পাকিস্তানে ৯ দিনের শিয়া-সুন্নি সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১১

পাকিস্তানের কুররাম জেলায় শিয়া-সুন্নি সংঘাতে নিহতদের মরদেহের সামনে নিকটজনের আহাজারি। ছবি: রয়টার্স
পাকিস্তানের কুররাম জেলায় শিয়া-সুন্নি সংঘাতে নিহতদের মরদেহের সামনে নিকটজনের আহাজারি। ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় টানা নয় দিন ধরে চলছে শিয়া ও সুন্নি গোত্রের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত। এই সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১১ হয়েছে।

আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে জিও নিউজ।

দুই পক্ষ সম্প্রতি সংঘর্ষ-বিরতির ঘোষণা দিলেও তাতে কাজ হয়নি।

এই সংঘর্ষে আহতের সংখ্যাও বেড়ে ১৫১ হয়েছে।

এএফপি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৭৯ জন শিয়া ও ৩২ জন সুন্নি।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পেশোয়ার-পারাচিনার মহাসড়কে টানা আট দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যার ফলে দৈনন্দিন জীবনযাপন ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে।

কুররামের উপ-কমিশনার জাভেদুল্লাহ মেহসুদ জানান, মূল মহাসড়কটি বন্ধ থাকায় খারলাচি সীমান্ত দিয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। এর ফলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক দুর্দশা আরও বেড়েছে।

পাশাপাশি, এ অঞ্চলে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সেবা স্থগিত রাখায় সার্বিকভাবে বাসিন্দারা নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। যোগাযোগ ও ইন্টারনেট/ফোন নির্ভর ব্যবসাগুলো চরম ক্ষতির শিকার হয়েছে।

শিয়া-সুন্নি সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ জানাজার জন্য মসজিদে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: এএফপি
শিয়া-সুন্নি সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ জানাজার জন্য মসজিদে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: এএফপি

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ছিল ১০৭।

এ সপ্তাহের শুরুতে ১০ দিনের সংঘর্ষ-বিরতি চালু হলেও, বিচ্ছিন্নভাবে সহিংসতা অব্যাহত থাকায় তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।

গত ২১ নভেম্বর দুইটি গাড়িবহরে বন্দুক হামলার জেরে নতুন করে এ অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এই হামলায় ৫২ জন নিহত হন। এ ঘটনার পর শিয়া-সুন্নিদের বেশ কয়েকটি গোত্রের মধ্যে সহিংসতা মাত্রা ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।

মূল মহাসড়ক বন্ধ থাকায় স্থানীয় পরিবহন সঙ্কটের পাশাপাশি আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যও পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

জেলা প্রশাসন সংঘর্ষ-বিরতি পুরোপুরি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।

মেহসুদ আশ্বাস দেন, কর্তৃপক্ষ সংঘাত বন্ধ ও সংঘর্ষ-বিরতি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি বলেন, 'হানগু, ওরাজকাই ও কোহাত থেকে জ্যেষ্ঠ নেতারা জিরগার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ইতোমধ্যে সবাই সংঘর্ষ-বিরতিতে রাজি হয়েছেন। এখন এটি পূর্ণ মাত্রায় বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

9h ago