যেমন ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনের শেষ জন্মদিনটি

বঙ্গবন্ধুর জীবনের শেষ জন্মদিন ছিল ১৯৭৫ সালের ১৭ মার্চ। এই দিনটি ছিল বঙ্গবন্ধুর ৫৫তম জন্মবার্ষিকী। দিনটি ছিল উৎসবের আলোয় বর্ণিল।
বঙ্গবন্ধুর জীবনের শেষ জন্মদিনের সকালটা শুরু হয়েছিল বাবার দোয়া ও আশীর্বাদ নেওয়ার মধ্য দিয়ে। ছবি: সংগৃহীত

'আজ আমার ৪৭তম জন্মবার্ষিকী। এইদিনে ১৯২০ সালে পূর্ব বাংলার এক ছোট্ট পল্লীতে জন্মগ্রহণ করি। আমার জন্মবার্ষিকী আমি কোনোদিন নিজে পালন করি নাই- বেশি হলে আমার স্ত্রী দিনটাতে আমাকে ছোট্ট একটি উপহার দিয়ে থাকত। এই দিনটিতে আমি চেষ্টা করতাম বাড়িতে থাকতে। খবরের কাগজে দেখলাম ঢাকা সিটি আওয়ামী লীগ আমার জন্মদিন পালন করছে। বোধহয়, আমি জেলে বন্দী আছি বলেই। ''আমি একজন মানুষ, আর আমার আবার জন্মদিবস''। দেখে হাসলাম। ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখি নূরে আলম- আমার সঙ্গে ২০ সেলে থাকে, কয়েকটা ফুল নিয়ে ঘরে এসে উপস্থিত। আমাকে বলল, এই আমার উপহার, আপনার জন্মদিনে। আমি ধন্যবাদের সাথে গ্রহণ করলাম। তারপর বাবু চিত্তরঞ্জন সুতার একটা রক্তগোলাপ এবং বাবু সুধাংশু বিমল দত্তও একটি শাদা গোলাপ এবং ডিপিআর বন্দি এমদাদুল্লা সাহেব একটা লাল ডালিয়া আমাকে উপহার দিলেন।'

নিজের ৪৭তম জন্মবার্ষিকী নিয়ে কারাগারে বসে এমনটাই ডায়েরিতে লিখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটিই ছিল বঙ্গবন্ধুর একমাত্র জন্মদিন, যা নিয়ে বঙ্গবন্ধু বিস্তারিত তার ডায়েরিতে লিখেছিলেন। সেই ডায়েরিই পরে 'কারাগারের রোজনামচা'নামে বই হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু তার জীবনের ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাগারে কাটিয়েছিলেন। সময়ের হিসেবে তা প্রায় ১৩ বছর। বঙ্গবন্ধুর ঠিক কতগুলো জন্মদিন কারাগারে কাটিয়েছিলেন জানা নেই। তবে ১৯৬৭ সালের জন্মদিনটি যে তিনি কারাগারে কাটিয়েছিলেন তা তার ডায়েরির পাতাতেই সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত।

বঙ্গবন্ধুর জীবনের শেষ জন্মদিন ছিল ১৯৭৫ সালের ১৭ মার্চ। এই দিনটি ছিল বঙ্গবন্ধুর ৫৫তম জন্মবার্ষিকী। দিনটি ছিল উৎসবের আলোয় বর্ণিল।

জন্মদিনের সকালটা বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন তার বাবা শেখ লুৎফুর রহমানের দোয়া নেওয়ার মধ্য দিয়ে। এ সময় বঙ্গবন্ধু অসুস্থ বাবার চরণ স্পর্শ করে আশীর্বাদ কামনা করেন। পরদিন ১৮ মার্চ দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এই ঘটনাটি।

প্রতিবেদনে বলা হয় 'গতকাল জন্মদিনের প্রত্যূষে পুত্র রোগশয্যায় শায়িত পিতার চরণ স্পর্শ করিয়া আশীর্বাদ কামনা করেন। রোগজর্জর বৃদ্ধের শীর্ণ হাত হইতে ঝরিয়া পড়িল আশীর্বাদ। আবেগাপ্লুত পিতা, পুত্রগর্বে গর্বিত পিতার আশীর্বাদ লইয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু নিচে নামিয়া আসিলেন, সাক্ষাৎ দিলেন দর্শনেচ্ছুদের- যাঁহারা তাঁহার ৫৫তম জন্মবার্ষিকীতে লইয়া আসিয়াছিলেন শুভেচ্ছার ডালি। '

