ভারতের ছত্তিশগড়ে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ১৩ মাওবাদী নিহত

এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ‘নকশাল’ নামেও পরিচিত। তাদের দাবি, তারা পল্লী অঞ্চলের বাসিন্দাদের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করছে। ১৯৬৭ সাল থেকে এই বিদ্রোহী সংগঠন গেরিলা হামলা অব্যাহত রেখেছে।
মাওবাদীদের প্রশিক্ষণের দৃশ্য। ফাইল ছবি: স্টেটসম্যান
মাওবাদীদের প্রশিক্ষণের দৃশ্য। ফাইল ছবি: স্টেটসম্যান

ভারতে পুলিশের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। দীর্ঘসময় ধরে চলা এই সংঘাতে এ বছরই ৫০ জন বিদ্রোহী নিহত হলেন।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

পুলিশ জানিয়েছে, ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের বিজাপুর জেলার এক দুর্গম জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মাওবাদীদের বন্দুকযুদ্ধ হয়।

স্থানীয় পুলিশ প্রধান পি. সুন্দাররাজ জানান, কর্মকর্তারা এই অভিযান থেকে বিপুল পরিমাণ রাইফেল, মেশিন গান ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছেন।

সুন্দাররাজ বলেন, 'নিহত মাওবাদীদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি'। তিনি আরও জানান, নিহতদের মধ্যে তিন নারীও আছেন।

পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যে ৪৬ ও মহারাষ্ট্রে চার মাওবাদী নিহত হয়েছেন।

নিরাপত্তা বাহিনীর সংগে সংঘর্ষে নিহত মাওবাদী। ফাইল ছবি: স্টেটসম্যান
নিরাপত্তা বাহিনীর সংগে সংঘর্ষে নিহত মাওবাদী। ফাইল ছবি: স্টেটসম্যান

মাও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা 'লাল করিডর' নামে অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করেছে। এই অঞ্চলের মধ্যে ভারতের কেন্দ্র, দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের কিছু রাজ্য অন্তর্ভুক্ত হলেও ধীরে ধীরে এই এলাকার পরিমাণ কমেছে। ভারত সরকার মাওবাদীদের দমনে এসব এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর হাজারো সদস্য মোতায়েন করেছে।

এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা 'নকশাল' নামেও পরিচিত। তাদের দাবি, তারা পল্লী অঞ্চলের বাসিন্দাদের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করছে। ১৯৬৭ সাল থেকে এই বিদ্রোহী সংগঠন গেরিলা হামলা অব্যাহত রেখেছে।

এসব দুর্গম অঞ্চলে অবকাঠামো নির্মাণে কেন্দ্রীয় সরকার লাখো ডলার বিনিয়োগ করেছে। তাদের দাবি, ২০১০ সালে ৯৬ জেলায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দৌরাত্ম থাকলেও এখন ২০২৩ সালে এসে তা ৪৫ জেলায় ঠেকেছে।

সরকারী তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে নিহত বিদ্রোহীর সংখ্যাও দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি কমেছে।

আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ভারতের ছয় সপ্তাহব্যাপী লোকসভা নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে।

Comments