দরকষাকষিতে সফল পাকিস্তান, ট্রাম্প-শুল্ক কমে ১৯ শতাংশ

দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম শুল্ক নিয়ে আলোচনার টেবিল থেকে ফিরে আসতে পেরেছে ইসলামাবাদ।
আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দরকষাকষি শেষে ওয়াশিংটনের ঘোষণায় জানা গেছে, পাকিস্তানের পণ্য আমদানিতে শুল্কের পরিমাণ ২৯ শতাংশ থেকে কমে ১৯ শতাংশ হয়েছে।
অপরদিকে ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ওপর আরোপিত শুল্কের পরিমাণ যথাক্রমে ২৫, ২০ ও ৪০ শতাংশ। তবে আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।
ইতোমধ্যে পাকিস্তানে এই 'খুশীর খবর' উদযাপন শুরু হয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
I wish to convey my profound thanks to President Trump @realDonaldTrump for his leadership role in finalization of the historic US-Pakistan trade agreement, successfully concluded by our two sides in Washington, last night.
This landmark deal will enhance our growing cooperation…— Shehbaz Sharif (@CMShehbaz) July 31, 2025
বৃহস্পতিবার বিদেশি ডিজিটাল সেবার ওপর আরোপিত পাঁচ শতাংশ শুল্ক তুলে নেয় পাকিস্তান। এ মাসের শুরুর দিকে এই শুল্ক আরোপ করেছিল ইসলামাবাদ।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইতিবাচক বার্তা হিসেবে পৌঁছায়। এটি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে থাকতে পারে বলেও তারা মত দেন।
ভারতের তুলনায় পাকিস্তানের পণ্যে আরোপিত শুল্ক উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম হওয়াকেও স্থানীয় বাজার বিশ্লেষকরা ইতিবাচক বিষয় হিসেবে দেখছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় পাকিস্তানে নেমে এসেছে স্বস্তির সুবাতাস। অনেকেই আশঙ্কা করছিলেন, পাকিস্তানকে আর্থিক দিক দিয়ে একঘরে করার চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত।
পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার রাতে দেওয়া বিবৃতিতে বলেছে, '(যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে) এই চুক্তি জ্বালানি, খনি, খনিজ পদার্থ, আইটি, ক্রিপ্টোকারেন্সি ও অন্যান্য খাতে দুই দেশের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।'
পাকিস্তানের গার্মেন্টস পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। এই খাতে দেশটি ভারত, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। উল্লেখিত তিন দেশই পাকিস্তানের চেয়ে উচ্চ মাত্রার শুল্কের মুখোমুখি হয়েছে।
সিএনএনের প্রতিবেদন মতে, এই ঘোষণায় পাকিস্তানের তৈরি পোশাক খাতে গতির সঞ্চার হবে। দেশটির মোট রপ্তানির ৬০ শতাংশই আসে এই খাত থেকে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ওয়াশিংটন-ইসলামাবাদ সম্পর্ক আগের তুলনায় অনেকটায় উষ্ণ হয়েছে। এমন কী, জুনে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনয়নও দেওয়া হয়।
Comments