মায়ের পিস্তল নিয়ে ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে হামলা, নিহত ২

ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বন্দুকধারীর হামলার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছায়। ছবি: রয়টার্স
ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বন্দুকধারীর হামলার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছায়। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের লিওন কাউন্টিতে অবস্থিত ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে (এফএসইউ) স্থানীয় ডেপুটি শেরিফের সন্তান তার মায়ের পিস্তল ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় দুইজন নিহত ও অপর চার জন আহত হয়েছেন। 

গতকাল বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

পুলিশ হামলাকারীর পরিচয় জানতে পেরেছে। তিনি লিওন কাউন্টি শেরিফের ডেপুটির ছেলে ফিনিক্স আইকনার। হামলার সময় আইকনারের ওপর পুলিশ পাল্টা হামলা চালালে তিনি আহত হন। পরবর্তীতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশের বিশ্বাস, এই ঘটনায় আইকনার ছাড়া অন্য কেউ জড়িত নন। হামলার কারণ এখনো জানা যায়নি।

আইকনার এই হামলায় তার মায়ের পিস্তল ব্যবহার করে, যেটি একসময় তার মা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা হিসেবে কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করতেন।

পুলিশ জানিয়েছে, পরবর্তীতে তিনি এটি কিনে নেন এবং তা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রে পরিণত হয়। 

লিওন কাউন্টি শেরিফ ওয়াল্টার ম্যাকনেইল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তার সন্তান তার মায়ের একটি অস্ত্র হাতে পায়, যেটি ঘটনাস্থলে চিহ্নিত করা হয়েছে।'

ধারণা করা হচ্ছে, ফিনিক্স আইকনার (২০) ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী তালাহাসিতে অবস্থিত এফএসইউর শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ বাহিনীর প্রধান জেসন ট্রামবাওয়ার এই তথ্য জানিয়েছেন।

নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। তবে তারা কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন।

ট্রামবাওয়ার আহত চার জনের বিষয়ে কোনো তথ্য জানাননি।

এফএসইউ ক্যাম্পাস। ছবি: রয়টার্স
এফএসইউ ক্যাম্পাস। ছবি: রয়টার্স

আত্মসমর্পণের নির্দেশ না মানলে পুলিশ কর্মকর্তারা আইকনারের ওপর গুলি চালান। পরবর্তীতে তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।

আহত চার জন ও বন্দুকধারীকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।

এফএসইউ ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ভবনের কাছে স্থানীয় সময় সকাল ১১টা বেজে ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা বেজে ৫০ মিনিট) হামলা শুরু হয়।

শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দকে সুনির্দিষ্ট একটি জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়। শিগগির পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান।

ওই ক্যাম্পাসে ৪২ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ক্লাস করেন।

কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস, আইকনার পিস্তলের পাশাপাশি একটি শটগানও নিয়ে এসেছিলেন। তবে ওই শটগান হামলায় ব্যবহার হয়েছে কী না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছরই বেশ কয়েকটি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে এবং এসব ঘটনায় প্রচুর প্রাণহানিও হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্ররে বন্দুকের মালিকানা সংক্রান্ত শিথিল আইনের কারণেই খুব সহজে মানুষের হাতে মারণাস্ত্র পৌঁছে যায়, যা এসব হামলার অন্যতম প্রধান কারণ। 

Comments

The Daily Star  | English

Inside the July uprising: Women led, the nation followed

With clenched fists and fierce voices, a group of fearless women stood before the locked gates of their residential halls on the night of July 14, 2024. There were no commands, no central leader -- only rage and a deep sense of injustice. They broke through the gates and poured into the streets.

15h ago