ঘুরতে ভুলবেন না টাঙ্গাইলের এই ৪ স্থান

ছবি: সংগৃহীত/ রায়হান

ঢাকা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরের জেলা টাঙ্গাইল। যেখানে ভাওয়ালের পাহাড়ি বনের সঙ্গে মিলিত হয়েছে যমুনা নদীর মোহনা, দেখা মেলে গারো ও কোচ উপজাতির অনন্য সংস্কৃতির। পর্যটনের জন্য খুব একটা পরিচিত না হলেও গ্রামের মনোরম পরিবেশ, গভীর বন, সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক তাৎপর্যের জন্য খ্যাতি রয়েছে টাঙ্গাইল জেলার। 

ইতিহাসের প্রতি আগ্রহ থাকলে অথবা ঢাকার আশেপাশে বেড়ানোর ইচ্ছা থাকলে টাঙ্গাইলের ৪টি জায়গা ঘুরে আসা যেতে পারে। 

মধুপুর জাতীয় উদ্যান

নিরিবিলি কোনো এক বিকেলে গভীর বনে হারিয়ে যাওয়ার অনুভূতি পেতে টাঙ্গাইলের ২০ হাজার একরেরও বেশি এলাকা জুড়ে রয়েছে মধুপুর জাতীয় উদ্যান। শহরের কোলাহল থেকে দূরে প্রশান্তির খোঁজ পেতে মধুপুর জাতীয় উদ্যানকে সেরা জায়গা মনে হয় প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে। অল্প বিস্তর পরিচিত সংরক্ষিত এই বনে রয়েছে হরিণ প্রজনন কেন্দ্র। ফলে এখানে ঘুরতে গেলে প্রকৃতির কোলে বন্যপ্রাণীদের ছুটে বেড়ানোর দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।

ছবি: সংগৃহীত

কুটিরশিল্পের পণ্য কেনার ইচ্ছা থাকলে উদ্যানের আশেপাশের কারিতাস দোকানগুলোতে যাওয়া যেতে পারে। মধুপুরে আসলে আনারসের স্বাদ নিতে ভুলবেন না যেন। এখানকার আনারসের জাত যেমন দেশসেরা, তেমনি দামে সস্তা। ঢাকা থেকে ২ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে মধুপুর শহরে আসার পর কয়েক মিনিট এগোলেই দেখা মিলবে মধুপুর জাতীয় উদ্যানের। 

ছবি: সংগৃহীত

পীরগাছা রাবার বাগান

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মধ্যে অন্যতম মনোরম স্থান হলো পীরগাছা রাবার বাগান। এখানকার বাগানে সারিবদ্ধভাবে বেড়ে ওঠা বড় বড় গাছ বছরে ২ ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করে। বর্ষাকালে গাছগুলোতে দেখা যায় সবুজের সমারোহ আর শীতকালে তারা সেজে উঠে পাতা ঝড়া সৌন্দর্যে। ফলে প্রত্যেক সময়ই বাগানে মাধুর্য বিরাজ করে।

বাগানের ঠিক পূর্ব দিকে গেলে পাওয়া যাবে রাবার কারখানা। যেখানে কাঁচা রাবার সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাতকরণ, শিট প্রস্তুতকরণের পুরো প্রক্রিয়া দেখার সুযোগ মিলবে। অনুমতি সাপেক্ষে এখানকার ফুলের বাগানঘেরা রেস্ট হাউজে থাকা যায়।

মধুপুর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে পীরগাছা রাবার বাগানে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা মোটরবাইকের মাধ্যমে যাওয়া যাবে।

আতিয়া মসজিদ

টাঙ্গাইল জেলার অন্যতম আইকনিক ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নিদর্শন হলো দেলদুয়ার উপজেলার আতিয়া মসজিদ। মুঘল ও সুলতানি আমলের অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর এই মসজিদের নকশা একসময় ১০ টাকার নোটে দেখা যেত।

ছোট পরিসরের এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির নির্মাণশৈলী বেশ আলাদা ধরনের। বাংলায় এ ধরনের মসজিদ নির্মাণশৈলী খুব একটা দেখা যায় না। টাঙ্গাইল শহর থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে আতিয়া গ্রামে অবস্থিত এই সুন্দর মসজিদটিতে অটোরিকশায় করে যাওয়া যায়।

২০১ গম্বুজ মসজিদ

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার পাথালিয়া গ্রামে অবস্থিত ২০১ গম্বুজ মসজিদ। সুসজ্জিত ২০১টি গম্বুজের এ মসজিদে রয়েছে ৮টি সুউচ্চ মিনার, যার মধ্যে ৪টি ১০১ ফুট এবং বাকি ৪টি ৮১ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট। মসজিদের পশ্চিম দিকের প্রাচীরটি এখনও নির্মাণাধীন।

চমৎকার এ মসজিদটি দেখতে বাস বা ব্যক্তিগত গাড়িতে করে গোপালপুর উপজেলায় পৌঁছাতে হবে। তারপর মসজিদে যাওয়ার জন্য যেকোনো স্থান থেকে পরিবহন পাওয়া যাবে।

অনুবাদ করেছেন আসরিফা সুলতানা রিয়া

Comments

The Daily Star  | English
government bank borrowing target

Govt to give special benefits to employees, pensioners from July 1

For self-governing and state-owned institutions, the benefit must be funded from their budgets

24m ago