গাজা দখলের পরিকল্পনা থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত ট্রাম্প প্রশাসনের

মার্কো রুবিও
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখলের ঘোষণাকে 'জাতিগত নিধন'-এর পরিকল্পনা হিসেবে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। এছাড়া আরব বিশ্ব ও বিশ্ব নেতাদের তীব্র সমালোচনার মুখে একদিনের মধ্যেই এই পরিকল্পনা থেকে পিছু হটার ইঙ্গিত দিয়েছে হোয়াইট হাউস।

আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।

গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গাজার দখল নেবে বলে ঘোষণা দেন ট্রাম্প। সিএনএন জানায়, ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও-ও এই ঘোষণার কথা আগাম জানতেন না।

বুধবার রুবিও বলেন, কেবল 'অস্থায়ীভাবে' গাজার অধিবাসীদের সরানোর কথা বলেছেন ট্রাম্প।

'একে জোরপূর্বক (স্থানান্তর) হিসেবে দেখা উচিত না। বরং এটি একটি উদার প্রস্তাব। পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব,' বলেন রুবিও।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানান, গাজার পুনর্গঠনে কোনো অর্থায়ন করবে না ওয়াশিংটন এবং এই উদ্যোগে সেনা মোতায়েন করার সম্ভাবনা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

এদিকে ট্রাম্পের ঘোষণা নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের 'নিজেদের ভূখণ্ডে মানবিকভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে'।  

গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'মানুষের যেকোনো জোরপূর্বক স্থানান্তর জাতিগত নিধনের সমান।'

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের চেষ্টা অগ্রহণযোগ্য।

এই দুই নেতা বলেন, 'এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন ও দুই-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি বড় বাধা। মিশর ও জর্ডানের জন্য একটি বড় অস্থিতিশীল শক্তি হয়ে উঠবে এটি।'

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বকাই একে 'ফিলিস্তিনি জাতিকে সম্পূর্ণ নির্মূল করার লক্ষ্যে জায়নবাদী শাসনব্যবস্থার (ইসরায়েল) ধারাবাহিক প্রয়াসের অংশ' বলে অভিযোগ করেন।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা, আরব দেশগুলোর নেতা এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোও ট্রাম্পের ঘোষণার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এই প্রস্তাবকে 'বর্ণবাদী' ও 'আগ্রাসী' বলে অভিহিত করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

CU students lock main entrance after peer 'assaulted by locals'

They began a sit-in after locking the gate, forcing teachers and students to enter the campus on foot

49m ago