জুনে জাপানে চলতি হিসাবে ঘাটতি ৯৮০ মিলিয়ন ডলার

করোনাভাইরাসের মন্দার পর জাপানের অর্থনীতিতে গতি ফিরে আসছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাসের মন্দার পর জাপানের অর্থনীতিতে গতি ফিরে আসছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স

গত ৫ মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো জাপানের চলতি হিসাবে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

সরকারের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, জাপানে পণ্য রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেড়েছে। জ্বালানি ও কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়াকে এই ঘাটতির মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিশ্লেষকরা।

সরকারি তথ্য মতে, গত জুনের শেষে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি জাপানে চলতি হিসাবের ঘাটতি ছিল ১৩২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইয়েন (৯৮০ মিলিয়ন ডলার)।

তেল ও কয়লার মতো জ্বালানির উৎসগুলোর দাম বাড়তে থাকায় জাপানে আমদানির খরচ বেড়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে।

এক বছর আগের তুলনায় আমদানির বিল ৪৯ শতাংশ বেড়েছে। খনিজ তেল ও ইস্পাত রপ্তানি বেড়ে সার্বিকভাবে রপ্তানির পরিমাণ ২০ শতাংশ বাড়লেও তা আমদানির তুলনায় খুবই কম।

টোকিওর একটি বাণিজ্যিক বন্দর। ফাইল ছবি: রয়টার্স
টোকিওর একটি বাণিজ্যিক বন্দর। ফাইল ছবি: রয়টার্স

চলতি হিসাবের তথ্য জাপানের অর্থনৈতিক কাঠামোর পরিবর্তনকে সবার সামনে তুলে ধরেছে। বর্তমানে দেশটি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) ও পোর্টফোলিও বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। ফলে বেশিরভাগ অংশীদারের সঙ্গে জাপানের বাণিজ্যিক ভারসাম্য রয়েছে।

গত মার্চ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, জাপানে চলতি হিসাবের উদ্বৃত্ত পরিমাণ টানা ৪ বছর ধরে কমছে।

ডলারের বিপরীতে ইয়েনের দরপতন আমদানির খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে।

এছাড়াও, বেশিরভাগ রপ্তানিকারকের উৎপাদন অবকাঠামো অন্যান্য দেশে সরিয়ে নেওয়ার প্রবণতার কারণে রপ্তানির ক্ষেত্রেও খুব একটা সুবিধা পাচ্ছে না দেশটি।

 

Comments

The Daily Star  | English

NBR officials end strike after govt warning

Following a stern government warning and mounting pressure from the country’s top business leaders, officials of the National Board of Revenue have withdrawn their shutdown.

7h ago