পাকিস্তানের উপনির্বাচনে ৩৩ আসনে লড়বেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান
পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির খালি হয়ে যাওয়া ৩৩ আসনের উপনির্বাচনে সবগুলো আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
গতকাল রোববার পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম জিও টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের ভাইস-চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশী রোববার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দলের মূল কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোরেশি তার বক্তব্যে আরও বলেন, '১৬ মার্চ জাতি একটি সুস্পষ্ট বার্তা দেবে এবং তা হল, তারা ইমরান খানের নেতৃত্বের ওপর পুরোপুরি ভরসা রাখে এবং তারা পিটিআইর পাশেই আছে। যে গোষ্ঠীকে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে তারা উচ্চকণ্ঠে আপত্তি জানাবে'।
আগামী ১৬ মার্চ এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগে পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনো রাজনীতিক একসঙ্গে এতগুলো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।
এই উদ্যোগে ক্ষমতাসীন জোটের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং ইমরান খান যদি বেশিরভাগ আসনে জয়ী হন, তবে তা পিটিআইর জনপ্রিয়তা ও সরকারের দুর্বলতাকে আরও বড় আকারে প্রকাশ করবে বলে ভাবছেন বিশ্লেষকরা। এছাড়াও, ইতিবাচক ফল পেলে আগামী ৩ মাসের মধ্যে পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনওয়ালায় অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনেও সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবেন ইমরান ও তার দল।
এ মুহূর্তে সরকার বেশ চাপের মুখে আছে। মূল্যস্ফীতির পরিমাণ আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার কর্মসূচীও স্থগিত রয়েছে।
পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির আসনগুলো এ মাসের শুরুতে খালি হয়। স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ পিটিআইর আইনপ্রণেতা ও আওয়ামী মুসলিম লীগের (এএমএল) প্রধান শেখ রশিদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন।
ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে উৎখাত করার পর গত বছরের এপ্রিলে পিটিআইর সদস্যরা গণহারে পদত্যাগ করলেও মাত্র ১১ জনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। পরবর্তীতে পিটিআইর আইনপ্রণেতারা অ্যাসেম্বলিতে ফেরার উদ্যোগ নিলে স্পিকার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা শুরু করেন। অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে তিনি উল্লেখিত ৩৩ আসন ছাড়াও আরও ১১৩ জন আইনপ্রণেতার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন।
গত বছরের অক্টোবরে ইমরান খান নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে অপর এক উপনির্বাচনে ৬ আসনে জয়ী হন।
Comments