বিপ্লব ত্বরান্বিত করেছে প্রতিবাদী নারীকণ্ঠ

আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ‘বাংলা ব্লকেড' চলবে। ৭ জুলাই, ২০২৪। ছবি: ইউএনবি

এক জীবনে দুটো গণ-অভ্যুত্থান দেখেছি। নব্বইয়ের অভ্যুত্থানে সরাসরি অংশ নিয়েছিলাম, ২০২৪ সালে কাছ থেকে দেখেছি। দুর্ভাগ্য, মুক্তিযুদ্ধের পর আর কোনো গণ-অভ্যুত্থান হবার কথা ছিলো না একটি গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের জন্য। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। ৫৩বছরে দুটো গণঅভ্যুত্থান হলো।

২০২৪সালে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণ-অভ্যুত্থান হয় ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারকে উৎখাত করে 'বৈষম্য মুক্তি'র জন্য।   আমার ধারণা, এতে সমস্যা পুরোপুরি যাবে না। ভবিষ্যতে আরও গণ-অভ্যুত্থান হবে, যতদিন না আমরা বৈষম্যমুক্ত একটা গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ে তুলতে না পারবো। গভীরতায় ও ব্যাপকতায় এক একটা গণ-অভ্যুত্থান অন্যটাকে ছাড়িয়ে গেছে।  এবারের গণ-অভ্যত্থানের বৈশিষ্ট্য চমৎকৃত করে আমাদের। 

২০০৯-২০২৪ কালপর্বে একখলতন্ত্রের যে তাণ্ডব চলেছে তার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার উত্থানে বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য দেখা যায়, যা অতীতে দেখা যায়নি। প্রথমত নির্দলীয় চরিত্র। ফ্যাসিজম টিকিয়ে রাখার অনেকগুলো কৌশলের মধ্যে একটি ছিলো বিরাজনীতিকরণ। এসময়ে 'বিএনপি-জামাত-শিবির'কে গালিবাচক শব্দে পরিণত করা হয়। কাউকে চেতনাবিরোধী, কাউকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকার ট্যাগ দেওয়া হয়।

দেশের প্রায় একতৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠীর ইবতেদায়ি ও কওমি মাদ্রাসার মানুষজনকে জঙ্গী নামে স্টিগমাটাইজড করা হয়। সমাজে এভাবে বিরুদ্ধ মতের  জনগোষ্ঠীকে  ভগ্নাংশ করে তাদের বিকাশের পথ রুদ্ধ করে ফেলা হয়। ফলে সাধারণ মানুষের নির্দলীয় ভাবে সংগঠিত হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না। মাত্র ২৪দিনের প্রতিরোধ আন্দোলনে  শিক্ষক-অভিভাবক-পেশাজীবী-শিল্পী- কবি সমাজ যুক্ত হয়ে যায় অস্বাভাবিক দ্রুততায়। এ-গণআন্দোলনের নির্দলীয় চরিত্রের অন্যতম  বৈশিষ্ট্য তারুণ্য নির্ভরতা। তারুণ্যের ভাষা আলাদা, প্রতিরোধের উপাদান আলাদা।

প্রতিটি আন্দোরনে প্রথম সারিতে পুরুষের সঙ্গে সমানতলে লড়েছেন নারীরা ও। ছবি: সংগৃহীত

একখলতন্ত্রের বার্ধক্য জর্জরিত কৌশল তারুণ্যের ভাষা পাঠ করতে অক্ষম ছিলো। ছাত্ররা প্রথমে শিক্ষকদের যুক্ত করেছে, তারপর বাবা-মাদের নামিয়েছে। এর অসংখ্য প্রমাণ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে আছে। এসূত্রেই বলা যায় প্রযুক্তির ব্যবহার এ-গণআন্দোলনের আরেকটি অভিনব আবিষ্কার। সে জন্য গত ১৬বছরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে দুঃশাসন চালানো হয় এক পর্যায়ে সে প্রযুক্তিই নিষ্ক্রিয় করতে বাধ্য হয় সরকার।  তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। প্রযুক্তি এখন গণমানুষের প্রতিরোধের অস্ত্র। ভিডিও করে রাখা ক্লিপগুলো পরবর্তী সময়ে বারুদে আগুন লাগানোর মতো কাজ করে।  যে বিষয়টি নিয়ে আমাদের আলোচনা তা হলো,  এ-আন্দোলনে নারীর অংশগ্রহণ। গোটা গণ-আন্দোলনে নারী অন্যতম শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। আলোচনায় ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিও ক্লিপের মাধ্যমে নারীর অংশগ্রহণের প্রবণতা, বৈশিষ্ট্য ও পরিণতি বোঝার চেষ্টা করেছি। 

