৪০ বছর পূর্ণ করল জাপানের ‘ড্রাগন বল’

ড্রাগন বলের ৪০ বছরে পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত দাইমাৎসুরি উৎসব। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ড্রাগন বলের ৪০ বছরে পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত দাইমাৎসুরি উৎসব। ফাইল ছবি: রয়টার্স

জাপানের বিখ্যাত মাঙ্গা, অ্যানিমে ও ভিডিও গেম ফ্র্যাঞ্চাইজি 'ড্রাগন বল' আজ ৪০ বছর পূর্ণ করেছে। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ড্রাগন বল ভক্তরা এই বর্ষপূর্তি উদযাপন করছে।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপির।

১৯৮৪ সালের ২০ নভেম্বর প্রথম মাঙ্গা সিরিয়াল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ড্রাগন বল। সন গোকু নামের একটি চরিত্র দিয়ে শুরু হয় মাঙ্গার গল্প, যে পৃথিবীকে রক্ষা করতে ড্রাগন সম্বলিত জাদুকরী বল সংগ্রহ করে।

জাপানের সংস্কৃতিতে ড্রাগন বলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ফাইল ছবি: এএফপি
জাপানের সংস্কৃতিতে ড্রাগন বলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ফাইল ছবি: এএফপি

এই মাঙ্গার প্রকাশক শুয়েশা জানায়, বিশ্বব্যাপী অন্তত ২৬ কোটি কপি বিক্রি হয়েছে ড্রাগন বলের কমিক বই।

ড্রাগন বলের স্রষ্টা আকিরা তোরিয়ামা গত মার্চে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে বিশ্বব্যাপী ভক্তদের পাশাপাশি অনেক রাষ্ট্রপ্রধানও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

অ্যানিমে হিসেবে ১৯৮৬ সালে প্রথম টিভিতে আত্মপ্রকাশ করে ড্রাগন বল। এরপর বিভিন্ন ভাষায় ডাব হয়ে বিভিন্ন দেশে প্রচারিত হয় এই অ্যানিমে।

এই মাঙ্গার পরবর্তী ধাপের নাম 'ড্রাগন বল জি'। এই নামে মাঙ্গাটির বৈশ্বিক জনপ্রিয়তা নতুন উচ্চতায় যায়। মুভি, ভিডিও গেম এবং বিভিন্ন স্পিন-অফ তৈরি হয় এই মাঙ্গা থেকে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ প্রায় আড়াই লাখ ফলোয়ার সম্বলিত অ্যানিমে ফ্যান অ্যাকাউন্ট ক্যাটসুকা এক পোস্টে লিখেন, 'গোকু এবং তার সকল বন্ধুদের জন্মদিনের শুভেচ্ছা। এবং আকিরা তোরিয়ামাকে চিরন্তন বিদায়'। 

ড্রাগন বলের স্রষ্টা আকিরা তোরিয়ামা। ফাইল ছবি: এএফপি
ড্রাগন বলের স্রষ্টা আকিরা তোরিয়ামা। ফাইল ছবি: এএফপি

১৯ বছর বয়সী ড্রাগন বল ভক্ত সুতোমু তানাকা এএফপিকে বলেন, 'এটি এমন একটি মৌলিক কাজ যা বন্ধুত্বকে কাজে লাগিয়ে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়কে উদযাপন করে। গল্পের সরলতা এই সিরিজের সাফল্যের পিছনে একটি অন্যতম কারণ।'

এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সর্বশেষ অ্যানিমে সিরিজ, 'ড্রাগন বল দাইমা' গত মাসে সম্প্রচার শুরু করেছে। সৌদি আরব বিশ্বের প্রথম 'ড্রাগন বল থিম পার্ক' তৈরির ঘোষণা দিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Some banks hit by capital squeeze

State-owned, Islamic Shariah-based, and specialised banks have seen deeper deterioration in their financial positions, whereas private commercial banks and foreign banks remain on firmer ground.

9h ago