পর্যটন বাড়াতে ৪ দেশের অংশগ্রহণে ঢাকায় ‘মুজিব’স বাংলাদেশ ট্যুরিজম প্রোমোশন’

দেশের পর্যটন খাতকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে ঢাকায় ৪ দিনব্যাপী 'মুজিব'স বাংলাদেশ: ট্যুরিজম প্রমোশন অ্যান্ড বিটুবি এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম' শুরু হয়েছে।

ভারত, নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কার প্রায় ১০০ ট্যুর অপারেটর এই প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশ বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোর আঞ্চলিক পর্যটকদের আকর্ষণের লক্ষ্যে এই কর্মসূচি আয়োজন করেছে।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবু তাহির মুহম্মদ জাবের বলেন, 'আমাদের মহামারি-বিধ্বস্ত পর্যটন শিল্পকে উত্সাহিত করার জন্য আমরা আরও আঞ্চলিক পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে চাই।'

বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিটিবি দেশে প্রথমবারের মতো এমন একটি পর্যটন প্রচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

আয়োজনে অংশ নেওয়া মোট ৯৭ জন ট্যুর অপারেটরের মধ্যে ভারত থেকে ৫২, শ্রীলঙ্কা থেকে ১৯, ভুটান থেকে ১৪ এবং নেপাল থেকে ১২ জন এসেছেন। তাদের সঙ্গে ১২৫ স্থানীয় ট্যুর অপারেটর, ট্যুরিজম সার্ভিস প্রোভাইডার এবং এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ ছিল। প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে পর্যটক আনার সর্বোত্তম প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

বিটিবি সিইও বলেন, 'ঢাকা আঞ্চলিক পর্যটকদের উপর ফোকাস করছে তাই ভারত থেকে আসা ট্যুর অপারেটররা মূলত পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্বের সেভেন সিস্টারসের সীমান্তবর্তী - আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মনিপুর, ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং অরুণাচল থেকে এসেছেন।'

'চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে আমাদের দীর্ঘতম সৈকত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য, নেপাল এবং ভুটান থেকে আসা পর্যটকদের জন্য একটি ভালো পর্যটন স্পট। পর্যটন মাস্টার প্ল্যানের অধীনে, বাংলাদেশ সরকার পর্যটন সংযোগ বাড়াতে এবং দেশের পর্যটন খাতকে উপকৃত করতে আঞ্চলিক পর্যটন সার্কিটের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার দিকে মনোনিবেশ করবে,' বলেন তিনি।

বিটিবি সব বিদেশি ট্যুর অপারেটরদের আগামীকাল রোববার কক্সবাজারে নিয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।

Comments