সন্তানের সঙ্গে প্রতিদিন যে কাজগুলো করা উচিত

চাইলেই প্রতিদিন কিছু বিষয় মেনে চলা সম্ভব। আর এগুলো মেনে চললে সন্তানের সঙ্গে অভিভাবকের সম্পর্ক ভালো হয় এবং পারিবারিক বন্ধন মজবুত হয়।
প্যারেন্টিং, সৃজনশীল, বই পড়া,
স্টার ফাইল ফটো

বর্তমানে ব্যস্ততার কারণে অনেক অভিভাবক সন্তানকে ঠিকমতো সময় দিতে পাররেন না। এতে সন্তানের সঙ্গে অভিভাবকদের এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হয়। কিন্তু, চাইলেই প্রতিদিন কিছু বিষয় মেনে চলা সম্ভব। আর এগুলো মেনে চললে সন্তানের সঙ্গে অভিভাবকের সম্পর্ক ভালো হয় এবং পারিবারিক বন্ধন মজবুত হয়।

একসঙ্গে পড়া

শিশুদের জন্য বই পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বই পড়া শিশুদের কল্পনা, ভাষা দক্ষতা ও জ্ঞান বিকাশে সহায়তা করে। প্রতিদিন একসঙ্গে পড়ার জন্য কিছু সময় আলাদা কর রাখুন। যদি সন্তানের বয়স কম হয় তাহলে ছবির বই পড়তে পারেন। আর সন্তানের বয়স যদি একটু বেশি হয় তাহলে কোনো গল্পের বই পড়তে পারেন। বই পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন করুন ও গল্পটি নিয়ে আলোচনা করুন। তাহলে তারাও বই পড়াকে উপভোগ করবে।

আউটডোর খেলা

সন্তানের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য বাইরে খেলতে যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের প্রতিদিন বাইরে সময় কাটাতে উত্সাহিত করুন। তাদের পার্কে খেলতে নিয়ে যান, কিংবা সাইকেল চালানো শেখাতে পারেন। আউটডোরের এসব ক্রিয়াকলাপ শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখতে ও সামাজিক মিথস্ক্রিয়া বাড়াতে সহায়তা করে।

সৃজনশীল সময়

ছবি আঁকা, কারুশিল্প বা ব্লকপ্রিন্টের মতো সৃজনশীল কাজের জন্য আলাদা সময় বের করুন। এগুলো সন্তানের সৃজনশীলতা, দক্ষতা ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাড়ায়। সন্তানের কল্পনা শক্তি বাড়ায়। শুধু তাই নয়, সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সৃজনশীল কাজের বিকল্প নেই।

একসঙ্গে খাওয়া

একটি পরিবারে একসঙ্গ খাওয়া কেবল স্বাস্থ্যকর খাওয়ার অভ্যাসকেই উত্সাহিত করে না বরং পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করে। প্রতিদিন অন্তত একবেলা একসঙ্গে খাবার খাওয়ার পরিকল্পনা করুন। এসময় সবার সঙ্গে কথা বলুন। সারাদিন কী করল তার খোঁজ-খবর নিন। এগুলো আপনার সন্তানের জন্য ইতিবাচক স্মৃতি হয়ে থাকবে।

শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ড

সন্তানের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে বিভিন্ন শিক্ষামূলক কাজে যুক্ত করুন। যেমন- ধাঁধা সমাধান করা, শিক্ষামূলক গেমস খেলা, বিজ্ঞান পরীক্ষা বা গণিতের দক্ষতা অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। তবে, এগুলো তাদের বয়স ও আগ্রহের সঙ্গে সামঞ্জস্য পূর্ণ হতে হবে। তাহলে শেখা মজার ও ইন্টারেক্টিভ হবে।

কাজ ও দায়িত্ব

বাড়ির চারপাশে পরিষ্কারসহ বিভিন্ন কাজ ও দায়িত্বগুলোতে আপনার সন্তানকে সম্পৃক্ত করুন। এতে তাদের মধ্যে সংগঠিত, টিমওয়ার্ক এবং জবাবদিহিতার মতো গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা বাড়বে। ঘর পরিষ্কার করা, টেবিল সেট করা বা কাপড় পরিষ্কার করার মতো তাদের যুক্ত করুন এবং তাদের কাজের প্রশংসা করুন।

কোয়ালিটি টাইম

সন্তানের সঙ্গে মজবুত বন্ধন গড়ে তুলতে তাদের সঙ্গে কোয়ালিটি সময় কাটান। যেমন- একসঙ্গে বোর্ড গেমখেলা, একসঙ্গে হাঁটতে যাওয়া, সবাই মিলে সিনেমা দেখা। এছাড়াও, তাদের প্রিয় শখগুলো তাদের সঙ্গে নিয়ে পূরণ করতে পারেন। এটি আপনাদের বন্ধনকে মজবুত করবে।

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago