নজরুল সংগীত বৈভব : অন্বেষা ও বীক্ষা
কাজী নজরুল ইসলামের প্রধান পরিচয় কী? কবি না গীতিকার? যদিও এসব পরিচয়ের বাইরে তিনি কথাশিল্পী-নাট্যকার-প্রাবন্ধিক, সুরকার-শিল্পী, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক ছিলেন। কিন্তু সংবাদজগতে কিংবা রাজনৈতিকভুবনে তার অবদান কালে কালে ঢাকা পড়েছে কবিতার প্রভায়। আর, সরলচিন্তার আড়ালে দাঁড়িয়ে যদি পর্যবেক্ষণ করা হয়, তাহলে ঠিকই অনুধাবন করা যাবে- পাঠকমহলে কবি হিসেবে তার স্বীকৃতি থাকলেও সাধারণের কাছে তিনি সত্যিকারভাবেই বেঁচে রয়েছেন সংগীত স্রষ্টা পরিচয়ে।
সমকালে এবং উত্তরকালে নজরুলসংগীতের প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা ব্যাকরণিক বিশ্লেষণ হয়েছে নানান আঙ্গিকে। গানের কারিগর হিসেবে তাকে অনেকেই মূল্যায়ন করেছেন; দেখেছেন তার শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গিও। কিন্তু এই কবির সংগীতের বাণীর বৈভব, বীণার ঐশ্বর্য বিশেষ করে গানের সঙ্গে প্রাণের যোগ স্বতন্ত্রভাবে আলোকপাত করেছেন খুব কম গবেষক বা সংগীতবোদ্ধা।যেখানে সুর-তাল-লয় নয়, প্রাধান্য পেয়েছে অনুভবের প্রখরতা। আর তাই, একজন নিবিড়শ্রোতার চোখে নজরুল কেমন গীতিকার, হৃদয়ে তার গান কী সুধা ঢালে সকালে, দুপুরে ও সন্ধ্যায়? সে বিবেচনা ও বিবরণ নিয়ে কবি আমিনুল ইসলাম কাজী নজরুল ইসলামকে অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছেন। প্রকাশ করেছেন নজরুলসংগীত: বাণীর বৈভব (বাংলা একাডেমি)। প্রাবন্ধিক আমিনুল ইসলাম এখানে কোনো পক্ষ অবলম্বন করেননি; নজরুলের সংগীতে যা আছে, তা কেবল প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন।
গ্রন্থটি প্রথমেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিষয়সূচির বৈচিত্র্যে ও অভিনবত্বে। বিষয়ানুগ বিশ্লেষণ হলেও এখানে প্রাধান্য পেয়েছে প্রাণের টান। দ্বিতীয়ত, বইটিতে স্থান পেয়েছে গানের নিবিড় পর্যালোচনা- গভীর গভীরতর অনুধাবন। আর এর তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হলো- তুলনামূলক আলোচনা। গ্রন্থটি রচনার আগে ও রচনার সময়ে লেখককে নজরুলের অসংখ্য গান শুনতে হয়েছে, পাঠ করতে হয়েছে; শুনতে হয়েছে রবীন্দ্রনাথের কিংবা লালনের গানও। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তাঁর দীর্ঘদিনের কাব্যপাঠ ও গানশোনার স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা। আর বিশেষভাবে তিনি নির্ভর করেছেন কল্পনা ও পরিকল্পনার ওপর। গ্রন্থটির সমালোচনায় প্রবেশের আগে জেনে নেওয়া যেতে পারে নজরুল সম্বন্ধে এই গবেষকের সাধারণ ধারণা। প্রসঙ্গে একটি উদ্ধৃতি :
