অনুপ্রেরণা যোগাবে যে ৫ সিনেমা

আপনাদের সুবিধার জন্য কোনো রকম স্পয়লার ছাড়া কিছু অনুপ্রেরণামূলক সিনেমার নাম জানিয়ে দিচ্ছি আজ।  
ছবি: সংগৃহীত

ইদানিং কিছু দেখার জন্য খুঁজতে গেলেই এত বিকল্প চলে আসে যে কোনটা রেখে কোনটা দেখা যায় ভাবতে ভাবতেই সময় চলে যায়। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য কোনো রকম স্পয়লার ছাড়া কিছু অনুপ্রেরণামূলক সিনেমার নাম জানিয়ে দিচ্ছি আজ।  

দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন, দ্য গুড উইল হান্টিং আর ফরেস্ট গাম্পকে বাদ দিয়েই শুরু করছি। কারণ এতদিনে অবশ্যই এই সিনেমাগুলো দেখেছেন কিংবা দেখার কথা শুনেছেন। তারচেয়ে বরং বর্তমান সময়ের সিনেমার ওপর নজর দেওয়া যাক। এই সিনেমাগুলো অবশ্যই আপনার মন ভালো করে দেবে, দেবে অনুপ্রেরণা।

অ্যা ম্যান কলড অটো (২০২২)

টম হ্যাঙ্কস অভিনীত এই সিনেমায় তার ছেলে ট্রুম্যান হ্যাঙ্কস তার ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই কমেডি-ড্রামাটি আবর্তিত হয়েছে বিষণ্ণতায় ডুবে যাওয়া একজনকে কেন্দ্র করে। দেখা যায়, তিনি তার জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে সংগ্রাম করছেন। জীবন ও একইসঙ্গে চারপাশের মানুষজন নিয়ে ক্লান্ত তিনি।

এই বিরক্তিকর জীবনটা হঠাৎই বদলে যায় যখন তার পাশের বাসায় কম বয়সী একটি পরিবার আসে। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে এক অদ্ভুত বন্ধনে আবদ্ধ হতে থাকেন তিনি। এটিকে 'আপ' সিনেমার একটি বাস্তবসম্মত ও সংক্ষিপ্ত সংস্করণ ভাবতে পারেন। 'আপ' যদি আপনার পছন্দ হয়ে থাকে তবে এটি পছন্দ হবেই!

 

লিভিং (২০২২)

১৯৫২ সালের ইকিরু শিরোনামের একটি জাপানি চলচ্চিত্রের রিমেক এটি। বিল নিঘি অভিনীত এই সিনেমাটি তাকে এই বছর সেরা অভিনেতার অস্কারে এনে দিয়েছে। সিনেমায় একজন আমলার ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। তিনি আবিষ্কার করেন, তিনি মারাত্মকভাবে অসুস্থ এবং তার বেঁচে থাকার সময় খুবই সীমিত। পানসে জীবন থেকে বেরিয়ে প্রতিটা দিনই কিভাবে আলাদা করে বাঁচা যায় এখানে তাই দেখানো হয়েছে। এটি অবশ্যই আমাদের জীবনকে উপলব্ধি করতে এবং প্রতিদিনের জীবনকে উদযাপন করতে অনুপ্রাণিত করবে।

পিনাট বাটার ফেলকন (২০১৯)

এই গল্পটি ডাউনস সিনড্রোমে আক্রান্ত একটি অল্প বয়স্ক ছেলেকে নিয়ে। সে পেশাদার কুস্তিগীর হওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। শিয়া লাবেউফ, ডাকোটা জনসন ও জন বার্নথালের মতো তারকাদের নিয়ে তৈরি এই সিনেমায় বন্ধুত্ব, গ্রহণযোগ্যতা আর স্বপ্ন অর্জনে প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠে এগিয়ে যাওয়ার গল্প বলা হয়েছে।

জয় (২০১৫)

জেনিফার লরেন্স, ব্র্যাডলি কুপার ও রবার্ট ডি নিরো একত্রিত হয়েছেন এই সিনেমায়। সিনেমায় জয় একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী উদ্যোক্তা, যে তার পথ তৈরি করতে সংগ্রাম চালিয়ে যান এবং শেষে এসে স্বপ্ন পূরণও করেন। এখানে বিভিন্ন পেশাগত ও ব্যক্তিগত ঝামেলা দেখানো হয়েছে, একজন মানুষকে বড় হওয়ার পথে যেগুলোর সম্মুখীন হতে হয়। জয়ের দৃঢ় সংকল্প আমাদের মাঝেও ছড়িয়ে যাবে, সঙ্গে অনুপ্রাণিত করবে এগিয়ে যেতে।

পাম স্প্রিংস (২০২০)

অন্যান্য সিনেমা থেকে এটা ভিন্ন স্বাদের। এই সাই-ফাই ফ্যান্টাসি সিনেমাতে দেখা যায়, অ্যান্ডি স্যামবার্গ একটি বিয়েতে যোগ দেওয়ার সময় ক্রিস্টিন মিলিওটির সঙ্গে এক টাইম লুপে আটকে যান। তাদের জীবনে ওই একটি দিনই বারবার আসতে থাকে। প্রতিদিন বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার করে দিনটা কাটান তারা। এটি আমাদেরকে দেখায়, একটা নির্দিষ্ট দিনে আমরা কত কিছু করতে পারি। এই সিনেমাটি ভিন্নভাবে এবং পুরোপুরি বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা দেবে।

অনুবাদ করেছেন সাইমা তাবাসসুম উপমা

Comments