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে এদিন সকালে সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দেশের বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গির্জায় বিশেষ প্রার্থনার ব্যবস্থা করা হয়। দিনটিতে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল), জাতীয় শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ মহিলা সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এদিন বিভিন্ন বিদেশি কূটনৈতিক মিশনগুলোর পক্ষ থেকেও বঙ্গবন্ধুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও উপহারসামগ্রী পাঠানো হয়। দিনটিতে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও দল-মত নির্বিশেষে সবার উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ।

জন্মদিনের বিকেলে গণভবনে শিশু-কিশোরদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু। ছবি: সংগৃহীত

১৮ মার্চ দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, `বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে কমপক্ষে ৫০ হাজার লোকের সমাগম হয়। নেতা জনতার সম্মিলনে কোনো বাধা ছিল না। ভোর সাড়ে ছয়টা থেকে ৩২নং রোডস্থ বাসভবনে নেতার সাক্ষাৎপ্রার্থীদের ভিড় শুরু হয়। কেহ ফুলের মালা, পুষ্পস্তবক, কেহবা জন্মদিনের কেক, মিষ্টিসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী লইয়া জাতিরজনকের বাসভবনে উপস্থিত হন। শুভেচ্ছা জানান, মঙ্গল কামনা করেন, বঙ্গবন্ধু প্রফুল্লচিত্তে আগতদের সকলকেই সাক্ষাৎদান করেন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সকাল ৭টা হইতে সোয়া ১১টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টাধিক কাল ধরিয়া তিনি শুভার্থীদের সাক্ষাৎদান করেন। বাকশাল, যুবলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংস্থা মিছিল সহকারে দলবদ্ধভাবে। প্রেসিডেন্ট হিসাবে সাধারণ্যে সাক্ষাৎদানের ব্যাপারে যে কড়াকড়ি বা বাধাধরা নিয়ম থাকে তাহার কোনো বালাই গতকাল ছিল না।'

অন্যদিকে ১৮ মার্চ দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল প্রখ্যাত সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্তর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা এক অসামান্য প্রবন্ধ। প্রবন্ধটির শিরোনাম ছিল 'বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের রূপরেখা'।

বঙ্গবন্ধুর ৫৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করতে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) নেতাকর্মীদের এক বিশাল মিছিল ৫৫ পাউন্ডের একটি কেক নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে উপস্থিত হয়। বঙ্গবন্ধুর ৫৫ বছর বয়সের প্রতীক হিসেবে কেকটিতে ৫৫টি চিহ্ন অঙ্কিত ছিল। একইসঙ্গে ছিল ৪টি পায়রা, যা রাষ্ট্রের ৪টি মূলনীতির প্রতীক। বঙ্গবন্ধু সেই কেক কাটেন। পরে কেকটি দরিদ্র মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

এদিন বঙ্গবন্ধু তার বাড়িতে আগত সবাইকে দেশ গঠনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করার উপদেশ দেন। তার জন্য আনা পুষ্পমাল্যের কিছু অংশ বঙ্গবন্ধু কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মাজার, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক ও ভাষা আন্দোলনে শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা অর্পণের জন্য পাঠিয়ে দেন।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে প্রথমবারের মতো দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু পুরস্কার।. ছবি: সংগৃহীত

