দুই জাপানি সামরিক হেলিকপ্টারের মুখোমুখি সংঘর্ষ

জাপানের একটি যুদ্ধজাহাজে এসএইচ-৬০কে হেলিকপ্টার। ফাইল ছবি: এএফপি
জাপানের একটি যুদ্ধজাহাজে এসএইচ-৬০কে হেলিকপ্টার। ফাইল ছবি: এএফপি

দুইটি জাপানি সামরিক হেলিকপ্টারের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল রাতের এই দুর্ঘটনায় উভয় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে সমুদ্রে পড়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান। 

আজ রোববার এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।

নিহতের পাশাপাশি অপর সাত ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।

জাপানের সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সের (এসডিএফ) মুখপাত্র শনিবার রাতের শেষভাগে এএফপিকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হলেও তাকে পরবর্তীতে মৃত ঘোষণা করা হয়।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিনোরু কিহারা জানান, উদ্ধারকর্মীরা সমুদ্রে একটি হেলিকপ্টারের অংশবিশেষ চিহ্নিত করেছেন।

'আমাদের বিশ্বাস, আকাশে দুইটি হেলিকপ্টারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল', যোগ করেন তিনি।

কিহারা সাংবাদিকদের বলেন, 'এই মুহূর্তে দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি। প্রথমত আমরা যাত্রীদের জীবন বাঁচানোর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবো।'

কর্মকর্তারা জানান, প্রশান্ত মহাসাগরের ইজু দ্বীপের কাছে রাত্রিকালীন সাবমেরিন হামলা মোকাবিলার মহড়ার সময় হেলিকপ্টার দুইটি দুর্ঘটনার শিকার হয়।

এসডিএফের নৌ সংস্থার (এমএসডিএফ) চিফ অফ স্টাফ রিউ সাকাই বলেন, 'ফ্লাইট রেকর্ডারগুলো বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।'

কর্মকর্তারা তৃতীয় একটি হেলিকপ্টারের ক্রুদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এই হেলিকপ্টারটি মহড়ায় যোগ দিতে যাচ্ছিল, কিন্তু দুর্ঘটনার সঙ্গে তাদের কোন সংযুক্তি নেই।

স্থানীয় সময় রাত ১০টা বেছে ৩৮ মিনিটে তোরিশিমা দ্বীপের কাছে একটি হেলিকপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এক মিনিট পর হেলিকপ্টার থেকে একটি জরুরি সংকেত পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে এনএইচকে।

প্রায় ২৫ মিনিট পর (রাত ১১টা বেজে ৪ মিনিট), সামরিক বাহিনী অপর হেলিকপ্টারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে যেয়ে ব্যর্থ হয়।

মূলত ডেস্ট্রয়ার জাহাজ থেকে মিতশুবিশি এসএইচ-৬০কে হেলিকপ্টারগুলো পরিচালনা করা হত।

এমএসডিএফ বলেছে, এই দুই হেলিকপ্টারের আশেপাশে অন্য কোনো আকাশযান বা নৌযান ছিল না। যার ফলে এ ঘটনার সঙ্গে ভিন্ন কোনো দেশের যোগসূত্র থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

5h ago