মুক্তচিন্তার সারথি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্

বাংলাদেশের উপন্যাসের ধারায় সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল। নাটক কিংবা ছোটগল্প রচনায়ও স্বাতন্ত্র্যসূচক ছাপ সুস্পষ্ট। সাহিত্যের সমঝদার হিসেবে ওয়ালীউল্লাহ্ আমাদের পছন্দের লেখক। কারও কাছে তিনি জাতশিল্পী। আধুনিক শিল্পাদর্শে, মতবাদগত তাৎপর্যে, প্রকরণ বিচারে কিংবা পাশ্চাত্য শিল্পরীতিকে এ দেশীয় সমাজ জীবনের অনুগামী করে শিল্প-বুননে কিংবা রূপায়ণে ওয়ালীউল্লাহ্ অনন্য।

অন্যদিকে, দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগ এই উপমহাদেশের রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক ভ্রান্তি এবং বিষফোঁড়া। আর ভ্রান্তির বেশুমার মাশুল দিয়েছে গণমানুষ। এই গণমানুষের অধিকাংশই নিরক্ষর, অশিক্ষিত, অর্ধ-শিক্ষিত। অধিকারবোধহীন, আত্মসচেতনতাহীন জনগোষ্ঠীর জীবন এবং ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করেছে কথিত শিক্ষিত, প্রাগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধিরা।

তারা কেউ রাজনৈতিক, কেউ সামন্ত, কেউ আবার আধিপত্যবাদী মাতব্বর। বাংলার সাধারণ মানুষ চিরকাল এই আধিপত্যবাদী শ্রেণির কাছে ক্ষমতা, মর্যাদা এবং শক্তির সাপেক্ষে সাব-অলটার্ন থেকেছে। হাজার বছরের বাংলার লোকজীবন এই কুটিল ঘূর্ণিপাকে আবর্তিত হচ্ছে। ধর্ম এবং রাজনীতির যৌথ রথ আম জনতার জীবনযাত্রাকে ক্রমশ জটিলাবর্তে ঠেলে দিচ্ছে। ক্রমাগত বাড়ছে মানুষের জিম্মি দশা। এর থেকে যেন উত্তরণ নেই!

গত ৩ দশকে পুঁজিবাদের অপ্রতিরোধ্য জোয়ার এবং তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ-প্রবাহ, বিশ্বায়ন ও মুক্তবাজার অর্থনীতির অনিবার্য উত্থানে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি হয়েছে ঢের। ব্যক্তি-সমাজ জীবনে, রাষ্ট্র-কাঠামোতে মানবিক-সংকট ও বিপর্যয় বেড়েছে সহস্রগুণ। মানবমুক্তির সম্ভাব্য পথ গেছে সংকীর্ণ হয়ে। পূর্ব বাংলার সমাজ-জীবনের নিবিড় পাঠ এবং নিখুঁত পর্যবেক্ষণ আমরা পাই সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্'র সৃজন-কর্মে। দেশভাগের পর ঢাকা-কেন্দ্রিক সাহিত্যচর্চা শুরু হয়।

১৯৪৭ সাল পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের ধারাকে 'বাংলাদেশের সাহিত্য' নামে অভিহিত করা হয়। ১৯৪৮ সালেই সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্'র 'লালসালু' প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশের সাহিত্য ধারায় এটিই প্রথম উপন্যাস। অত্যাশ্চর্যের বিষয় হলো- এই উপন্যাসে বর্ণিত প্রেক্ষাপট-পটভূমি, চরিত্রসমূহ যেন সমগ্র বাংলাদেশেরই প্রতিচ্ছবি! সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি, ধর্মান্ধতা, অশিক্ষা-কুশিক্ষা এখনো এ দেশে প্রবল।

ধর্মের অজুহাতে এখানে অদৃশ্য নিয়ন্ত্রণ চলে আমজনতার ওপর। আমাদের মতো সমাজ-প্রগতির ধোয়া তোলা শিক্ষিতজনেরা সমাজ-পরিবর্তন, বাঁধভাঙা স্বপ্ন দেখি, যত্রতত্র রাজা-উজিরও মারি বটে। কিন্তু ইতিবাচক পরিবর্তনের আশায় কাজে নামলে প্রায়ই মনে হয়- আমরা প্রত্যেকেই যেন এক একজন 'আক্কাস!' 'লালসালু' উপন্যাসে মহব্বতনগর গ্রামে শিক্ষিত যুবক আক্কাস স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে গেলে ধূর্ত ধর্ম-ব্যবসায়ী, ভণ্ডপীর মজিদ এবং তার অনুচর গ্রামের মাতব্বর খালেক বেপারীর যৌথ আক্রমণ বাঁধ সাধে। গ্রাম্য সভায় ভরা মজলিশে মজিদ বলে ওঠে, 'তোমার দাড়ি কই মিয়া?' সকলের সামনে আক্কাস আকস্মিক অপ্রস্তুত হয়ে থতমত খায়। ভেস্তে যায় তার স্কুল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন।

