ঈদের ছুটিতে ঢাকার কাছে বেড়াতে পারেন যেসব জায়গায়

যান্ত্রিক শহরের কোলাহল থেকে বেরিয়ে একটু ঘুরে আসার প্রবল ইচ্ছে ঢাকায় থাকা প্রতিটি মানুষের মনেই সুপ্ত থাকে। কিন্তু ব্যস্ততার জন্য মেলে না অবসর। তাই ঈদের ছুটি তাদের জন্য নিয়ে আসে প্রশান্তি।
ছবি: আদিলুজ্জামান আদিল

যান্ত্রিক শহরের কোলাহল থেকে বেরিয়ে একটু ঘুরে আসার প্রবল ইচ্ছে ঢাকায় থাকা প্রতিটি মানুষের মনেই সুপ্ত থাকে। কিন্তু ব্যস্ততার জন্য মেলে না অবসর। তাই ঈদের ছুটি তাদের জন্য নিয়ে আসে প্রশান্তি।

দূরে কোথাও না গিয়ে অনেকেই খুঁজেন আশেপাশে কোথায় একটু অবসর কাটানো যাবে সেই ঠিকানা। তেমনি কয়েকটি জায়গার কথা জেনে নেওয়া যাক।

জিন্দা পার্ক

কম সময়ে ও কম খরচে ঘোরার জন্য যেতে পারেন পূর্বাচল হাইওয়ের কাছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত জিন্দা পার্কে। সারাদিন সবুজের মধ্যে ঘোরাঘুরি করে ফিরে আসতে পারেন কিংবা থেকে যেতে পারেন রাতেও। খাওয়া দাওয়ার জন্য পার্কের ভেতরেই আছে রেস্টুরেন্ট।

গোলাপ গ্রাম

সবুজে ঢাকা চারপাশ আর নীলাভ জলের ঢেউ। শান্ত স্থির এই জায়গাটি আপনাকে নিয়ে যবে নৈসর্গিক এক ভুবনে। নদীর চারপাশে সবুজে ঢাকা গ্রামগুলো দেখতে যেন মনে হয় ছবির মতো। যেতে পারেন নদীর ওপারে গ্রামে। দেখা পেয়ে যাবেন বিস্তীর্ণ গোলাপের বাগান। ঢাকা থেকে যেতে হলে মিরপুর মাজার রোড হয়ে বেড়িবাঁধ সড়কে যাবেন। মিরপুর-১ থেকে বাস, টেম্পো, অটোরিকশা বা রিকশায় চড়তে হবে। বেড়িবাঁধ তুরাগের তীর তথা শিন্নিরটেক ঘাট থেকে ট্রলারে উঠতে হবে। এটি আপনাকে সাদুল্যাপুর ঘাটে নিয়ে যাবে। শুকনো মৌসুমে নদী পার হয়ে বেশ খানিকটা পথ হাঁটতে হবে।

জল জঙ্গলের কাব্য

জল জঙ্গলের কাব্য গাজীপুর জেলার পুবাইলে অবস্থিত। নগর জীবন থেকে বের হয়ে খোলামেলা গ্রামীণ পরিবেশ উপভোগ করতে চাইলে জায়গাটি আদর্শ। সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকেলের নাস্তা ও রাতের খাবারসহ সব সুবিধা পেয়ে যাবেন এখানে।

পদ্মা রিসোর্ট

নদীর পাড়ের কাঁশফুলের অপূর্ব দৃশ্য যারা খুঁজে বেড়ান, তারা চাইলেই ঢু মেরে আসতে পারেন এখান থেকে। গাড়ি নিয়ে ঢাকা থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যাবেন। কটেজের ভেতরে আছে রেস্টুরেন্ট, রিভার ক্রুজ ও খেলাধূলা করার বিশাল জায়গা।

ড্রিম হলিডে পার্ক

ড্রিম হলিডে পার্ক ঢাকার পাশেই নরসিংদীতে অবস্থিত একটি থিম পার্ক। পরিবার পরিজনদের নিয়ে সারাদিন হৈচৈ আর আনন্দে মাতামাতি করতে অথবা পিকনিক করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গাটি থেকে। রাতে থাকার জন্যও রয়েছে রিসোর্টের সুব্যবস্থা।

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

মানিকগঞ্জ জেলায় বালিয়াটি গ্রামে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি অবস্থিত। এই জমিদার বাড়ির বিশাল সব স্থাপনা আপনাকে নিঃসন্দেহে অবাক করবে।

যমুনা রিসোর্ট

যমুনা রিসোর্ট টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার মাঝে যমুনা সেতুর কাছেই অবস্থিত। পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা ছাড়াও ভেতরে রয়েছে সুইমিং পুল, খেলাধুলার ব্যবস্থা, জিম ও অন্যান্য সুবিধা।

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাঘের বাজার থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক অবস্থিত। পার্কের ভিতরের অংশকে আবার ৫টি অংশে ভাগ করা হয়েছে – কোর সাফারি, সাফারি কিংডম, বায়োডাইভার্সিটি পার্ক, এক্সটেনসিভ এশিয়ান ডাইভার্সিটি পার্ক ও বঙ্গবন্ধু স্কয়ার। দুর্লভ সব দৃশ্য দেখা যায় এখানে। চাইলেই ঘুরে আসতে পারেন দেশের ভেতর এক টুকরো বিদেশ থেকে।

নিকলী হাওর

প্রক্রিতির স্নিগ্ধ ছোঁয়া পেতে ঘুরে আসতে পারেন কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর থেকে। ঢাকা থেকে বাসে বা ট্রেনে যেতে পারেন কিশোরগঞ্জ শহরে, সেখান থেকে সিএনজিতে যেতে পারেন নিকলি ঘাটে। ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া করে ঘুরে দেখুন হাওর। তবে রাতে ফিরে আসাই ভালো।

নকশী পল্লী

নকশী পল্লী পূর্বাচর বালু নদীর পাশে অবস্থিত। অনেকে এটিকে ঘোরার জায়গা মনে করলেও নকশী পল্লী মূলত একটি রেঁস্তোরা। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কাছে খেতে আসাটা বেশ উপভোগের। তাছাড়া সময় পেলে বোটে করে ঘুরে বেড়াতে পারবেন নদীতে।

মহেরা জমিদার বাড়ি

টাঙ্গাইলে ঘুরে বেড়ানোর জন্য অনেক জায়গার মধ্যে সবথেকে সুন্দর মহেরা জমিদার বাড়ি। তিন স্থাপনা বিশিষ্ট এই বাড়ির ভেতরের দিকে বিশাল খাঁচায় বিভিন্ন রকম পাখি পালা হয়। প্রতিটি স্থাপনায় রয়েছে অসাধারণ কারুকার্য করা। এসব কারুকার্য দেখলেই মন ভরে যাবে।

মৈনট ঘাট

অল্প সময়ে সহজেই ঘুরে আসতে পারেন মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাটে। দোহার উপজেলায় অবস্থিত এই চর আপনাকে সাগরের বেলাভূমির কথা মনে করিয়ে দেবে। এখানকার সূর্যাস্তের সুন্দর দৃশ্য আপনার চোখে লেগে থাকবে অনেক দিন। পদ্মার ইলিশ কিংবা নৌকায় ঘোরার ইচ্ছা থাকলে মৈনট ঘাটে ঘুরে আসতে পারেন।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago