ইরান সীমান্তে জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের ৪ সেনা নিহত

পাকিস্তান ও ইরানের মাঝে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ছবি: রয়টার্স
পাকিস্তান ও ইরানের মাঝে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ইরান থেকে আসা জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ৪ সদস্যকে হত্যা করেছে।

গতকাল শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

শনিবার প্রকাশিত পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতি মতে, হামলার সময় মৃত সেনাসদস্যরা বেলুচিস্তান প্রদেশের কেচ জেলার জালগাই সেক্টরে ইরান-পাকিস্তান সীমান্তে নিয়মিত টহলে অংশ নিচ্ছিলেন।

কোনো পক্ষ তাৎক্ষনিক ভাবে এ হামলার দায় নেয়নি।

তবে সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'পাকিস্তান-ইরান সীমান্তে নিয়মিত টহলে নিয়োজিত পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর ইরান থেকে আসা ১টি জঙ্গি দল হামলা চালায়'।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে ইরান থেকে আসা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইরান পক্ষের সঙ্গে যথাযথ যোগাযোগ স্থাপন করা হচ্ছে'।

মৃত সেনা সদস্যরা হলেন শের আহমেদ, মুহাম্মদ আসগর, মুহাম্মদ ইরফান ও আব্দুর রশিদ।

পাকিস্তান ও ইরানের মাঝে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। অতীতে এই সীমান্ত জুড়ে একাধিক নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।

এ অঞ্চলে (সীমান্তের উভয় পাশে) বেলুচ জাতীয়তাবাদী বিদ্রোহী সংগঠনগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তাদের দাবী, তারা তাদের প্রাপ্য আঞ্চলিক খনিজ ও অন্যান্য সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করার জন্য সংগ্রাম করছে।

জানুয়ারিতে অপর এক ঘটনায় বেলুচিস্তান সীমান্তে ৪ নিরাপত্তা কর্মকর্তার হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। সে সময় তিনি বলেন, 'আমরা আশা করি ইরান নিশ্চিত করবে যে তাদের দেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে কেউ আন্তঃসীমান্ত হামলা চালাবে না'।

জানুয়ারিতে বেলুচিস্তান প্রদেশের বোলান জেলায় ১টি যাত্রীবাহী ট্রেনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছিলেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

EU lists Bangladesh among 7 'safe' countries, tightening asylum rules

The move, criticised by rights groups, is set to allow EU governments to process asylum applications filed from citizens of those countries more quickly

10h ago