আজই পদত্যাগ করতে পারেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ফাইল ছবি: রয়টার্স
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ফাইল ছবি: রয়টার্স

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে তার নিজের দল লিবারেল পার্টিতে ক্ষোভ দানা বেঁধে উঠেছে। যার ফলে শিগগির তিনি দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতে পারেন বলে জানা গেছে।

আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

লিবারেল পার্টির অভ্যন্তরীণ বিষগুলো সম্পর্কে অবগত আছেন এমন তিন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তির বরাত দিয়ে রোববার দ্য গ্লোব জানায়, আজ সোমবারেই পদত্যাগ করতে পারেন ট্রুডো।

বুধবার লিবারেল পার্টির ন্যাশনাল ককাসের (সম্মেলন) আগেই এই ঘোষণা আসবে। এমনটাই জানিয়েছেন গ্লোবের সূত্ররা।

গ্লোব আরও জানিয়েছে, পদত্যাগের পরও ট্রুডো অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন কী না, সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়। তাৎক্ষণিকভাবে নতুন কাউকে নেতৃত্বভার দেওয়ার বিকল্পটিও রয়েছে লিবারেল পার্টির সামনে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ট্রুডোর জনপ্রিয়তা অনেক কমে এসেছে। তার সরকার কয়েক দফা অনাস্থা ভোট কোনোমতে এড়াতে সক্ষম হলেও সমালোচকরা তাকে একাধিকবার পদ ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

২০২৫ সালের অক্টোবরের নির্বাচন পর্যন্ত দলের নেতৃত্বে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ট্রুডো।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত চাপের মুখে পড়েছেন তিনি, যা তাকে আরও বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে।

ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ক্ষমতা গ্রহণ করেই কানাডার পণ্য আমদানির বিরুদ্ধে বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন।

ট্রাম্পের এই হুমকির বিরুদ্ধে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে, সে বিষয়ে মতভেদের জেরে ডিসেম্বরে পদত্যাগ করেন উপ প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। বিশ্লেষকদের মতে, এটাই ট্রুডোর মন্ত্রিসভায় প্রথম 'প্রকাশ্য' বিদ্রোহের ঘটনা।

কনজারভেটিভ দলের নেতা পিয়েরে। ফাইল ছবি: রয়টার্স
কনজারভেটিভ দলের নেতা পিয়েরে। ফাইল ছবি: রয়টার্স

এই ঘটনার পর ট্রুডো মন্ত্রিসভায় বড় পরিবর্তন আনেন। তিন ভাগের এক ভাগ মন্ত্রী বদলে রাজনৈতিক অস্থিরতা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।

এর আগে নভেম্বরে ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের বিলাসবহুল বাড়ি মার-আ লাগোয় বৈঠক ও নৈশভোজে যোগ দেন ট্রুডো। কিন্তু এতে তেমন কোনো কাজ হয়নি। এরপরও গণমাধ্যমে ট্রুডোকে নিয়ে হাসি-তামাশা চালিয়ে গেছেন ট্রাম্প। তাকে কানাডার 'গভর্নর' বলে আখ্যায়িত করেন তিনি। পাশাপাশি, কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিকে 'দারুণ চিন্তা' বলেও অভিহিত করেন ট্রাম্প।

২০১৫ সালে ক্ষমতায় আসেন ট্রুডো।

এক কালের অসম্ভব জনপ্রিয় এই নেতা এখন কনজারভেটিভ পার্টির পিয়েরে পোইলিভ্রের চেয়ে ২০ জনমত পয়েন্টে পিছিয়ে আছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

9h ago