ওয়ালীউল্লাহ্ কি তবে জানতেন এই ভূখণ্ডের দূর ভবিতব্য। প্রকৃত শিল্পীরা তো দূরদর্শী হন। বাংলা সাহিত্যে আবুল মনসুর আহমদ রচিত 'হুযুর কেবলা' অনন্য স্থান দখল করে আছে। পীরবাদের প্রতি সাধারণ মানুষের মোহাবিষ্টতা, ভণ্ড পীরদের কূট-কৌশল এবং শোষণ-নিপীড়নের শিক্ষিত, যুক্তিবাদী যুবক এমদাদের দ্রোহী ভূমিকা এবং পীরের দাড়িতে ধরে হ্যাঁচকা টান মারা ওই সময়ের প্রেক্ষাপটে কম সাহসের ব্যাপার নয়। পীর-প্রথার অসঙ্গতি এবং তার বিরুদ্ধে দ্রোহের রূপায়ণ 'হুযুর কেবলা'র উপজীব্য। কিন্তু সংকট-উত্তরণের রূপায়ণ দেখি না।

বিদ্রোহী এমদাদের পিঠে ভক্ত-আশেকানদের কিল-ঘুষির ঝড় বয়ে যায়। 'লালসালু'-তে শিক্ষিত যুবক আক্কাস তার দাবি নিয়ে দাঁড়াতেই পারেনি মজিদের সামনে। কিন্তু 'লালসালু'র সফলতা অন্য জায়গায়। সামগ্রিকভাবে সমস্যার স্বরূপ-সন্ধান এবং তা থেকে উত্তরণের শৈল্পিক ইঙ্গিত রয়েছে বৃহৎ ক্যানভাসে। পাশ্চাত্যের অস্তিত্ববাদী দর্শনের আলোকে মজিদ চরিত্রটি নির্মাণের প্রয়াস লক্ষ করি লেখকের সচেতন প্রয়াসে। অন্তঃসারশূন্য, সহায়-সম্বলহীন মজিদ অস্তিত্ব-সংকটে পতিত একজন মানুষ।

মহব্বতনগরে তার গমন উদ্দেশ্যহীন হলেও- মোদাচ্ছের পীরের মাজার আবিষ্কার,  গ্রামবাসীকে সম্মোহিত করা এবং ধর্মের অজুহাতে নিজের প্রতি অনুগত করে তোলা- সবই নিজের অস্তিত্বের উদ্বর্তনে করেছে মজিদ। ধর্মান্ধ, ধর্মভীরু গ্রামীণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া অধিক সহজ হয় মাতব্বর খালেক বেপারীর সহযোগিতায়। গ্রামের নিরীহ মানুষও তাকে মান্য করেই জীবনের মানে খুঁজে। দিনে দিনে শক্তিহীন মজিদ দুর্দণ্ড প্রতাপশালী হয়ে ওঠে। একটির স্থলে দুটি বিয়ে করে। পার্শ্ববর্তী গ্রাম আউয়ালপুরে নতুন পীর আসলে নিজের অস্তিত্ব নিয়ে ভেতরে ভেতরে শঙ্কাগ্রস্ত হয়ে ওঠে। এমনকি আউয়ালপুরের পীরের কাছে লুকিয়ে যাওয়া গ্রামবাসীকে মজিদ ভয়ানক শাস্তি দেয়। খালেক বেপারীর স্ত্রী আমেনাকে তালাক দিতে বাধ্য করেন কূটকৌশলে।

উপন্যাসের শেষে শিলাবৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়া, মাজারের সঙ্গে বেঁধে রাখা অবাধ্য ছোটবউ জমিলার অচেতন পা মাজারের গায়ে লেগে থাকা প্রভৃতিকে অনেকে প্রতীকী প্রতিবাদ বা দ্রোহ হিসেবে দেখেন। মাজারের গায়ে জমিলার পা লাগার বিষয়টি সচেতন মনের প্রয়াস নয়। কিন্তু শিলাঝড়ে কৃষকের ফসলহানি মজিদের প্রতি গ্রামবাসীর প্রবল আস্থার ভিতকে নড়বড়ে করে দেয়। মজিদের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। এটিকে আমরা 'অস্তিত্বের দর্শন' বলতে পারি।

