প্রতিবেশী দেশ থেকে গুজরাটে যাওয়া অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত

প্রতীকী ছবি

পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে গুজরাটে যাওয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।

বর্তমানে তারা ভারতের নাগরিকত্ব আইন-১৯৫৫ এর অধীনে পশ্চিম ভারতের গুজরাট রাজ্যের দুইটি জেলায় বসবাস করছেন। ভারত সরকার নাগরিকত্ব আইন-১৯৫৫ এর অধীনে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিন্ধান্ত নিয়েছে।

প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ভারতে যাওয়া মুসলিম ভিন্ন ছয় ধর্মের মানুষদের নাগরিকত্ব দিতে ২০০৯ সালে বিতর্কিত একটি আইন পাস করেছিল ভারতের বিজেপি সরকার। ভারতের ভেতরে ও বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে বিজেপি সরকার আইনটি বস্তবায়ন করেনি।

গুজরাটে আগামী ডিসেম্বর মাসে বিধানসভা নির্বাচন হবে। তার আগে নাগরিকত্ব দেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। টানা দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে গুজরাটে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজের রাজ্য এটি। তিনি ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

'বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিখার হয়ে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতে যাওয়া' হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের সুযোগ দেয় সিএএ। যদিও ২০১৯ সালে প্রণীত সিএএ-র অধীনের এখনো নিয়মগুলো ঠিক হয়নি। তাই এর অধীনে এখন পর্যন্ত কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৫-ধারার অধীনে গুজরাটের আনন্দ ও মেহসানা জেলায় বসবাসকারী হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিষ্টানদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে নিবন্ধনের অনুমতি দেওয়া হবে; অথবা নাগরিকত্ব আইন-১৯৫৫ এর ৬-ধারার অধীনে এবং ২০০৯ সালের নাগরিকত্ব বিধিমালার বিধান অনুযায়ী তাদের স্বাভাবিকীকরণের সনদ দেওয়া হবে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পার্লামেন্টে পাস হওয়ার পর সিএএ নিয়ে ভারতের বিভিন্ন অংশে সহিংসতার ঘটনা ঘটে এবং বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এতে সম্মতি দেন। তখনকার বিক্ষোভে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

4h ago