ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যের পর এবার ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে কানাডা

কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। ছবি: এএফপি
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। ছবি: এএফপি

সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের পরবর্তী সভায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কানাডা।

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

গতকাল বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বিষয়টি উল্লেখ করার পর ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি, ইসরায়েলও এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

কার্নি জানান, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত নিরসনে 'দুই-রাষ্ট্র' সমাধানে তিনি বিশ্বাস রাখছেন।

জিকিম সীমান্ত ক্রসিং হয়ে উত্তর গাজায় ত্রাণ প্রবেশের পর ফিলিস্তিনিরা ময়দার বস্তা সংগ্রহ করছেন। ছবি: এএফপি (২৭ জুলাই, ২০২৫)
জিকিম সীমান্ত ক্রসিং হয়ে উত্তর গাজায় ত্রাণ প্রবেশের পর ফিলিস্তিনিরা ময়দার বস্তা সংগ্রহ করছেন। ছবি: এএফপি (২৭ জুলাই, ২০২৫)

'২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে চায় কানাডা', যোগ করেন কার্নি।

এই ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের জোট জি-৭ এর তৃতীয় সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চলেছে কানাডা। সাম্প্রতিক সময়ে অপর দুই সদস্য দেশ ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যও সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।

গাজার বেসামরিক মানুষ চরম দুর্দশায় আছে এবং তাদের দুর্ভোগ কমার কোনো লক্ষণ নেই। যার ফলে, 'শান্তির পক্ষে সমন্বিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নিতে দেরি করার আর কোনো সুযোগ নেই', যোগ করেন কার্নি।

ইসরায়েল কানাডার ওই ঘোষণার প্রতি চরম নিন্দা জানিয়ে বলেছে এটি 'আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চালু হওয়া একটি বিকৃত প্রচারণা'।

ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, এই সিদ্ধান্তের জেরে অটোয়ার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে।

ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প লেখেন, 'ওয়াও! কানাডা এইমাত্র পৃথক ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ধারণার প্রতি সমর্থন জানানোর ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে তাদের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করার বিষয়টি আমাদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে পড়ল।'

জাতিসংঘের বৈঠকের আগে কানাডার অবস্থান বদলাতে পারে কী না, এ প্রশ্নের জবাবে কার্নি বলেন, 'এরকম একটি সম্ভাবনা রয়েছে, তবে সেটা আমার কল্পনার বাইরে।'

কার্নি বলেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সংস্কারের অঙ্গীকার করেছে, যা খুবই প্রয়োজন। তাদের এই অঙ্গীকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কানাডার এই সিদ্ধান্ত।

প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশে বেসামরিক কর্তৃত্ব বজায় রাখে।

গাজার রাফায় একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহতদের নামাজে জানাজা। ছবি: রয়টার্স

আব্বাস ২০২৬ সালে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার করেছেন। কার্নি উল্লেখ করেন, 'হামাস সেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে বেসামরিকীকরণ করতে হবে।'

অটোয়ায় নিযুক্ত ইসরায়েলি দূতাবাস জানিয়েছে, 'একটি জবাবদিহিতামূলক সরকার, কার্যকর সরকারি সংস্থা অথবা দায়বদ্ধ নেতৃত্ব ছাড়া ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের অমানবিক সহিংসতাকে বৈধতা দেওয়া ও পুরস্কৃত করা ছাড়া আর কিছুই নয়।'

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট আব্বাস এই সিদ্ধান্তকে 'ঐতিহাসিক' বলে অভিহিত করেন এবং স্বাগত জানান।

 

Comments

The Daily Star  | English

July charter implementation: What notes of dissent could mean

The July National Charter, finalised after weeks of consensus talks, faces a delicate challenge over notes of dissent, most of them from the BNP and its allies.

16h ago