বইতে অস্তিত্ববাদের লক্ষণ আছে- পরিণতি নেই। ফলে ওয়ালীউল্লাহ্'র পীর-প্রথার অসারতা কিংবা ধর্মান্ধতাকে 'হুযুর কেবলা'র এত বছর পরেও 'লালসালু'-তে উপজীব্য হলে আমরা অবাক হই না। কেননা এই সমস্যা লেখকের সমকালে যেমন প্রকট ছিল, আজকের বাংলাদেশেও অধিক। তবে আবুল মনসুর আহমদ রচিত ছোটগল্প, যা প্রবলভাবে ব্যঙ্গাত্মক। অপরদিকে, 'লালসালু' বাংলাদেশের চিরায়ত গ্রামীণ জীবনের পটভূমিতে রচিত একটি শৈল্পিক এবং সিরিয়াস উপন্যাস।

'লালসালু' এখনো গ্রাম-বাংলার অকৃত্রিম জীবন এবং সমাজ বাস্তবতার রূপায়ণ। অসাড় বিষয়কে ধর্মীয় বাতাবরণে উপস্থাপন করে সাধারণ জনগোষ্ঠীকে নিয়ত প্রতারিত করার বয়ানই 'লালসালু।' 'ধান দিয়া কী অইব, জান যদি না থাহে' কিংবা 'শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, ধর্মের আগাছা বেশি'- এমন সাহসী উচ্চারণে তিনি মূলত ধর্মান্ধতা, গোঁড়ামি, কুসংস্কার-কুপ্রথার মূলে কুঠারাঘাত করেছেন। 'লালসালু' পাঠের উপযোগিতা এখানেই যে- তার সাহিত্যে চিরত্ব গুণ আছে। বর্ণিত সমাজ ও জীবন-বাস্তবতার এমন আপত্তিকর মহড়া এবং মঞ্চায়ন আমরা আজও একবিংশ শতাব্দীর এই প্রিয় বাংলাদেশে হরহামেশাই দেখি।

সমাজ-রাষ্ট্র কাঠামোর পরতে পরতে আমরা আজও সেই মজিদরূপী অশুভ নিয়ন্তাদের কাছেই যেন জিম্মি। ওয়ালীউল্লাহ্ সাহিত্যে পাশ্চাত্যের আধুনিক শিল্প-মতবাদের সফল রূপায়ণ আমরা লক্ষ করি। বিশেষ করে অস্তিত্ববাদী দর্শন, চেতনাপ্রবাহরীতি, অ্যাবসার্ড ভাবনার আলোকে স্বতঃস্ফূর্ত শিল্পভাষ্য নির্মাণ করেন তিনি। তবে সবই করেন স্বদেশের নিজস্ব জীবন-সংস্কৃতির অনুগামী করে। ফলে বহিরাগত শিল্পভাবনা কখনো বেখাপ্পা মনে হয় না। তিনি কেবল তাত্ত্বিক নন, বরং যথার্থ জীবনশিল্পী। সমাজ বাস্তবতা ও জীবন-সংকটের রূপায়ণ তিনি সমাজমনস্ক দায়বদ্ধ শিল্পীর মতোই করেন। তার 'লালসালু', 'চাঁদের অমাবস্যা', 'কাঁদো নদী কাঁদো', 'কদর্য এশীয়', প্রভৃতি উপন্যাসে কিংবা বিখ্যাত গল্পগ্রন্থ 'নয়নচারা', 'দুই তীর ও অন্যান্য গল্প' এবং বিখ্যাত নাটক 'বহিপীর', 'উজানে মৃত্যু', 'সুড়ঙ্গ', 'তরঙ্গভঙ্গ' অসাধারণ শিল্পসৃষ্টি।

আঙ্গিক ও প্রকরণে শুধু নয়, বাঙালি সমাজ ও জীবনকে এমন তীক্ষ্ণ এবং গভীরভাবে রূপায়ণের শক্তি খুব কম বাঙালি লেখকেরই আছে। অস্তিত্ববাদী দর্শনের আলোকে রচিত 'চাঁদের অমাবস্যা'-কে বাংলা উপন্যাসের ধারায় সবচেয়ে সফল উপন্যাসরূপে বিবেচনা করা যায়। একটি হত্যাকাণ্ড অপ্রকাশিত এবং বিচারহীন থেকে যাবে কিনা- এই আত্মজিজ্ঞাসা হত্যাকাণ্ডের একমাত্র সাক্ষী যুবক শিক্ষক আরেফ আলীর মনে যে সংকট তৈরি করে তা অনবদ্য। বড়বাড়িতে লজিং থাকা আরেফ আলী বাড়ির ছোটকর্তা কাদেরের হত্যাকাণ্ড প্রকাশ করলে নিজের অস্তিত্ব সংকটে নিপতিত হতে পারে- এই দুর্ভাবনায় পড়ে।

অপরদিকে, নিজের অস্তিত্ব টিকে থাকলে সামাজিক দায়বোধও অনুভব করে। সংকটের ভেতর দিয়ে আরেফ আলীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং হত্যাকাণ্ডটিকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার তৎপরতা দেখানো শুধু অস্তিত্ববাদকেই রূপায়িত করে না; বরং বাঙালি মধ্যবিত্তের জীবন এবং সামাজিক সংকটকে প্রকটিতও করে। বড়বাড়ির ছোটকর্তা কাদেরের হত্যাকাণ্ড প্রকাশ করলে যুবক শিক্ষক আরেফ আলীর লজিং হাতছাড়া হয়ে যাবে এবং পরিবারের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে- এমন আশঙ্কা মূলত মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্ত জীবনেরই প্রতিফলন। সমস্ত দ্বিধা কাটিয়ে একপর্যায়ে আরেফ আলীর সামাজিক দায়বদ্ধতায় উজ্জীবিত হওয়া কার্যত সমাজ-সভ্যতায় এই শ্রেণির সামাজিক এবং নৈতিক দায়। আইয়ুবি সামরিক শাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট শ্বাসরূদ্ধকর পরিস্থিতি, সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের সমস্যা-সঙ্কুল জটিলাবর্ত থেকে উত্তরণের দায়বদ্ধতাই আরেফ আলী চরিত্রের ভেতর দিয়ে প্রতিকায়িত হয়েছে- এমন ভাবনা অমূলক নয়।

'কাঁদো নদী কাঁদো' উপন্যাসে কুমুরডাঙা গ্রামের পটভূমিকায় মূলত তৎকালীন পূর্ববাংলার নানাবিধ সমস্যাকেই রূপায়িত করেন তিনি। কাহিনীর কেন্দ্রে অবস্থান করছেন একজন প্রতিষ্ঠিত যুবক মুহাম্মদ মুস্তফা। পেশায় একজন বিচারক। অথচ তার মনস্তত্ত্বের জটিলরূপ প্রত্যক্ষ করলে আঁতকে উঠতে হয়! মুহাম্মদ মুস্তফার বেড়ে ওঠা, বাবার কুটিল-অসৎ জীবনাচার তার চৈতন্যে সীমাহীন ক্রাইসিস তৈরি করে শৈশবেই। বড় হয়ে, প্রতিষ্ঠিত হয়েও এই মনোজাগতিক সংকট থেকে মুক্ত হতে পারেন না মুস্তফা। ভেতরে এক অসহনীয় বিষাদ বয়ে বেড়ান তিনি। কোনোভাবেই সুখী হতে পারেন না। বাইরের ঘটনাপ্রবাহও তার সেই অসুখকে বাড়িয়ে তোলে। শেষপর্যন্ত আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত একজন মানুষ। বাংলা সাহিত্যে এমন শৈল্পিক রূপায়ণ সত্যিই বিরল। 'উজানে মৃত্যু' নাটকে তার অ্যাবসার্ড ভাবনা জীবনের প্রতি তীব্র কটাক্ষই হানে। জীবনের প্রতি তীব্র অনুরাগ, স্বপ্ন-প্রত্যাশার সঙ্গে সীমাহীন অসঙ্গতিই মূলত মানবমনে অ্যাবসার্ডিটির জন্ম দেয়। এ কালে বাঙালি জীবন সম্ভবত সবচেয়ে অসঙ্গতিতে পরিপূর্ণ।

ফলে ওয়ালীউল্লাহ্ অ্যাবসার্ড ভাবনাজাত নাটকের প্রাসঙ্গিকতা এ কালেও প্রাসঙ্গিক এবং সব কালেই এর প্রাসঙ্গিকতা থাকবে। সমাজমনস্ক, উদার-অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী এই জীবনশিল্পীর নিপুণ পর্যবেক্ষণ শক্তি আমাদের বিস্মিত করে। এই মহৎ শিল্পী আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। মাঝে মাঝে বিস্ময়ে ভাবি- যুদ্ধকালে বাংলাদেশে থাকলে তিনিই হয়তো সকল বুদ্ধিজীবীর আগে শহীদ হতেন!

মোহাম্মদ শেখ সাদী: সহযোগী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

Comments

The Daily Star  | English

CSA getting scrapped

The interim government yesterday decided in principle to repeal the Cyber Security Act which has been used to curb press freedom and suppress political dissent.

5h ago