্স

আল জাজিরাকে খৌরি বলেন, '২০০৬ সালে (লেবাননে আগ্রাসনের সময়য়) তাদের লক্ষ্য খুবই সীমিত ছিল। তারা শুধু হিজবুল্লাহর খানিকটা ক্ষতি করে তাদেরকে পিছু হটাতে চেয়েছিল। সেই যুদ্ধের স্থায়িত্বও খুব বেশিদিন ছিল না। এবারের হামলা তীব্রতাও তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। এবার তারা পুরো লেবাননকেই লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্ধারণ করেছে। আগের বারের মতো একটি অঞ্চলে তাদের হামলা সীমাবদ্ধ নেই।'

'আমার ধারণা, এবার তারা লেবাননের ক্ষমতার পট-পরিবর্তন করতে চায়। রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অচলাবস্থার কারণে দেশটিতে এ মুহূর্তে কোনো প্রেসিডেন্ট নেই। একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশ চালাচ্ছে। আমার ধারণা তারা এমন কাউকে এই পদে বসাতে চাইবে, যিনি তাদের মিত্র হবেন এবং ইসরায়েলের প্রতি বৈরি মনোভাব দেখাবেন না', যোগ করেন তিনি।

খৌরি যোগ করেন, নেতানিয়াহু ও তার সরকারের লেবাননে 'এমন কি কোনো সাময়িক যুদ্ধবিরতিতেও সম্মত হওয়ার বিষয়ে কোনো আগ্রহ নেই'।

 

Comments

The Daily Star  | English
AI-manipulated image of Shahbagh engineering students’ protest, DMP claims

Debunking DMP claim, frame by frame

The Daily Star photographer, who was present at the scene, described the incident as it unfolded

3h ago