আন্তর্জাতিক আদালতের রায় উড়িয়ে দিলেন নেতানিয়াহু

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই রায় ইহুদিবিদ্বেষী। অন্যদিকে ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক আদালতের রায় মানবেন বলে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এছাড়াও ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধেও একই পরোয়ানা জারি হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত হামাসের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে। হামাসের সেনা প্রধান হোমাম্মেদ দেইফসহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ, এই ব্যক্তিদের যে কোনো দেশ গ্রেপ্তার করতে পারে। তবে ইসরায়েলের দাবি, জুলাই মাসে সামরিক অভিযানে নিহত হয়েছেন দেইফ।

গাজায় যেভাবে 'হত্যাযজ্ঞ' চালানো হয়েছে, তা নিয়ে রায় দিতে গিয়েই বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ।

নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বক্তব্য

ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। ফাইল ছবি: রয়টার্স

এদিকে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, এই রায়ের কোনো গুরুত্ব নেই। তিনি একে ইহুদিবিদ্বেষী রায় বলে দাবি করেছেন।

সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ট বলেছেন, 'হেগের আদালতের এই বিচার স্মৃতিতে থেকে যাবে। এই রায় ইসরায়েল রাষ্ট্র এবং হত্যাকারী হামাস নেতাদের একই আসনে বসিয়েছে। এই রায় হামাসের সহিংসতাকে সমর্থন করেছে। তারা যেভাবে শিশুদের হত্যা করেছে, নারীদের নির্যাতন করেছে, বৃদ্ধদের বিছানা থেকে তুলে নিয়ে গেছে, তা সমর্থন পেলো এই রায়ে।'

গ্যালান্টের বক্তব্য, এই রায় আত্মরক্ষার অধিকারকে মর্যাদা দেয়নি।

কানাডার অবস্থান

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ফাইল ছবি: রয়টার্স
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ফাইল ছবি: রয়টার্স

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, তিনি এই রায়কে সম্মান জানাবেন। টেলিভিশনের একটি সাক্ষাৎকারে ট্রুডোকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়কে তিনি সম্মান জানাবেন। কারণ কানাডা আন্তর্জাতিক আইন মানতে দায়বদ্ধ।

যুক্তরাজ্যের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারাও আন্তর্জাতিক আইন এবং আদালতকে সম্মান করেন। তবে নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যুক্তরাজ্য গ্রহণ করছে কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থান

ইইউর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান জোসেপ বোরেল। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইইউর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান জোসেপ বোরেল। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বরেল ইইউর ২৭টি দেশের প্রধানকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, তারা আন্তর্জাতিক আদালতের রায় মানতে দায়বদ্ধ। আন্তর্জাতিক আদালতের রায় ঘোষণার পরই এই মন্তব্য করেছেন বরেল।

এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যেই হিজবুল্লার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে ইসরায়েলে গেছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা। যুদ্ধবিরতি নিয়ে এর আগেও আলোচনা হয়েছে। কিন্তু বারবার তা ভেস্তে গেছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখনো তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

2h ago