মানিকগঞ্জে হাজারি গুড়ের মেলা
মানিকগঞ্জের হাজারি গুড়ের মেলা রূপ নিয়েছে গ্রামীণ মেলায়। মেলা মঞ্চে চলছে লোকজ গান। স্টলগুলোতে হাজারি গুড়, খেজুরের গুড়ের তৈরি হরেক রকমের পিঠা-পায়েস মেলার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।
জেলা শহরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মেলা শুরু হয়, চলবে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত।
মেলায় আগত হাজারো নারী-পুরুষের চোখে-মুখে আনন্দ-উচ্ছ্বাস। এ যেন শহরের মাঝে এক গ্রামীণ মেলা।
মানিকগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী হাজারি গুড়ের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এবং দেশব্যাপী এটি ছড়িয়ে দিতে প্রথমবারের মতো এই মেলার আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন।
মেলার উদ্বোধন করে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ মালেক বলেন, 'বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতির অংশ পিঠা-পায়েস। হাজারি গুড় শুধু খাওয়ার জন্যই নয়, এ গুড়ের পিঠা-পায়েসের স্বাদও লোভনীয়। তবে খেজুর গাছের কাঁচা রস না খাওয়া বিপজ্জনক। না খাওয়াই ভালো।'
জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার বলেন, 'শত বছরের লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য রয়েছে মানিকগঞ্জে। এই ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে হাজারি গুড়ও। এই দুই মিলিয়ে জেলার ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে 'লোকসংগীত আর হাজারী গুড়, মানিকগঞ্জের প্রাণের সুর'। হাজারী গুড়ের ঐতিহ্য ছড়িয়ে দিতে এই গুড়ের উৎপাদন বাড়ানো এবং নতুন নতুন গাছি তৈরি করতেই এই মেলার আয়োজন।'
মেলা মঞ্চে আয়োজন করা হয়েছে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা ও লোকজ গান।
মেলার ৪০টি স্টলে হাজারি গুড়, খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি নানা ধরনের পিঠা-পায়েস-মুড়ি-মুড়কি। রয়েছে খেজুর গাছের চারা, বাঁশ-বেত ও মাটির তৈরি জিনিস, বাদ্যযন্ত্র একতারা, দোতারাসহ গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্র।
প্রতিটি স্টল ও মেলা প্রাঙ্গন হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত। পিঠা-পায়েস খেতেও ব্যস্ত দেখা যায় সব বয়সীদের।
আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলামঞ্চে হবে লোকজ গান পরিবেশিত হচ্ছে।
Comments