সময়ের কাজ সময়ে করার ৫ কৌশল

সময়ের কার্যকর ব্যবহার শুধু উৎপাদনশীলতাই বৃদ্ধি করে না, কাজ ও জীবনের মধ্যেও ভারসাম্য আনে।
ছবি: সংগৃহীত

আমরা অনেক সময়ই সময়মতো কাজ শেষ করতে পারি না, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে। এজন্য সময় ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অনেক। সময়ের কার্যকর ব্যবহার শুধু উৎপাদনশীলতাই বৃদ্ধি করে না, কাজ ও জীবনের মধ্যেও ভারসাম্য আনে।

এ লেখায় আমরা কিছু কার্যকর সময় ব্যবস্থাপনা কৌশল জানিয়ে দেবো, যা আপনার ব্যস্ত জীবনে কাজে আসতে পারে।

গুরুত্ব অনুসারে কাজের তালিকা তৈরি করুন

কাজের তালিকা তৈরি করা এবং তা গুরুত্ব অনুযায়ী সাজানো সময়ের কাজ সময়ে করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমাদের প্রত্যেকেরই প্রতিদিন কাজের চাপে পড়তে হয়, যেগুলো শেষ করতে অনেক সময় লেগে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে প্রথমে গুরুত্ব ও কোনটি কতটা জরুরি তার ভিত্তিতে কাজগুলোকে সাজিয়ে নিন। এতে আপনি সঠিক সময়ে সঠিক কাজগুলোতে ফোকাস করতে পারবেন এবং ব্যস্ততার বেড়াজালে আটকা পড়তে হবে না।

 

ভালোভাবে পরিকল্পনা করুন

বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছিলেন, 'প্রস্তুতি না নেওয়ার অর্থ হচ্ছে তুমি ব্যর্থতার প্রস্তুতি নিচ্ছ'। তার এই কথা আজও সত্য। কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ আগে কাজের বিষয়ে ভালোভাবে পরিকল্পনা করুন এবং কোন কাজটি কবে ও কীভাবে করবেন তার একটি রুটিন তৈরি করুন। এতে করে কাজ ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে।

যদি আপনার এমন কাজ থাকে যা সপ্তাহ বা মাস ধরে করা লাগে, তাহলে সেগুলোকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করুন। যাতে শেষ মুহূর্তে আপনি অনেক কাজের চাপে পড়ে না যান। একটি সুগঠিত পরিকল্পনা কোনো কাজকে যথাযথভাবে শেষ করতে সাহায্য করে।

'না' বলতে শিখুন

বেশিরভাগ মানুষই 'না' বলতে পারেন না। কারো অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে খারাপ লাগে সত্যি, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কাজ থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেওয়ার মতো কিছুতে 'না' বলা একটি ভাল জিনিস।

আপনার সীমাবদ্ধতা বুঝুন, কাজ ও লক্ষ্যের প্রতি সচেতন থাকুন। কেউ বাড়তি কাজ দিতে চাইলে তাকে আপনার ব্যস্ততার কথা জানান এবং বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করুন। এটি বাড়তি কাজের চাপ হ্রাস করবে। ফলে হাতে থাকা কাজ যথাযথভাবে ও সময়মতো করতে পারবেন।

মনোযোগ নষ্ট করে এমন কাজ/ উপকরণ এড়িয়ে চলুন

আজকের ডিজিটালি সংযুক্ত বিশ্বে মনোযোগ বিনষ্টকারী উপাদান ছড়িয়ে আছে সবখানে। হুট করে কাজ থেকে মনোযোগ হারিয়ে ফেলাটা এখন ধারণার চেয়েও সহজ। তাই কাজের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনাহূত শব্দ, আলাপী সহকর্মী, হুট করে আসা কোনো গভীর চিন্তা এড়িয়ে চলুন। কাজ করার সময় একটি বিশৃঙ্খলাহীন কাজের পরিবেশ তৈরি করুন, নয়েজ ক্যান্সেলিং হেডফোন ব্যবহার করুন এবং ফোন সাইলেন্ট করে রাখুন।

নিজেকে চাঙা করার সময় বের করুন

আপনি একজন মানুষ এবং মানুষের শারীরিক-মানসিক বিশ্রাম দরকার। বিরতি ছাড়া সবসময় কাজ করে গেলে কাজের ওপর বিরক্তি এবং নিজের মধ্যে ক্লান্তি চলে আসে। এটি সময়মতো কাজ করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই  নিজের জন্য সময় বের করুন এবং এমন কাজ করুন, যা আপনাকে চাঙা করে তুলবে। কিছুটা ব্যায়াম করা, প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানো বা এমনিতে একটি বিরতি নেওয়াও সামগ্রিকভাবে সময়ের কাজ সময়ে করার অনুপ্রেরণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

অনুবাদ করেছেন আহমেদ হিমেল

 

Comments

The Daily Star  | English

History of student protests in the USA

American campuses -- home to some of the best and most prestigious universities in the world where numerous world leaders in politics and academia have spent their early years -- have a potent history of student movements that lead to drastic change

4h ago