কমলা–ট্রাম্পের শেষ মুহূর্তের প্রচারণার কেন্দ্রে ‘দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য’

ট্রাম্প-কমলা দ্বৈরথের শেষ অধ্যায় চলছে। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্য ডেমোক্র্যাটিক না রিপাবলিকান পার্টিকে সমর্থন করে, তা মোটামুটি জানা যায়। যার ফলে, কয়েকটি সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যই নির্বাচনের ফল নির্ধারণ করবে বলে বিশ্লেষকদের মত।

অবধারিতভাবেই, দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের শেষ সময়ের প্রচারণার কেন্দ্রে রয়েছে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো। 

রোববার পেনসিলভানিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা ও জর্জিয়ায় প্রচার চালিয়েছেন ট্রাম্প। এই তিন অঙ্গরাজ্য যুক্তরাষ্ট্রের ভোট মানচিত্রে সবচেয়ে বড় দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর মধ্যে পড়ে।

এদিকে আরেক দোদুল্যমান রাজ্য মিশিগানের কৃষ্ণাঙ্গ চার্চে প্রচারণা চালিয়েছেন কমলা। সেখানে তিনি বলেন, এই নির্বাচনের ফলাফল পরবর্তী কয়েক প্রজন্মের ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করবে। তাই শুধু কথা বা প্রার্থনা না, কাজও করতে হবে।

কমলা যা বললেন

নির্বাচনী প্রচারণায় কমলা হ্যারিস। ছবি: রয়টার্স
নির্বাচনী প্রচারণায় কমলা হ্যারিস। ছবি: রয়টার্স

চার্চের সমাবেশে কমলা বলেন, 'ঈশ্বর আমাদের জন্য যা ভেবে রেখেছেন, তাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে আমাদের কাজ করে দেখাতে হবে। গণতন্ত্রের জন্য, আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য কাজ করে যেতে হবে।'

ট্রাম্প দেশকে বিভক্ত করছেন, এই ইঙ্গিত দিয়ে কমলা বলেন, 'ঈশ্বরের পরিকল্পনায় এই বিভাজন রোধ করার যথেষ্ট শক্তি রয়েছে। মঙ্গলবারের নির্বাচনের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা, ভয় ও ঘৃণাকে থামানোর সুযোগ পাবেন আপনারা।'

কমলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি ডাকযোগে ভোট দিয়েছেন। তার সেই ভোট এখন ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে যাচ্ছে।

প্রচারণায় কমলা আরও বলেন, 'আপনাদের স্বরই আপনাদের ভোট। আপনাদের ভোট মানে আপনাদের ক্ষমতা।'

ট্রাম্প যা বললেন

নির্বাচনী প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
নির্বাচনী প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টি নামের একটি দুর্নীতিগ্রস্ত মেশিনের বিরুদ্ধে লড়ছেন। নির্বাচিত হলে দেশের পুরো ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি।

প্রচারণায় ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, 'আমি (সীমান্তে) অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেব। জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের কারণে বিশাল সংখ্যায় অপরাধীরা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকছে।'

সীমান্ত প্রসঙ্গে ট্রাম্প সমাবেশে জানতে চান, 'কখন পরিস্থিতি ভালো ছিল? এখন না কি চার বছর আগে?'

নির্বাচিত হলে দেশকে 'নতুন স্বর্ণযুগে' নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প। সাথে অভিযোগ করেন, আগের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা 'চুরি করে জিতেছিল'।

Comments

The Daily Star  | English

US-China tariff war punishes Bangladesh

Bangladesh is one of those nations that face pressure from Washington to decouple their manufacturing industries from Chinese suppliers, according to officials familiar with trade negotiations.

13h ago