দক্ষিণ কোরিয়ার সেই বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ইঞ্জিনে পাখির পালক ও রক্ত

দক্ষিণ কোরিয়ায় জেজু এয়ারের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন। ছবি: এএফপি

দক্ষিণ কোরিয়ায় গত ডিসেম্বরে বিধ্বস্ত হওয়া যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের উভয় ইঞ্জিনে পাখির আঘাতের প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

আজ সোমবার প্রকাশিত প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, জেজু এয়ারের উড়োজাহাজটির ইঞ্জিনে পাওয়া পালক ও রক্তের দাগ 'বাইকাল টিল' নামে এক ধরনের পরিযায়ী হাঁসের, যারা ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ায়।

২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বরের দুর্ঘটনায় উড়োজাহাজের ১৮১ আরোহীর মধ্যে ১৭৯ জনই মারা যান।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এই উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পেছনে পাখির আঘাত এবং বিমানবন্দরের রানওয়ের শেষ প্রান্তে থাকা কংক্রিট কাঠামোর ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটির ইঞ্জিন পুরোপুরি বিশ্লেষণ করে দেখা হবে এবং রানওয়ের কংক্রিট কাঠামোটি আরও ভালোভাবে পর্যালোচনা করা হবে।

এই দুর্ঘটনায় ব্যবহৃত উড়োজাহাজের মডেলের অন্যান্য অভিজ্ঞ পাইলটরা রানওয়ের শেষ প্রান্তে থাকা কংক্রিট দেয়ালটির উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের মতে, এটি না থাকলে দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা কম হতো।

দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, 'লোকালাইজার' নামে পরিচিত ন্যাভিগেশন ব্যবস্থার জন্য বিমানবন্দরে এরকম কংক্রিট কাঠামো বসানো হয়।

গত সপ্তাহে দেশের সাতটি বিমানবন্দরে থাকা এমন কংক্রিট কাঠামো বদলে রানওয়ের নিরাপত্তা এলাকা আরও উন্নত করার ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া কর্তৃপক্ষ।

প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনটি জাতিসংঘের বিমান চলাচল সংস্থাসহ যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও থাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

4h ago