বহুমাত্রিক সৃজনশীল সত্তা হিসেবে নজরুল অতুলনীয় এখানেই যে, তিনি মানুষের সবটুকু আবেগ-অনুভব অজস্র কবিতা, গান ও কথাশিল্পে দারুণ মুন্সিয়ানার সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন। আর এটি সাধারণ ব্যাপার নয়; সাধারণের ব্যাপারও নয়। তিনি অসাধারণ মানুষ ছিলেন; তার রুচি, পছন্দ ও চাহিদাও ছিল অনন্যসাধারণ। তার বিরহ-মিলন ভাবনাও আর দশজন কবির ভাবনা থেকে অনেকখানি পৃথক। আর বিরহের গানে নজরুলের কোনো জুড়ি নেই। এ ক্ষেত্রে তিনি অতুলনীয় সুরের বৈচিত্র্যে এবং বাণীর গভীরতায়। মানুষকে সহজেই হৃদয়-মন উজাড় করে ভালোবাসার সহজাত অভ্যাস এবং একাধিক ব্যর্থ প্রেমের জ্বালা বুকে ধারণ করে নজরুল হয়ে উঠেছিলেন বিরহের বরপুত্র। তবে সে বিরহ কোনো হা-হুতাশ আর হাহাকারের নয়, সে বিরহ অর্থগর্ভ হয়ে উঠেছে মিলনের জন্য ব্যাকুল পিপাসা আর গভীর প্রত্যাশার ঐশ্বর্যে। ফলে তাঁর বিরহের গান প্রায়শ ছুঁয়ে ফেলে মিলনের শরীর। (পৃ. ২৫৩)
নজরুলের ইতিবাচকতা বাঙালির চিন্তাভুবনে এক অনন্য সংযোজন। তিনি কঠোর-কঠিন প্রতিকূলতার ভেতরেও ইতিবাচক ভাবনাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছিলেন। গভীর দুঃখকেও তিনি আনন্দের ভেলায় ভাসিয়ে পৌঁছে দিতে পেরেছেন জনতার দুয়ারে। নজরুলের বিশেষত্ব এই যে, তিনি বিদ্রোহকে অহংকারে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনিই একমাত্র বাঙালি; কিংবা অদ্বিতীয় ভারতীয়, যিনি নিজের নামের সাথে 'বিদ্রোহী' শব্দটির ইতিবাচক ব্যঞ্জনা নির্মাণ করেছিলেন। সাধারণভাবে 'বিদ্রোহ' বা 'বিদ্রোহী'কে লোকেরা নেতিবাচকঅর্থে বুঝে থাকেন। ব্যক্তি, সমাজ অথবা রাষ্ট্র বিদ্রোহীকে জায়গা দেয় না। 'বিদ্রোহী'র ভাগ্যে কেবল নিন্দা ও বহিষ্কারের বেদনা জুটে থাকে। নজরুল তার প্রাতিস্বিকতা দিয়ে সেই ধারণাকে পাল্টে দিয়েছেন। তার নামের সঙ্গে বিশেষণটি নতুনমাত্রায় শোভিত হয়ে আছে। - এই যে অনন্য এক নজরুল; এই যে তার আলাদা সত্তা- যেখানটায় তিনি পৃথক হতে হতে আলাদা হয়ে পড়েছেন, তার সেই সুর ও স্বরকে ধরতে পেরেছেন সংগীতমুগ্ধ আমিনুল ইসলাম।
নজরুল কেন আলাদা- ভারতবর্ষে সংগীতময় ভুবনের এই ভিড়ের মধ্যেও তাকে কেন সহজেই চিনে ফেলা যায় অথবা তিনি কী কারণে সাধারণ মানুষের কাছে ও কাতারে মিশে যেতে পারলেন, তার-ই প্রায়-অনুদঘাটিত রহস্য অন্বেষা ও উন্মোচনের চেষ্টা আছে আমিনুল ইসলামের বর্তমান নজরুলবীক্ষণে। সে প্রসঙ্গে আমিনুল জানাচ্ছেন :
নজরুল ছিলেন বৃহত্তর জনগণের লোক। শহর কলকাতাতে বসবাস করলেও কোনো বিশেষ শ্রেণির মানুষের মধ্যে আবদ্ধ ছিল না তার চলাচল। সকল পেশার সকল শ্রেণির সকল ধর্মের এবং সকল বয়সের মানুষের সাথে প্রাণ খুলে মিশেছেন তিনি। খুব সহজেই তাদের লোক হয়ে উঠেছেন এবং তাদেরকেও একইভাবে আপন করে নিয়েছেন। পণ্ডিত থেকে পথচারী, শহরবাসী ভদ্রলোক থেকে মাঠের রাখাল সবাই ছিলেন তার আত্মার আত্মীয়। পর কাকে বলে এটা তার সিলেবাসে ছিল না। তিনি ব্যক্তিজীবনেও সকল মানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। তাঁর এই জনমুখী চরিত্রবৈশিষ্ট্য তার সাহিত্য-সংগীত সাধনার লক্ষ্য নির্ধারণে সিদ্ধান্তমূলক প্রভাব ফেলেছে। তার কবিতার মতো তার গানও সকল শ্রেণির মানুষের উদ্দেশ্যে রচিত হয়েছে। ফলে নজরুল রচিত গান অচিরেই সকলের গানে পরিণত হতে পেরেছে। (পৃ.২)
