সিআইএ কর্মীদের স্বেচ্ছা-অবসরের প্রস্তাব দিলো ট্রাম্প প্রশাসন

ল্যাংলিতে সিআইএর সদর দপ্তরের মেঝেতে সংস্থাটির লোগো। ফাইল ছবি: এএফপি
ল্যাংলিতে সিআইএর সদর দপ্তরের মেঝেতে সংস্থাটির লোগো। ফাইল ছবি: এএফপি

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সব কর্মীকে সুনির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার বিকল্প দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

আজ বুধবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারের খরচ কমানো। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে তিনি বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মীদের ঐচ্ছিক অবসরে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।

এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সিআইএর কর্মকর্তাদের সামনে এই বিকল্প উপস্থাপন করা হয়। প্রথম গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে সিআইএর কর্মীরা এই সুযোগ পেলেন। 

ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে এই সংস্থায় নতুন কর্মীদের নিয়োগ স্থগিত করেন। এমন কী, যারা নিয়োগপত্র পেয়েছেন, তারাও আপাতত কাজে যোগ দিতে পারছেন না।

সিআইএর পরিচালক জন র‍্যাটক্লিফের এক সহকারী ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে এই তথ্য জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সহকারী আরও জানান, যাদেরকে ইতোমধ্যে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, তাদের কারও কারও নিয়োগ বাতিল হতে পারে। এ ক্ষেত্রে এজেন্সির (সিআইএর) নতুন লক্ষ্যের সঙ্গে ওই প্রার্থীর যোগ্যতা মিলিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সিআইএর নতুন লক্ষ্যের মধ্যে আছে মাদক চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান, ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ ও চীনকে দমিয়ে রাখা। 

সিআইএ পরিচালক জন র‍্যাটক্লিফ। ছবি: এএফপি
সিআইএ পরিচালক জন র‍্যাটক্লিফ। ছবি: এএফপি

ট্রাম্প মার্কিন সরকারে বড় আকারে সংস্কার চালাতে আগ্রহী। তিনি নাটকীয়ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী ছাঁটাই করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। এ ক্ষেত্রে দক্ষতা ও উপযোগিতা বাড়ানোর যুক্তি দিয়েছেন এই সাবেক আবাসন ব্যবসায়ী। ট্রাম্পের এই উদ্যোগে ওয়াশিংটনে তোলপাড় হয়ে গেছে।

সিআইএর কর্মীদের অবসরে পাঠানোর এই উদ্যোগে বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ-আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিদেশি ব্যক্তি, রাষ্ট্র ও সংস্থার গোয়েন্দা তথ্য জোগাড়ের কাজে নিয়োজিত সিআইএ মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হিসেবে বিবেচিত। 

সিআইএর কর্মীদের এই প্রস্তাব দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা দখলের ইচ্ছা প্রকাশ করেন ট্রাম্প।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য সিআইএর সঙ্গে যোগাযোগ করেও সাড়া পায়নি এএফপি।

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

9h ago