জন্মদিন উপলক্ষে এদিন ভারতের রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এক বার্তায় ভারতীয় রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর সুস্বাস্থ্য এবং বাংলাদেশের জনগণের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ১৯৭৫ সালের ১৭ মার্চ প্রথমবারের মতো 'বঙ্গবন্ধু পুরস্কার' প্রদান করা হয়। এদিন ৩৯ জন আদর্শ চাষিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩ জন স্বর্ণপদক এবং বাকি ৩৬ জন রৌপ্যপদক লাভ করেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী এম মনসুর আলী। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু ট্রাস্ট ফান্ডের চেয়ারম্যান ও কৃষিমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন, তথ্যমন্ত্রী কোরবান আলীসহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা। সন্ধ্যায় পুরস্কারপ্রাপ্তরা গণভবনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এদিন বিকেলে গণভবনে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎ পেতে হাজির হয়েছিল বিভিন্ন সংগঠনের শিশুরা। কচি-কাঁচার মেলা, খেলাঘর, বয়স্কাউট, গার্লস গাইডসহ বিভিন্ন সংগঠনের শিশুরা বঙ্গবন্ধুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়। তাদের কলরবে মুখর হয়ে উঠে গণভবনের সবুজ প্রাঙ্গণ। বঙ্গবন্ধু নিজেও যেন কয়েক মুহূর্তের জন্য শৈশবে ফিরে যান।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে দিনটিতে জাতীয় সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। এ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করে। ১৭ মার্চ প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকাগুলোর বড় বিজ্ঞাপনগুলো ছিল মূলত বঙ্গবন্ধুকে জানানো জন্মদিনের শুভেচ্ছা। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেয়।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে এদিন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) আলোচনাসভা হয়। সভায় বক্তব্য দেন অধুনালুপ্ত কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ, অধুনালুপ্ত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ ভট্টাচার্য, রাষ্ট্রপতির বিশেষ সহকারী তোফায়েল আহমেদ, ডাকসুর সভাপতি মুজাহেদুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে দ্বিতীয় বিপ্লব তথা শোষিতের গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র কায়েমের লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করার জন্য দেশের ছাত্র ও যুবসমাজকে নতুন শপথগ্রহণেরও আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর গোটা জীবনটাই ছিল সংগ্রামে মুখর। স্বাধীনতার আগে তার বহু জন্মদিনই কেটেছে কারাগারের নির্জন কক্ষে। যেখানে ছিল না স্বজনের সাহচর্য, না ছিল জন্মদিনে ভালো-মন্দ খাবারের আয়োজন। বঙ্গবন্ধু নিজেও কোনোবারই আড়ম্বরের সঙ্গে উদযাপন করতেন না জন্মদিন। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের সময়টি ছিল চরম বিক্ষুব্ধ ও আন্দোলনের কাল। ১৭ মার্চ কয়েকজন সাংবাদিক যখন বঙ্গবন্ধুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিউত্তরে বলেছিলেন, 'আমি জন্মদিন পালন করি না। আমার জন্মদিনে মোমের বাতি জ্বালাই না, কেকও কাটি না। এদেশে সাধারণ মানুষের জীবনেরই নিরাপত্তা নাই। আমি জনগণেরই একজন। আমার জন্মদিনই কী আর মৃত্যুদিনই কী? আমার জনগণের জন্যই আমার জীবন ও মৃত্যু।'

আর কারাগারে থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন কেমনভাবে কাটত তার প্রমাণ খোদ কারাগারে বসে জন্মদিনে লেখা অংশটি। ১৯৬৭ সালে জন্মদিনে কারাগারে বসে লেখা ডায়েরির শেষাংশে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন,

'তখন বেলা সাড়ে চারটা বেজে গিয়েছে, বুঝলাম আজ বোধ হয় রেণু ও ছেলেমেয়েরা দেখা করার অনুমতি পায় নাই। পাঁচটাও বেজে গেছে। ঠিক সেই মুহূর্তে জমাদার সাহেব বললেন, চলুন আপনার বেগম সাহেবা ও ছেলেমেয়েরা এসেছে। তাড়াতাড়ি কাপড় পরে রওয়ানা করলাম জেলগেটের দিকে। ছোট মেয়েটা আর আড়াই বৎসরের ছেলে রাসেল ফুলের মালা হাতে করে দাঁড়াইয়া আছে। মালাটা নিয়ে রাসেলকে পরাইয়া দিলাম। সে কিছুতেই পরবে না, আমার গলায় দিয়ে দিল। ওকে নিয়ে আমি ঢুকলাম রুমে। ছেলেমেয়েদের চুমা দিলাম। দেখি সিটি আওয়ামী লীগ একটা বিরাট কেক পাঠাইয়া দিয়াছে। রাসেলকে দিয়েই কাটালাম, আমিও হাত দিলাম। জেল গেটের সকলকে কিছু কিছু দেওয়া হলো। ….ছয়টা বেজে গিয়াছে, তাড়াতাড়ি রেণুকে ও ছেলেমেয়েদের বিদায় দিতে হলো। রাসেলও বুঝতে আরম্ভ করেছে, এখন আর আমাকে নিয়ে যেতে চায় না। আমার ছোট্ট মেয়েটা খুব ব্যথা পায় আমাকে ছেড়ে যেতে, ওর মুখ দেখে বুঝতে পারি। ব্যথা আমিও পাই, কিন্তু উপায় নাই। রেণুও বড় চাপা, মুখে কিছুই প্রকাশ করে না। ফিরে এলাম আমার আস্তানায়। ঘরে ঢুকলাম, তালা বন্ধ হয়ে গেল বাইরে থেকে। ভোর বেলা খুলবে।'

তথ্যসূত্র:

কারাগারের রোজনামচা/ শেখ মুজিবুর রহমান

দৈনিক ইত্তেফাক, ১৭ ও ১৮ মার্চ ১৯৭৫

দৈনিক সংবাদ, ১৭ ও ১৮ মার্চ ১৯৭৫

 

[email protected]

Comments