যুদ্ধবিরতির আগে ইউক্রেনে ‘সব লক্ষ্য’ পূরণই শীর্ষ অগ্রাধিকার: ক্রেমলিন

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। ফাইল ছবি: এপি

ইউক্রেন যুদ্ধের সামরিক লক্ষ্যগুলো পূরণ করাকে এখনো রাশিয়া সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। 

তবে তিনি বলেছেন, এই লক্ষ্যগুলো কূটনৈতিক উপায়েও অর্জন করা সম্ভব। 

আজ বুধবার বার্তাসংস্থা তাস ও রয়টার্স এ খবর জানায়। 

ক্রেমলিনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে পেসকভ বলেন, 'আলোচনার প্রক্রিয়া চলমান। যেসব উদ্দেশ্য সামনে নিয়ে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করা হয়েছিল, সেগুলো পূরণ করাই এখন প্রেসিডেন্ট পুতিনের মূল লক্ষ্য। আমাদের অবশ্যই জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। তবে এসব লক্ষ্য কি শান্তিপূর্ণভাবে অর্জন করা সম্ভব? হ্যাঁ, সম্ভব।'

২০২২ সালে ইউক্রেন দখলে পূর্ণমাত্রার অভিযান শুরু করার পর থেকেই এটাকে 'বিশেষ সামরিক অভিযান' বলে আখ্যা দিয়ে আসছে মস্কো। এই অভিযান শুরুর লক্ষ্য হিসেবে শুরু থেকেই ইউক্রেনের ক্ষমতাসীন দলের পতন দাবি করে এসেছে মস্কো। 

ইউক্রেনের ন্যাটো যোগ দিতে চাওয়াও এই যুদ্ধ শুরুর একটি মূল কারণ বলে দাবি করেছে মস্কো। 

এদিকে যুদ্ধবিরতির পূর্বশর্ত হিসেবে ইউক্রেনে রাশিয়ার দখল করা অঞ্চলগুলো নিঃশর্তভাবে মস্কোকে দিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে এসেছে মস্কো। 

সম্প্রতি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনার ধীরগতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন। 

গত ১৮ এপ্রিল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছিলেন, 'আগামী কয়েক দিনের মধ্যে' আলোচনায় অগ্রগতি না আসলে এই যুদ্ধ ও যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেবে ওয়াশিংটন।

তার এই হুঁশিয়ারির পর আরও প্রায় দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আলোচনায় তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। 

এ ব্যাপারে পেসকভ বলেন, 'আমরা বুঝতে পারছি, ওয়াশিংটন এই প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে চায়। কিন্তু এই সংঘাতের মূল কারণ এতটাই গভীর ও জটিল যে তা একদিনে সমাধান সম্ভব না।'

গত সপ্তাহে দুই দেশকে একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পেশ করে ওয়াশিংটন, যেখানে ক্রিমিয়াসহ ইউক্রেনের দখলকৃত প্রায় সব অঞ্চলই রাশিয়াকে স্থায়ীভাবে দিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ইউক্রেন কখনোই ন্যাটোর সদস্য হবে না, এই প্রতিশ্রুতিও দিতে বলা হয়েছে।

প্রস্তাবটি আসার সঙ্গে সঙ্গেই তা প্রত্যাখ্যান করেছে কিয়েভ। জেলেনস্কি প্রশাসন একে প্রবলভাবে রাশিয়াপন্থী' বলে আখ্যা দিয়েছে। 

Comments

The Daily Star  | English

Mahfuj Alam apologises for past 'divisive' statements

"The patriotic people who stood united during the July uprising now face a long test"

1h ago