ইন্দোনেশিয়ার থানায় 'আত্মঘাতী' হামলায় নিহত ২

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশের একটি থানায় আত্মঘাতী হামলায় ২ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন।
বানদুং এর আসতানা আনিয়ার থানার বাইরে পুলিশ প্রহরা দিচ্ছে। ছবি: রয়টার্স
বানদুং এর আসতানা আনিয়ার থানার বাইরে পুলিশ প্রহরা দিচ্ছে। ছবি: রয়টার্স

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশের একটি থানায় আত্মঘাতী হামলায় ২ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন।

আজ বুধবার বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

বানদুং থানার প্রধান আসউইন সিপাইউং স্থানীয় মেট্রো টিভিকে জানান, আজ বুধবার সকাল প্রায় ৮টা বেজে ২০ মিনিটের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে।

বানদুং থানার প্রধান আসউইন সিপাইউং জানান, হামলাকারী ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেল নিয়ে থানায় প্রবেশ করেন এবং বিস্ফোরকের বিস্ফোরণ ঘটান। সে সময় পুলিশের সদস্যরা সকাল বেলার সমাবেশে অংশ নিচ্ছিলেন।

ঘটনাস্থলেই এক পুলিশ কর্মকর্তা মারা যান। আহত ৬ পুলিশ কর্মকর্তা ও ১ বেসামরিক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানান পশ্চিম জাভা পুলিশের মুখপাত্র ইব্রাহিম টমপো। 

বিস্ফোরণে হামলাকারীও নিহত হন।

পশ্চিম জাভা পুলিশের প্রধান সান্তানা জানান, হামলাকারীর সঙ্গে ২টি বোমা ছিল, তবে একটি বিস্ফোরিত হয়নি। এটিকে ইতোমধ্যে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

সান্তানা (উনি কোনো শেষ নাম ব্যবহার করেন না) আরও জানান, হামলাকারীর মোটরসাইকেলে টেপ দিয়ে একটি কাগজ আটকানো ছিল। সেখানে লেখা, 'ফৌজদারি আইন হচ্ছে বিধর্মীদের আইন। আসুন আমরা শয়তানের পক্ষে নেওয়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করি।'

উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্টে গতকাল মঙ্গলবার নতুন একটি ফৌজদারি দণ্ডবিধি পাস হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্ককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রেসিডেন্ট ও রাষ্ট্রীয় সংস্থার অবমাননার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান চালু হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বালিতে ২০০২ সালে বোমা হামলায় ২০২ ব্যক্তি নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন বিদেশী পর্যটক। সে সময় থেকেই দেশটিতে জঙ্গি হামলা অব্যাহত রয়েছে।

 

Comments