নাইডু-নীতীশের লিখিত সমর্থন পেলেন মোদি

এনডিএ জোটের মিটিংয়ে নরেন্দ্র মোদি, নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডু। ছবি: সংগৃহীত

লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর আজ বুধবার বিকেলে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএর শরিক দলগুলোর বৈঠক শেষ হয়েছে।

৫৪৩ আসনের ভোটের ফলাফলে বিজেপি ২৭২ আসন না পাওয়ায় এককভাবে সরকার গঠন করতে পারছে না ক্ষমতাসীন দলটি।

তবে বিজেপিকে সমর্থন দিয়ে সরকার গঠনের পথ সহজ করে দিয়েছে বিহারের জনতা দলের (জেডি-ইউনাইটেড) প্রধান নীতীশ কুমার ও অন্ধ্র প্রদেশের তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু।

নাইডু ও নীতীশের কাছ থেকে নরেন্দ্র মোদি লিখিত সমর্থন পেয়েছেন বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এদিকে,কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলোর জোট ইনডিয়ার নেতারাও বৈঠকে বসেছেন দিল্লিতে। 

কংগ্রেস জোটের বৈঠকে রাহুল গান্ধী ও অখিলেশ যাদব। ছবি: সংগৃহীত

টিডিপি ও জেডি-ইউ এর ২৮টি আসন এনডিএর সরকার গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মঙ্গলবার রাতে এক ভাষণে টিডিপি ও জেডি-ইউ নেতাদের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন মোদি।

আজ বিকেলে মোদির বাসভবনে এনডিএর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডা।

বৈঠকের বিস্তারিত জানা না গেলেও সূত্র জানায়, চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতীশ কুমার তাদের নিজ রাজ্যের জন্য বিশেষ মর্যাদা, কয়েকটি মন্ত্রিত্বসহ বেশ কিছু 'দাবি' উত্থাপন করেন।

২৯৩ আসনে লাভ করা এনডিএ জোটের নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকে নির্বাচিত করা হয়েছে এবং আগামী শনিবার তিনি শপথ নিতে পারেন।

এদিকে নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গের বাসভবনে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলোর জোট ইনডিয়ার নেতারাও বৈঠকে বসেছেন। 

দলের নেতা রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বৈঠকে উপস্থিত আছেন।

এছাড়া, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, রাম গোপাল যাদব খার্গের বাড়িতে পৌঁছেছেন।

এনসিপি-এসপি প্রধান শারদ পাওয়ার, বারামতির এমপি সুপ্রিয়া সুলে, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং, জেএমএমের কল্পনা সোরেন, তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক ব্যানার্জি বৈঠকে উপস্থিত আছেন বলে জানা গেছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Panic grips NBR officials

The relief that followed the end of a disruptive strike by tax officials at the National Board of Revenue has quickly given way to anxiety and regret, as the government started a clampdown on those involved.

13h ago