৩ 

১. ভয় বাংলায়, ভয় বাংলায়,  ভয় বাংলায় ভয়,

এ-বাংলা নাকি তাদেরও, আর অন্য কারে নয়। 

জয় ক্ষমতার, জয় ক্ষমতার,  জয় ক্ষমতার জয়,

এ-দেশ নাকি ক্ষমতারই, আর অন্য কারো নয়। — 

গানটি গেয়েছেন ফারজানা ওয়াহিদ শায়ান। শায়ানের মাথায় ছোট চুল, ছেলেদের মতো করে ছাঁটা। পরনের পোশাকও ছেলেদের। শায়ান ঠিক বাংলাদেশের নারীর জন্য প্রচলিত কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্ধারিত পোশাকে অভ্যস্ত নন। তিনি পোশাকে ডিসকার্সিভ চর্চায় অভ্যস্ত। ভিডিওটা দেখলাম মনোযোগ দিয়ে। তাঁর সামনে একটা কালো ব্যানার, পেছনে ও সাথে কজন নারী ও পুরুষ মানুষ তাঁর সঙ্গে গলা মেলাচ্ছে।  শাওনের ভিডিওটিতে সাবরিনা হক ইথি মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন " বাংলার প্রতিবাদী কণ্ঠ। "  এটাকে আমরা ইগনোর করতে পারি না। এ-আন্দোলন কিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে আমাদের। প্রচলিতচর্চা বা প্রথাগতচর্চা আর প্রতিবাদিচর্চা এক সুরে কথা বলছে। তাদের প্রতিবাদী কণ্ঠ সম্মিলিতভাবে একটা জায়গায় আঘাত করছে। বাংলাদেশে এমন পরস্পর বিপরীতধর্মী বিরুদ্ধভাবের মিল অতীতে আর দেখা যায় নি। 

২. কে এসেছে, কে এসেছে, 

পুলিশ এসেছে, পুলিশ এসেছে,

কী করছে, কী করছে, 

স্বৈরাচারের পা চাটছে, স্বৈরাচারের পা চাটছে।  

ঠাকুরগাঁওয়ের একটা মেয়ে পুলিশকে দেখিয়ে দেখিয়ে শ্লোগান তুলছে।  মেয়েটার পেছনের সারিগুলোতে থাকা শ্লোগানধারী ছেলে ও মেয়ে। মেয়েটির গলায় ওড়না ঝোলানো, পরনে সালোয়ার-কামিজ। মাথায় কাপড় নেই। পুলিশ নির্বিকার দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনছে। বসে থাকা মেয়েগুলোর কারো হিজাব আছে, কারোর নেই। বিগত পনেরো বছরে আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো যে বয়ান হাজির করে তা এক্সক্লুসিভ(ছাঁটাইপ্রবণ)। 

এতে মাদ্রাসা শিক্ষা, ইসলাম, মুসলমান, জঙ্গী জাতীয় শব্দগুলো ঘুরে ফিরে আসে। এ-শব্দগুলো কেন্দ্রিক জনতাকে দেশের মূল স্রোতধারা থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। জঙ্গি, জামাত-শিবির, স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী বিএনপি ট্যাগ লাগানো প্রচারণা আর গোয়েন্দা সংস্থার আয়োজনে এদের গুম বা কারারুদ্ধ করা, চাকরিচ্যুতি, সরকারি চাকরি  থেকে বিরত রাখার ফলে এ-বর্গের (জনগণের প্রায় এক তৃতীয়াংশ)  নারী পুরুষ মূল স্রোতধারা থেকে বাদ পড়ে যায় কিংবা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কেবল কয়েকটি মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে বা মাদ্রাসাগুলোতে কিছু টাকা দিয়ে সরকারি বয়ান প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি বোঝা যায়। ২০১৩সালে হেফাজতের ওপর সরকারি বলপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর আক্রমণের প্রতিবাদে  মূলধারার মানুষজনকে নামতে দেখা যায় নি। কিন্তু এবার হেফাজত খুব অল্প সময়ের প্রতিক্রিয়ায় দ্রুতই মূল ধারার আন্দোলনে নেমে পড়ে। তারা দ্রুতই অতীতের অভিমান ত্যাগ করে।   

৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার একজন শিক্ষক। আন্দোলনের শুরুতে ছিলেন বলে মনে হয় না। ছাত্রদের গায়ে হাত তোলার পর রাস্তায় নেমেছেন। একটা ভিডিও ক্লিপে তিনি বলছেন, "একটা স্বাধীন দেশে এতো ভয়ে বাঁচবো কেন? কী জন্য বলেন? চুপ থাকি বলেই এরা সাহস পায়। আমার ছাত্রের মুখ চেপে ধরার সাহস কে দিয়েছে আপনাদের?  আমার ছাত্রের গলা ধরার সাহস কে দেয় আপনাদের?  কতজনের জবান বন্ধ করবেন আপনারা? একজনের করবেন, দশজন দাঁড়াবো, দশজনের বন্ধ করলে হাজার মানুষ দাঁড়াবে। আঠারো কোটি বাঙালি নামবে। " বাস্তবে তাই হয়েছিলো।  চেহারায় কথায় আগুন ঠিকরে বের হচ্ছে। হিজাব পরা মুখমণ্ডলে প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে। এরকম ইনক্লুসিভ ( অন্তর্ভুক্তিমূলক) প্রতিবাদ এর নজির আগে চোখে পড়ে নি। 

৪. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। বাংলাদেশের শিক্ষিত শহরবাসী মধ্যবিত্ত মেয়েরা যেমন পোশাক পরে তেমন। লুজ শার্ট,  জিন্স আছে, ওড়না নেই। আন্দোলনের পর বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলছেন, "আমি নরম্যালি কখনো এতো বেশি সিকিউরড ফিল করি নাই, আমি ওই ভীড়ের মধ্যে থেকেও যতটা আমি নিরাপদ আমার মনে হয়েছে।" এটা আন্দোলনের লৈঙ্গিক নিরপেক্ষতার ইঙ্গিত দেয়। আরও আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় সরকারি বয়ানের অকার্যকারিতা। সরকারি বয়ান ছিলো এমন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছেড়ে গেলে আধুনিক জীবনচর্যায় অভ্যস্ত মেয়েরা কোথায় যাবে? ওদেরকে হিজাব পরতে বাধ্য করা হবে। মৌলবাদীরা ক্ষমতায় গেলে তারা ঘরে ঢুকে যেতে বাধ্য হবে। কিন্তু শায়ান বা এ-মেয়ে আওয়ামী বয়ানকে কানেই তুলে নি। এটা তাৎপর্যপূর্ণ।

৫. আন্দোলনের এক পর্যায়ে মা-বাবারা  অংশ নিতে শুরু করে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রী,  পরনে সালোয়ার কামিজ ওড়না। ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা চালানোর পর একটা বেসরকারি চ্যানেলকে  দেয়া সাক্ষাৎকারে মায়ের অংশগ্রহণ সম্পর্কে বলছেন, "মা-তো,  মা। সবার জন্য মায়া লাগে। সে-ও না প্রতি রাতে কাঁদতো যে এতোগুলো ছেলে কেন মারা হইছে। কী দোষ তাদের?  তো আমি না তাড়াহুড়া করে রেডি হলাম। যখন বের হবো আমার মা জাস্ট আমাকে ধরলো,  ধরে চিৎকার দিয়ে কান্না করে দিলো। জাস্ট এটাই বলতে ছিলো হয়তো আমি আমার মেয়ে ফেরত পাবো, সাথে দেশ ফেরত পাবো, নাইলে কিছু পাবো না। " এটাকে আমরা বলছি দেশপ্রেম।  সরকারি বয়ানে একটি পরিবারের দেশপ্রেমের একচেটিয়া মালিকানা দাবির বিপরীতে গণ রেজিস্ট্যান্স এ-ভাবেই গড়ে উঠেছে। 