'নজরুলসংগীত : বাণীর বৈভব' বইটি কেবল ব্যক্তিগত বিবেচনা বা আবেগ-মোড়ানো কিছু অনুচ্ছেদের সমারোহ নয়- কোনোরকম পাণ্ডিত্যও জাহির করার চেষ্টা করেননি আবেগপ্রবণ কবি আমিনুল। আবেগ খানিকটা আছে বটে এখানে- তবে তা শুধু নজরুলকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে এবং তার সংগীতকে অনুধাবনের ব্যাপারে। কিন্তু বিশ্লেষণের সময় তিনি গবেষকের চোখ অটল রেখেছেন। সমকালে এবং উত্তরকালে নজরুলের সংগীতকে সাধক-সমর্থকেরা কীভাবে মূল্যায়ন করেছেন, সে সবেরও আশ্রয় নিয়েছেন পর্যালোচক আমিনুল। আমি বরং সমালোচক হিসেবে নয় গবেষককে পর্যবেক্ষক বা পর্যালোচকের কাতারে ফেলতে আগ্রহী।
বিষয় বিন্যাস করে ভিন্ন ভিন্নভাবে নজরুলের সংগীতের রস ও স্বাদকে পাঠকের কাছে, শ্রোতার কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছেন তিনি। সব খাবার একসাথে মিশিয়ে খেলে কিংবা অনেক প্রকারের রস একগ্লাসে পান করলে যেমন তার স্বাদ কিংবা মজা গ্রহণ করা সম্ভব নয়, তেমনই নজরুলের সবধরনের গানকে এক করে ফেললে এই সংগীতসাধককে চিনতে পারা যাবে না- সহজ সত্যটি আমিনুল বুঝতে পেরেছেন।
কারো কোনো ছবির অ্যালবাম কিংবা কোনো প্রদর্শনীতে চিত্র (পেইন্টিং) দেখার সময় দুরকমের ব্যাপার ঘটতে পারে- এক. পাতা উল্টে দ্রুত ও সহজে দেখে ফেলা কিংবা একনাগারে খুবই কম সময়ে চিত্র প্রদর্শনী ভিজিট সম্পন্ন করা; দুই. অ্যালবামের পাতা উল্টাতে গিয়ে কোথাও কোথাও থেমে থেমে দীর্ঘ সময় ধরে দেখতে থাকা অথবা চিত্রশালায় কোনো একটি ছবির নিচে বা পাশে অপলক নয়নে চেয়ে থাকা বা মগ্ন হয়ে পড়া। এই যে দেখা ও অনুভবের পার্থক্য- এখানটায় কাজ করে পরিচিতি এবং শিল্পবোদ্ধার ধারণা ও অভিজ্ঞতা। কারো নিজের বা পরিচিত লোকের অ্যালবাম হলে ছবিগুলো কেবল ছবি নয়- গল্প হয়ে চোখের সামনে দাঁড়ায়।
আবার চিত্রকলা-বুঝতে-পারা লোকেরা যেভাবে পেইন্টিংসে আনন্দ খুঁজে পাবেন, সাধারণে তেমনটা পাবেন না- ছবি-না-বোঝা লোকেদের কাছে ছবিগুলো বিশেষ কোনো ব্যঞ্জনা প্রকাশ করে না। সংগীতের বিষয়েও ওই একই কথা খাটে; কান পেতে গান শোনা আর গানের ভেতরে প্রবেশ করা এক কথা নয়- ডুবতে না পারলে সংগীতের সুধা আহরণ করা অসম্ভব। আমিনুল ইসলামের ক্ষেত্রে যে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা আন্দাজ করা যায়। কেননা, তিনি নজরুলসংগীতকে অনুভবজ্ঞানের নিবিড়তায় ধারণ করেছেন এবং ইনপুটকে আনন্দসহকারে আউটপুটে প্রবাহিত করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রসঙ্গত একটা উদ্ধৃতি নিচ্ছি:
চিত্রকল্পের মধ্যে বুদ্ধি, আবেগ ও সময়ের ত্রিমুখী মিথষ্ক্রিয়া বর্তমান। চিত্রকল্প শুধু ছবি, এ হচ্ছে ছবির জীবন্ত সত্তায় উন্নীত হওয়া। বিষয় নানাধরনের বলে চিত্রকল্পও নানা রকমের হয়। নজরুলসংগীত সংরক্ত আবেগের সৃষ্টি। সেজন্য নজরুল সংগীতের বাণীর মধ্যে ব্যবহৃত চিত্রকল্পসমূহ জীবন্ত ও গতিশীলতার ব্যঞ্জনায় ভরপুর। এসব চিত্রকল্পময় বাণী পাঠকালে বা শোনার সময় আমাদের অনুভূতি স্পর্শিত হয়, আমাদের আবেগে দোলা লাগে, আমাদের প্রাণে সাড়া জাগে। এসব চোখ দিয়ে দেখার জিনিস নয়, সংবেদনশীলতা দিয়ে অনুভবের বিষয়। (পৃ.৬৬)
