‘অসম্ভব শর্তে’র ইসরায়েলি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নাকচ হামাসের

ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েলি জিম্মি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কয়েকজন হামাস যোদ্ধা। ছবি: এএফপি

ইসরায়েলের দেওয়া সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠনটি জানিয়েছে, গণহত্যা বন্ধ হওয়ার নিশ্চয়তা নেই বা গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি নেই, এমন কোনো 'আংশিক চুক্তি' তারা মেনে নিবে না।

আজ শুক্রবার সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এ খবর জানায়।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু 'অসম্ভব কিছু শর্ত রেখে' যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি সাজিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া।

তার মতে, এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে 'যুদ্ধও থামবে না, সেনা প্রত্যাহারও হবে না।'

হামাসের কাছে এখনো ৫৮ জন ইসরায়েলি জিম্মি আছেন, যাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসরায়েলের এই সর্বশেষ প্রস্তাবে প্রাথমিকভাবে ১০ জন জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি হামাসের পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের বিনিময়ে বেশ কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দেওয়া ও যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব রেখেছে ইসরায়েল।

অস্ত্র ছেড়ে দেওয়ার এই দাবিকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন হাইয়া।

'আমাদের মাটিতে চলমান দখলদারিত্বের সঙ্গে প্রতিরোধ ও সশস্ত্র সংগ্রাম অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। ফিলিস্তিনি ও দখলদারিত্বের শিকার যেকোনো জাতির জন্মগত অধিকার অস্ত্র ধারণ করা,' বলেন তিনি।

এই হামাস নেতা আরও বলেন, 'আমরা আর কোনো আংশিক চুক্তি মেনে নেব না, যা তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এমন চুক্তির মাধ্যমে দুর্ভিক্ষ বিস্তার ও গণহত্যা চালিয়ে যেতে চায় তারা।'

তিনি জানান, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেওয়া ও গণহত্যা বন্ধ নিশ্চিত করবে, এমন চুক্তিতেই কেবল সায় দেবে হামাস।

গত কয়েক সপ্তাহে গাজার প্রায় ৩০ শতাংশ ভূখণ্ড দখল করে নিয়েছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ার পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত দেড় হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলা এই ইসরায়েলি গণহত্যায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

Comments

The Daily Star  | English

Stop destroying nature, plant trees instead of cutting: Yunus

Protecting the environment should be a citizen-led movement, he says

27m ago