সবাই নিজেদের ‘বিজয়ী’ দাবি করছে

যুদ্ধবিরতি
ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

ইরানে ইসরায়েলের হামলা, ইরানের প্রত্যাঘাত, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ও কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের প্রত্যাঘাতের পর যে 'যুদ্ধবিরতি' ঘোষণা করা হয়েছে তাতে সব পক্ষই নিজেদের 'বিজয়ী' দাবি করছে।

আজ মঙ্গলবার বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, সব পক্ষেরই যুদ্ধবিরতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর যথেষ্ঠ কারণ আছে। সবাই নিজেদের 'বিজয়' দেখছে।

ইসরায়েল তাদের সামরিক অভিযানের সাফল্য উদযাপন করছে। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে 'অপারেশন রাইজিং লায়ন' বা 'উদীয়মান সিংহ অভিযান'।

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইরানের তিন প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্রে ব্যাপক বিধ্বংসী হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দিয়ে ইরানে হামলা করাতে পেরেছে। গত কয়েক দশকে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরান হামলায় রাজি ছিলেন না।

যুদ্ধবিরতির ফলে ইসরায়েলে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়বে। দেশটি গত দুই বছর ধরে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে 'লড়াই' করছে। সেখানে 'যুদ্ধ' বন্ধের পরিকল্পনা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

আশা করা হচ্ছে, এই যুদ্ধবিরতি ইসরায়েলের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

পাশাপাশি, এই যুদ্ধবিরতি ইরানের জন্য 'দম নেওয়ার' সুযোগ। সেখানকার জনগণ প্রতিনিয়ত বোমা হামলার শিকার হচ্ছে। গত ১২ দিনের যুদ্ধে বেশ কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে বহু বছর লেগে যাবে। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় চরম আর্থিক দুর্দশায় থাকা খনিজসমৃদ্ধ এই দেশটির পক্ষে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সহজ হবে না।

তবে এই 'বিজয়' ক্ষণস্থায়ী হতে পারে। ইতোমধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘণের অভিযোগ এনেছে ইসরায়েল। আবারও হামলা শুরুর হুমকি দিয়েছে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ দুই মন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English

Iran says not seeking nuclear weapons but will assert 'legitimate rights'

Israeli Prime Minister Benjamin Netanyahu said Israel had agreed to Trump's ceasefire proposal

2d ago