পাকিস্তানের সঙ্গে ‘খেলা-না খেলা’ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত সরকার

আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টের ব্যাপারে ভারত সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নতুন একটি নীতিমালা প্রকাশ করেছে। সেখানে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে না ভারত। তবে বহুজাতিক আসরের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা চালিয়ে যাবে ভারত।
নীতিমালাটি ক্রিকেটসহ সব ধরনের খেলার জন্যই প্রযোজ্য। আর তা এসেছে আগামী সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (মূল আয়োজক ভারত) অনুষ্ঠেয় ছেলেদের টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে অনুষ্ঠেয় মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে। দুটি প্রতিযোগিতাতেই পাকিস্তান অংশগ্রহণ করবে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত নতুন নীতিমালায় দ্বিপাক্ষিক ক্রীড়া আসর নিয়ে বলা হয়েছে, 'যেখানে একে অপরের দেশে দ্বিপাক্ষিক ক্রীড়া ইভেন্টের বিষয় রয়েছে, সেখানে ভারতীয় দলগুলো পাকিস্তানে গিয়ে অংশগ্রহণ করবে না। পাকিস্তানি দলগুলোকেও ভারতে এসে খেলার অনুমতি দেওয়া হবে না।'
অন্যদিকে, বহুজাতিক ক্রীড়া আসর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, 'এটি প্রাসঙ্গিক যে, ভারত আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্ট আয়োজনের একটি বিশ্বাসযোগ্য ভেন্যু হিসেবে পরিচিত। সেকারণে পাকিস্তানি দল বা খেলোয়াড়রা অংশ নিচ্ছে, এমন আন্তর্জাতিক আসরে ভারতীয় দল ও খেলোয়াড়রাও অংশ নেবে। একইসঙ্গে, ভারতে আয়োজিত বহুজাতিক ক্রীড়া ইভেন্টে পাকিস্তানি দল ও খেলোয়াড়রা অংশ নিতে পারবে।'
রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অতীতের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের জেরে সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের ক্রীড়াগত সম্পর্ক বর্জনের দাবি উঠেছে ভারতে। তার মধ্যেই দেশটির যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ফলে আসন্ন এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে তৈরি হওয়া শঙ্কা কেটে গেছে। একই গ্রুপে পড়ায় আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে মুখোমুখি হবে।
নতুন এই নীতিমালা মূলত ভারতের দীর্ঘদিনের অবস্থানকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। কারণ, ২০১২ সালের পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ খেলেনি তারা এবং শুধু আইসিসি ও এসিসি আয়োজিত বহুজাতিক প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হয়ে থাকে দুই দল।
আগামী ২০৩৬ সালের অলিম্পিকসের আয়োজক হওয়ার দৌড়ে আছে ভারত। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে নীতিমালায় বলা হয়েছে, 'আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্ট আয়োজনের জন্য ভারতকে একটি পছন্দের জায়গা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ক্রীড়াবিদ, কর্মকর্তা, কারিগরি কর্মী ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থার সদস্যদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হবে।'
Comments