ট্রুডোকে কানাডার ‘গভর্নর’ বলে সম্বোধন করলেন ট্রাম্প

নভেম্বরের শেষে মার-আ-লাগোয় নৈশভোজে অংশ নেন ট্রুডো ও ট্রাম্প। ছবি: ট্রুডোর এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া
নভেম্বরের শেষে মার-আ-লাগোয় নৈশভোজে অংশ নেন ট্রুডো ও ট্রাম্প। ছবি: ট্রুডোর এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঠাট্টা করে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে 'মহান রাষ্ট্র কানাডার গভর্নর' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

মঙ্গলবার সকালে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে এ কথা বলেন ট্রাম্প।

নভেম্বরে ফ্লোরিডায় বিলাসবহুল বাসভবন মার-আ-লাগোয় ট্রুডোর সঙ্গে নৈশভোজে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে এ কথা বলেন রিপাবলিকান দলের এই নেতা।

জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর কানাডা থেকে আমদানি হয়ে আসা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর হুমকি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই তড়িঘড়ি করে তার সঙ্গে দেখা করতে যান ট্রুডো।

পোস্টে ট্রাম্প আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, তারা দুইজন 'শুল্ক-বাণিজ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা অব্যাহত রাখবেন এবং এতে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য প্রকৃত অর্থে অসামান্য ফল আসবে।'

৪ কোটি মানুষের দেশ কানাডার ৭৫ শতাংশ রপ্তানিই যুক্তরাষ্ট্রে যায়। গত কয়েক দশকে দুই দেশের মধ্যে গড়ে উঠেছে জটিল ও বিস্তৃত সরবরাহ শৃঙ্খল।

সোমবার ট্রুডো হ্যালিফ্যাক্স চেম্বার অব কমার্সকে জানান, ট্রাম্প যদি তার কথামতো শুল্ক আরোপ করেন, তাহলে কানাডাও পাল্টা জবাব দেবে।

ট্রুডো মন্তব্য করেন, দেশের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে, এমন শুল্ক আরোপের সম্ভাবনাকে তিনি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছেন।

তবে এখুনি কানাডীয়দের 'দিশেহারা হয়ে পড়ার' কোনো কারণ নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

নভেম্বরের শেষে মার-আ-লাগোয় নৈশভোজে অংশ নেন ট্রুডো ও ট্রাম্পসহ দুই দেশের বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা। ছবি: এক্স থেকে সংগৃহীত
নভেম্বরের শেষে মার-আ-লাগোয় নৈশভোজে অংশ নেন ট্রুডো ও ট্রাম্পসহ দুই দেশের বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা। ছবি: এক্স থেকে সংগৃহীত

'কোনো অংশীদারের সঙ্গে দরকষাকষির সময় তিনি (ট্রাম্প) সাধারণত এমন আচরণই করেন, যাতে অপর পক্ষ অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে', যোগ করেন তিনি।

আজ বুধবার দ্বিতীয় বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আসন্ন বাণিজ্য আলোচনার কৌশল নির্ধারণী বৈঠকে বসবেন ট্রুডো। এই বৈঠকে কানাডার সব আঞ্চলিক সরকারপ্রধানরা অংশ নেবেন।

এর আগেও কানাডা নিয়ে রসিকতা করেছেন ট্রাম্প।

মার-আ-লাগোয় ট্রাম্প আরও বলেন, কানাডার উচিত যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত হওয়া।

তবে খুব শিগগির তার এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেন কানাডার জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক লেব্লাঙ্ক। ট্রাম্পের বাসভবনের নৈশভোজে তিনিও ট্রুডোর সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন।

লেব্লাঙ্ক এ মাসের শুরুতে সাংবাদিকদের বলেন, ''ট্রাম্প এটা সিরিয়াসলি বলেননি। নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আমাদের রসিকতা করছিলেন। তিনি আমাদের সঙ্গে মজা করেই এ কথা বলেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

17h ago