হরর ভক্তরা দেখতে পারেন এই ৫ সিনেমা

ছবি: সংগৃহীত

ছমছমে শব্দ আর চমকে দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা দিয়ে ভর্তি হরর সিনেমা দেখতে দেখতে কি আপনি ক্লান্ত? সিনেমা দেখতে বসে এতটাই ভয় পেতে চান যেন মনে হতে থাকে আপনার ঘরে আসলে আরও কেউ বা কিছু আছে? তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন!

আপনি যদি হরর সিনেমার ভক্ত হয়ে থাকেন, তবে এই ৫টি রক্ত হিম করা সিনেমা আপনাকে রাতে ঘুমাতে দেবে না।

দ্য অটোপসি অফ জেইন ডো

প্রথমেই বলতে হয় দ্য অটপসি অফ জেইন ডোর কথা। এই সিনেমার কাহিনী বাবা-ছেলেকে ঘিরে, যারা একটি মামলায় অজ্ঞাত মরদেহের ময়নাতদন্তের কাজ করেন। এই ময়নাতদন্ত যত এগিয়ে যেতে থাকে, ততই ভয়ংকর গোপন তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে। এক সময় তা তাদের জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। পুরো সিনেমার বেশিরভাগ দৃশ্যই কেবল একটি ঘরের মধ্যে হলেও এর ভৌতিক দৃশ্যায়ন ও নির্মাণের প্রশংসা করতেই হবে।

দ্য ওয়েলিং

দক্ষিণ কোরিয়ার এই সিনেমায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা একটি প্রত্যন্ত গ্রামের রহস্যময় সিরিজ খুনের তদন্ত করেন। ঘটনার অনুসন্ধান করে তিনি দেখতে পান, এসব খুনের মূলে আছে এক অশুভ আত্মা। এই সিনেমাতে গল্প বলার ধরন বেশ জটিল, ছমছমে আবহের সঙ্গে রয়েছে শিউরে উঠার মতো সব দৃশ্য। সিনেমার শেষটা নিশ্চিতভাবেই আপনাকে ভয়ে স্তব্ধ করে দেবে।

দ্য ব্ল্যাককোট'স ডটার

এই সিনেমার কাহিনী শুরু হয় একটা বোর্ডিং স্কুলে। শীতের ছুটিতে অন্যরা চলে যাওয়ার পরও ২ জন মেয়ের বাড়ি থেকে কেউ নিতে আসে না। ধীরে ধীরে নানা অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে থাকে স্কুলটিতে। কোনো এক অতিপ্রাকৃত সত্ত্বা এসে আস্তানা গেড়ে বসে তাদের মনে, করে তোলে পাগলপ্রায়। চমৎকার সিনেমাটোগ্রাফি এবং ভৌতিক শব্দ এতটাই আছন্ন করে রাখবে যে সিনেমা শেষ হওয়ার পরেও অনেকটা সময় জুড়ে আপনার ঘোর কাটবে না।

নরই: দ্য কার্স

এটি একটি জাপানি হরর সিনেমা। এখানে একজন প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা এক জঙ্গলে ঘটা সিরিজ খুন নিয়ে অসুন্ধান করেন, যেখানে মনে হয় এর পেছনে একজন ওঝার হাত রয়েছে। এই সিনেমার রহস্যময় গল্প ও দৃশ্যায়ন ভয়ে শিরদাঁড়া বেয়ে শীতল স্রোত বয়ে যাওয়ার অনুভূতি দেবে। 

মুসকা

একটা ছোট তাবিজ কতখানিই বা ক্ষতি করতে পারে? এই সিনেমা দেখার পর আপনিও হয়তো এ ব্যাপারে নতুন করে ভাববেন। টার্কিশ এই হরর সিনেমার মূল কাহিনী এক দম্পতিকে ঘিরে। তারা নতুন অ্যাপার্টমেন্টে উঠার পর যখন সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছিলেন, নানা রকম ভৌতিক ঘটনা ঘটতে থাকে তাদের সঙ্গে। ঘটনাগুলোর মূলে থাকে খুব নিরীহ দেখতে একটা তাবিজ।

এসব ঘটনা কেন ঘটছে তা বুঝতে না পেরে তারা একজন অতিপ্রাকৃত ঘটনা তদন্তকারীর সাহায্য নেন। তদন্তকারী এই ভৌতিক বাড়ি তল্লাশি করে খুঁজে পায় এক প্রাচীন অশুভ আত্মার অস্তিত্ব। সিনেমার অমীমাংসিত ঘটনা আর ধীরে ধীরে আগানো প্লট আপনার চিন্তার খোরাক জোগাবেই।

অনুবাদ করেছেন আনজিলা জেরিন আনজুম

Comments

The Daily Star  | English

Reforms, justice must come before election: Nahid

He also said, "This generation promises a new democratic constitution for Bangladesh."

40m ago