ত্বক বাঁচান শুষ্কতা থেকে
শীতের হিমিহিম ছোঁয়া আমাদের দিচ্ছে ভালোলাগার আবেশ। বেশিরভাগ মানুষ শীত পছন্দ করলেও আমাদের ত্বক এ ব্যাপারে একদমই উল্টো। শীতে আর্দ্রতা কমে যাওয়ার প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপর। ত্বকে টান ধরে, খসখসে রুক্ষ হয়ে যায়।
তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা শীত ঋতুতে অতিরিক্ত তেল থেকে বাঁচলেও মুখ ধোয়ার পরপরই শুষ্ক টান অনুভব করেন। আবার যাদের ত্বক এমনিতেই একটু শুষ্ক, তাদের কাছে শীত যেন এক দুঃস্বপ্ন।
শীতে ত্বকের শুষ্কতা ও যত্ন নিয়ে কথা বলেছেন সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজের বিশেষজ্ঞ ডার্মাটোলজিস্ট নাহিদ রহমান।
তিনি বলেন, 'শীতের শুরু থেকে আবহাওয়ায় হিউমিডিটি কমতে থাকে, যার কারণে ত্বকের শুষ্কতা বাড়তে থাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের ত্বকের ধরন বুঝে ফেসওয়াশ বা কোমল ময়েশ্চারযুক্ত সাবান দিয়ে মুখ ধুতে হবে। মুখ ধোয়ার পর আলতো করে মুখ মুছে সঙ্গেসঙ্গেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। যাদের ত্বক শুষ্ক তাদের এই সময় অবশ্যই ক্রিম বেসড বা ওয়েল বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন এবং ছাতা ব্যবহার বাধ্যতামূলক। রাতে ঘুমানোর আগে ময়েশ্চারাইজার বা গ্লিয়ারিনযুক্ত নাইট ক্রিম ব্যবহার করুন।'
শীতে গরম পানি দিয়ে গোসল করার প্রবণতা আমাদের মাঝে থাকে। কিন্তু সেই পানি যেন কোনোভাবেই কুসুম গরম পানির থেকে বেশি গরম না হয়।
ডার্মাটোলজিস্ট নাহিদ বলেন, 'অতিরিক্ত গরম পানি ত্বকের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর ফলে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়। তা ছাড়া এ সময় সাবান কম ব্যবহার করুন। ব্যবহার করলেও গ্লিসারিনযুক্ত সাবান ব্যবহার করুন। এতে ত্বকে খসখসে ভাব কমে আসবে। গোসলের পর শরীরে তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল, নারকেল তেল বা অন্য অনেক তেলও শরীরে ব্যবহার করা যায়। তবে তেল ব্যবহারের আগে দেখে নিতে হবে সেটি আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত কি না।'
শরীর ভেতর থেকে আর্দ্র না হলে তার ছাপ পড়বে ত্বকের ওপর৷ তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা দরকার৷ দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা দরকার। ডাবের পানি, ফলের রসও পান করতে পারেন৷ তাছাড়া খেতে হবে প্রচুর শাকসবজি। ভিটামিন এ, সি ও ই ত্বকের জন্য খুবই ভালো, যা বিভিন্ন সবুজ এবং হলুদ শাকসবজি ও ফলমূলে সহজেই পাওয়া যায়। গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, কমলায় রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা ত্বককে শুষ্ক হতে দেয় না এবং উজ্জ্বল রাখে।
প্রিয় ত্বকের খেয়াল রাখুন সঠিকভাবে আর সুস্থ-সুন্দর ত্বকে উজ্জ্বল থাকুন প্রতিদিন।
Comments