২৮ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বাজেটের অনুমোদন দিয়ে রেকর্ড গড়লেন পুতিন

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফাইল ছবি: রয়টার্স
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফাইল ছবি: রয়টার্স

আগামী বছরের বাজেটের অনুমোদন দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই বাজেটের এক তৃতীয়াংশই খরচ হবে প্রতিরক্ষা খাতে।

গতকাল সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

রোববার ২০২৫ সালের জন্য ১২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের (সাড়ে ১৩ বিলিয়ন রুবল) প্রতিরক্ষা বাজেটের অনুমোদন দেন পুতিন, যা পুরো বাজেটের ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের তৃতীয় বছরে প্রতিরক্ষা খাতে গত বছরের চেয়ে ২৮ বিলিয়ন ডলার বেশি বাজেট বরাদ্দ করেছেন পুতিন। এই খাতে গত বছরের বাজেটও নতুন রেকর্ড গড়েছিল।

তিন বছরের বাজেট পুর্বাভাসে ২০২৬ ও ২০২৭ এ প্রতিরক্ষা বাজেট কমানোর ইঙ্গিত রয়েছে।

রুশ পার্লামেন্টের উভয় কক্ষই এই বাজেটের অনুমোদন দিয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনই এ ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা।

তেরনোপিলে রুশ হামলার পরের দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স (২ ডিসেম্বর, ২০২৪)
তেরনোপিলে রুশ হামলার পরের দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স (২ ডিসেম্বর, ২০২৪)

তবে শুরু থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে পেরে উঠতে হিমশিম খেয়েছে ইউক্রেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এ বছর রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের খানিকটা ভূখণ্ড দখল ছাড়া কিয়েভের এই যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য নেই।

যুদ্ধক্ষেত্রে একের পর এক 'খারাপ খবর' পাচ্ছে কিয়েভ। তবে এখুনি তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে কাউকে বিজেতার আখ্যা দেওয়া যাচ্ছে না। উভয় পক্ষেরই প্রচুর সেনা, সম্পদ ও রসদের খরচ হয়েছে এই সংঘাতে।

যুদ্ধের শুরু থেকেই উপকরণ ও সেনার সংখ্যায় বরাবরই পিছিয়ে ছিল ইউক্রেন। বড় আকারে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে পাওয়া সাহায্যের ওপর তাদের প্রতিরক্ষা ও পাল্টা হামলা নির্ভর করেছে। মিত্রদের কাছ থেকে হাজারো কোটি ডলার পেলেও ইউক্রেন কোন দিক দিয়েই শক্তিশালী প্রতিবেশীকে নিরুৎসাহিত করতে পারেনি।

অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর এই সহায়তা অব্যাহত থাকে কী না, সেটা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা।

ক্রাসনোরাদে রুশ সেনা প্রশিক্ষণ। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ক্রাসনোরাদে রুশ সেনা প্রশিক্ষণ। ফাইল ছবি: রয়টার্স

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার হাতে রয়েছে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অসংখ্য সেনা। তা সত্ত্বেও এই যুদ্ধ রুশ অর্থনীতির ও জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করছে। বাড়ছে মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য।

ট্রাম্প বলেছেন, ক্ষমতাগ্রহণের পর শিগগির এই যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন তিনি। এখন বিশ্ববাসীর নজর সেই দিনটির দিকে—২০ জানুয়ারি, ২০২৫; যেদিন তর্কসাপেক্ষে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান দেশের শীর্ষ পদে আরও একবার বসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Comments

The Daily Star  | English

Govt revises definition of freedom fighter

The government last night promulgated an ordinance redefining the term “freedom fighter” (Bir Muktijoddha) and introducing three new categories.

8h ago