কবিরা কি নবীর শেষতম ও অষ্পষ্ট কোনো ছায়া হয়ে পৃথিবীতে আসেন? তারাও কি ওহী বা বাণী লাভ করেন? কোনো বার্তা না পেলে কী করে লিখতে পারেন, বলতে পারেন এমনসব কথা? কবির গীতিকবিতা বা সংগীত যখন মানুষের কাছে বাণী পৌঁছে দেয়, তখন কখনও কখনও সেগুলোকে ঐশ^রিক মনে হতে পারে। অন্তত তাঁরা যে আলাদা মানুষ, তা তো তাদের সৃষ্টির মাধুর্য থেকেও অনুমান করা যায়। কবিদের কথামালায় কিংবা সংগীতের অতলে যে কল্পনার বাস, তা কি সবসময় কাকতালীয়; তাদের অনুভব কিংবা জ্ঞান কি সবসময় বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে প্রতীয়মান হয়? হয়তো না।
গ্রামীণজীবনের ভাষ্যকার কবি জসীম উদ্দীনের বহুলপঠিত 'কবর' কবিতার কথা মনে করা যেতে পারে- 'এইখানে তোর দাদীর কবর ডালিম গাছের তলে/ তিরিশ বছর ভিজিয়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।' - কখনও কি মনে হয়েছিল কোনো পাঠকের, কেন তিরিশ বছর লিখতে হলো কবিকে- উনত্রিশ কিংবা একত্রিশও তো হতে পারতো? আমরা কখনও এসব নিয়ে ভাবিনি; আজও ভাবতাম না, যদি না শুনতাম- ফরিদপুরের তাম্বুলখানা গ্রামে জসীম উদদীনের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীকে তিরিশটি বছর ধরে চোখের জল ফেলতে হয়েছে। নজরুলসংগীত : বাণীর বৈভব বইটির রচয়িতা কবি আমিনুলকেও সেইরকম এক ভাবনায়, নজরুলসংগীতের নিবিড়-শ্রবণকালে, ভ্রান্তিতে পড়তে হয়েছে (হয়তো অনেকেই এমনতরো ভেবেছেন)। তিনি লিখেছেন :
'ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি' শীর্ষক যে গানটি রচনা করেছিলেন, সেটি তার জীবনে সত্য হয়ে ধরা দিয়েছিল। চল্লিশের দশকের শুরুতেই নির্বাক এবং কর্মশক্তিহীন হয়ে পড়ার পরও কবি অগণিত ভক্তকুলের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বেঁচেছিলেন আরও বহু বছর। তিনি বাঙালির একমাত্র স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছেন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের সাথে সাথে। এত সমাদর, এত ফুলের শ্রদ্ধা আর কার কপালে জুটেছে? কিন্তু কবি সেই যে বাকহারা হয়ে গেছিলেন, আর কথা ফোটেনি মুখে। সত্যিকার অর্থেও অতঃপর তিনি ফুলের জলসায় নীরব থেকেছেন আমৃত্যু। কবি কি তাঁর জীবনের শেষদিকটা অন্তর্দৃষ্টি ও দিব্যদৃষ্টি দিয়ে আগাম দেখতে পেয়েছিলেন? 'ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি' গানটি তেমনভাবে ভাবতে প্ররোচিত করে আমাদের। (পৃ. ২২৬)
বইটির বিশেষত্ব এখানে যে, তিনি কেবল তথ্য-উপাত্ত দিয়েই সন্তুষ্ট থাকেননি; বরং গানগুলোর পরিপ্রেক্ষিত, প্রতিবেশ এবং বিশেষত ভেতরের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। বিভিন্ন শিল্পীর কণ্ঠে গান শুনে সুরের বৈচিত্র্য, ভিন্নতা এবং চমৎকারিত্ব যেমন উদ্ঘাটন করেছেন, তেমনই অসংখ্য গানের মধুরতার স্পর্শ সাহিত্যিক কৌশলে প্রকাশ করেছেন। আমিনুল এখানে পাঠকের চেয়ে অধিকমাত্রায় শ্রোতার ভূমিকায় অবতীর্ণ থেকেছেন।
Comments