৬. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। উচ্চারণে নোয়াখালীর টোন। বোঝা যায়, মফস্বল থেকে এসেছেন ঢাকায় পড়তে। হিজাব পরা।  বলছেন, "আমরা এখানে মাথায় কাফন নিয়া আসছি। ছাত্রীদেরকে বিভ্রান্ত করে হল ছাড়তে বাধ্য করতেছে কেন? আমরা হল ছাড়বো না, বলে দিছি। কালকে আমি একা শামসুন্নাহার থেকে আসছি।  ঘোষণা করি দিছি আমার বাপের কাছে আমার লাশ পাঠাইতে পারলে পাঠাইস। নইলে রাস্তায় পচুক। আমার আফসোস নাই।...এখন আর পিছনে যাওয়ার রাস্তা নাই। পেছনে পুলিশ, আর সামনে স্বাধীনতা। " এ-উচ্চারণে স্বতঃস্ফূর্ততা লক্ষ করার মতো।  মাথা নিচু করে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যুকে শ্রেয় মনে করেছে। ওর মনেও সরকারি বয়ানের ভয় আছে বলে মনে হয়নি।

আন্দোলনের এ-বৈশিষ্ট্য একটি অবাধ, গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। সে সমাজে বোরকা, হিজাব, টিপ, সিঁদুর, ওড়না, জিন্সের সহাবস্থান হবে। হিংসা ও ঘৃণার অবসান হবে। দয়া হবে মানব ধর্ম। সে সমাজ গড়ে তোলার দায়িত্ব এখন আমাদের সবার।

আমার ওয়ালে ঘুরে ফিরে এসেছে এমন ভিডিও ক্লিপগুলো আমি নিয়েছি। 'বাংলার বাঘিনী' নামে একটা ক্লিপে বেশ কজন মেয়ের প্রতিবাদের ভাষা প্রকাশ পেয়েছে।  কালো টিপ পরা ( টিপটা ভ্রূর দিকে সরে গেছে) মেয়েটি পুলিশকে জিজ্ঞেস করছে, 'ভাই আপনারা কি সবাই কোটার পুলিশ? ' আরেকটা মেয়ে। অ্যাপ্রন পরা, কেবল গলায় ঝোলানো কালো ওড়না দেখে বোঝা যায় নিয়ম রক্ষার জন্য পরেছে। মেডিকেলের ছাত্রী, মেয়েটি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলছে, "...কীভাবে সে রংপুরের ছেলেটাকে মারলো? সে এরকম করলো, তাকে গুলি মেরে দিলো? তার তো বিশ্বাস আছে পুলিশ তাকে মারবে না। তাকে মেরে দিলো? কীভাবে? হাউ? হাউ ডেয়ার দে আর? এরকম জায়গায় আমি বাঁচতে চাই না। মেরে ফেলুক আমাকে। 

পৃথিবীর কোনো দেশে বাঙালি আর চাকরিও পাইতেছে না। 'কম গণতন্ত্র, অধিক উন্নয়ন' এ-বয়ান মাঠে মারা গেছে মেয়েটির উচ্চস্বরে। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়ে একা পুলিশের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে গেলো, ' আমার ভাইকে নিয়ে যেতে দেবো না'। মনে হয়েছে আপন ভাই। পরে জানতে পেরেছি ওরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিনিয়র জুনিয়র অনেকে এসেছে আন্দোলনে অংশ নিতে। এদের মধ্যে সিনিয়র একটা ছেলেকে ধরেছে পুলিশ। মেয়েটা এক রুখে দাঁড়িয়েছে। বেশকটি স্কুল কলেজের নারী অধ্যক্ষ / নারী শিক্ষক বাচ্চাদের বাঁচাতে নিজেদের প্রাণের মায়া করেননি। বলপ্রয়োগকারী সংগঠনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। 

এ-সব নমুনা থেকে বোঝা যায়, গত পনেরো/ ষোলো বছরের সরকারি বয়ান অকার্যকর হয়ে গেছে প্রবল প্রতিরোধে। মেয়েরা যাবতীয় আশঙ্কা, প্রচার, সরকারি পাঠ্য বইয়ে সতর্কতা, ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা তুচ্ছ করে এগিয়ে এসেছে। আন্দোলনের এ-বৈশিষ্ট্য একটি অবাধ, গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। সে সমাজে বোরকা, হিজাব, টিপ, সিঁদুর, ওড়না, জিন্সের সহাবস্থান হবে। হিংসা ও ঘৃণার অবসান হবে। দয়া হবে মানব ধর্ম। সে সমাজ গড়ে তোলার দায়িত্ব এখন আমাদের সবার।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago