বন্ধুত্ব অটুট রাখতে মেনে চলুন এই ৫ বিষয়

বন্ধুত্ব
ছবি: সংগৃহীত

মানুষের জীবনের আনন্দের মুহূর্তের কথা জানতে চাইলে অনেকের উত্তর থাকে বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো সময় তাদের সবচেয়ে প্রিয়। ছোটবেলার বন্ধুত্ব হোক বা বড়বেলার, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা সবারই  মন ভালো করে দেয়।

বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে যেমন মনকে হালকা করা যায়, তেমনি কোনো বিপদে বন্ধু পাশে আছে বলে স্বস্তি পাওয়া যায়। তবে দেখা যায় কখনো কখনো এত সুন্দর একটি সম্পর্কেও ফাটল ধরে নানা কারণে। যেকোনো সম্পর্কই স্বাস্থ্যকর হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধুদের সঙ্গে একটু সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক কীভাবে বজায় রাখবেন তার ৫টি উপায় জানব আজ।

সহযোগিতা, বিশ্বাস এবং সততা বজায় রাখুন  

যেকোনো সম্পর্ক গড়তে এই তিনটি জিনিস সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ - সহযোগিতা, বিশ্বাস এবং সততা। বন্ধুত্বের সম্পর্ক এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব। বন্ধুদের প্রয়োজনের সময় তাদের পাশে না থাকলে ধীরে ধীরে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বন্ধুদের সঙ্গে সৎ থেকে তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে না পারলে সেই বন্ধুত্ব দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আপনি যদি আপনার বন্ধুকে ভরসা না করতে পারেন তবে তিনি যেমন আপনার বন্ধু থাকতে পারবেন না,তেমনি নিজেকেও বন্ধুদের ভরসাস্থল করে তুলুন।

বন্ধুদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন

ধরুন আপনার বন্ধু খুব আগ্রহ নিয়ে আপনাকে কোনো কথা বলছেন, কিন্তু আপনি তার কথায় একদমই মনোযোগ দিচ্ছেন না বা অর্ধেক কথা শুনছেন। আপনার বন্ধু ধীরে ধীরে বিশ্বাস করতে শুরু করবেন, আপনার কাছে তিনি গুরুত্বপূর্ণ নন। এভাবে সম্পর্ক নষ্ট হবে। তাই বন্ধুদের কথা শুনুন, তাদের মনের ভাব বোঝার চেষ্টা করুন। কারো কথা মনোযোগ দিয়ে না শোনা মানে আপনি তাকে যথাযথ সম্মান ও গুরুত্ব দিচ্ছেন না। একটি বন্ধুত্বের সম্পর্কে এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। 

অন্যদের কাছে বন্ধুর সমালোচনা বন্ধ করুন

আপনি এবং আপনার বন্ধু দুজনেই ভিন্ন একেকজন মানুষ। তাই একজনের সবকিছু আরেকজনের ভালো না লাগাটাই স্বাভাবিক। বন্ধু আপনার থেকে আলাদা হতেই পারেন। তার চলাফেরা, পোশাক এবং চিন্তাভাবনার সঙ্গে নিজের মিল না পেলে অন্যদের সঙ্গে তা নিয়ে সমালোচনা করা একেবারেই ঠিক নয়। বন্ধুত্ব একটি বিশ্বাস ও সততার বন্ধন। এভাবে বন্ধুকে নিয়ে সমালোচনা করে সম্পর্ক নষ্ট করা ঠিক হবে না।

বন্ধুদের ও তাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করুন

বন্ধুদের সম্মান করতে শিখুন। আপনার বন্ধু আপনার সঙ্গে তার জীবনের কতটুকু শেয়ার করতে আগ্রহী তা বোঝার চেষ্টা করুন। আপনি তার বন্ধু বলেই যে সে তার জীবনের সবকিছু আপনাকে জানাবে এমন আশা করা ঠিক নয়। মাঝেমধ্যে সে হয়তো এই সম্পর্ক থেকে সাময়িক বিরতিও নিতে পারে। তাদের এরকম সিদ্ধান্তকে সম্মান করুন ও তাদের সময় দিন। বন্ধুদের আড্ডায় কোনো বন্ধুকে নিয়ে এমন কোনো মজা করবেন না যাতে তিনি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। বন্ধুদের সম্মান না করলে ধীরে ধীরে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে।

ক্ষমা করতে শিখুন এবং নিজের ভুল থাকলে স্বীকার করুন

যেকোনো সম্পর্কে ভুল হওয়া খুবই স্বাভাবিক। সবসময় সব কাজে একজন মানুষ ঠিক আচরণ করবেন এটি আশা করা যায় না। সেজন্য বেশি কঠোর না হয়ে মানুষকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। বন্ধুত্বের মতো সুন্দর সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই ক্ষমা করা শিখতে হবে। আপনার যদি মনে হয় আপনার বন্ধু না বুঝেই কোনো কাজ করেছেন যাতে আপনি কষ্ট পেয়েছেন, তবে তাকে বুঝিয়ে বলুন।

তিনি যদি নিজের ভুল বুঝে ক্ষমা চান তাকে ক্ষমা করে দিন। অপরদিকে আপনি নিজে যদি নিজের ভুল সম্পর্কে বুঝতে পারেন তাহলে আপনার বন্ধুর সঙ্গে ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করুন ও ক্ষমা চান। আমি সবসময় ঠিক ও অন্যরা ভুল- এই ধরনের মনোভাব থেকে বের হয়ে আসুন।

 

Comments

The Daily Star  | English

No active militant presence in Bangladesh: home adviser

The reports of suspected extremists' deportation from Malaysia shows no links to local terrorist networks, he says

32m ago