ইসরায়েলের হামলার সমর্থনকারীদের ভেতর যুক্তরাষ্ট্র সবার আগে: নিরাপত্তা পরিষদে ইরান

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক। ছবি: এএফপি

ইসরায়েলি হামলায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িত বলে জাতিসংঘে অভিযোগ তুলেছে ইরান।

গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের 'মিটিং অন থ্রেটস টু ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি' শীর্ষক বৈঠকে ইরান এই অভিযোগ আনে ।

আজ শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল ইরানে হামলা চালালে, ইরানও পাল্টা হামলা চালায়।

ইরানের জাতিসংঘ প্রতিনিধি আমির সাঈদ ইরাভানি নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, ইসরায়েলি হামলায় ওয়াশিংটনের সম্পৃক্ততা ছিল 'সন্দেহাতীত'।

তবে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি এই অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সমঝোতায় আসাটা 'বুদ্ধিমানের কাজ' হবে বলে মন্তব্য করেন।

আমির সাঈদ ইরাভানি নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, 'যারা ইসরায়েলের এই হামলাকে সমর্থন করে, তাদের ভেতর যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সবার আগে। যুক্তরাষ্ট্রকে বুঝতে হবে তারা এসব অপরাধের অংশীদার। এই অপরাধে সহায়তা ও অনুমোদনের মাধ্যমে তারা এর পরিণতির পূর্ণ দায়ভার বহন করছে।'

সাঈদ ইরাভানি আরও বলেন, 'ইসরায়েল কূটনীতিকে ধ্বংস ও আলোচনাকে ব্যাহত করতে চায় এবং অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত সংঘাতে জড়াতে চায়।'

জবাবে জাতিসংঘে ইসরায়েলের দূত ড্যানি ড্যানন বলেন, 'ইরান যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং ইসরায়েলের হামলাগুলো ছিল জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার অংশ।'

ঝুঁকি বাড়া সত্ত্বেও ইসরায়েল ধৈর্য ধারণ করেছে মন্তব্য করে ইসরায়েলি দূত নিরাপত্তা পরিষদকে আরও বলেন, 'আমরা কূটনৈতিক ফলাফল দেখার জন্য অপেক্ষা করেছি। আমরা দেখেছি আলোচনা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। ইরান মিথ্যা অঙ্গীকার দেয় এবং মৌলিক শর্তগুলো মানতে অস্বীকার করে।'

এর পাশাপাশি নিজেদের গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে ড্যানি ড্যানন দাবি করেন, ইরান কয়েক দিনের মধ্যেই  পারমানবিক বোমার জন্য প্রয়োজনীয় বিভাজ্য পদার্থ তৈরি করতে পারত।

এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ম্যাককয় পিট নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, ইরানে ইসরায়েলের প্রাথমিক হামলা সম্পর্কে ওয়াশিংটন আগে থেকে অবহিত ছিল, তবে যুক্তরাষ্ট্র এতে সামরিকভাবে অংশ নেয়নি।

পিট বলেন, 'ইরানের নেতৃত্বের জন্য এই মুহূর্তে আলোচনায় বসাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।'

যুক্তরাষ্ট্রের এই কর্মকর্তার ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি কূটনৈতিক সমাধান চাইবে, যাতে ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে এবং তা যেন মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি না হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার জানান, তিনি ইরানের ক্রমবর্ধমান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছাতে ইরানকে ৬০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন, যা বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যকার এ সংক্রান্ত ষষ্ঠ দফার আলোচনা রোববার ওমানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে। কিন্তু এখন এটি আদৌ অনুষ্ঠিত হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

Comments

The Daily Star  | English
Can monetary policy rescue the economy?

Can monetary policy rescue the economy?

The question remains whether this policy can rescue the economy from the doldrums and place it firmly on the path of vibrancy.

7h ago