মিয়ানমারের রাজধানীতে ড্রোন হামলা, ভূপাতিত ৭টি ড্রোন

সম্প্রতি মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। ফাইল ছবি: এএফপি
সম্প্রতি মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। ফাইল ছবি: এএফপি

মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রাজধানী নেপিডোর আকাশে ধেয়ে আসা সাতটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার দেশটির ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

২০২১ সালে সামরিক বাহিনী অং সান সুচির গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে নিজেরা শাসনভার গ্রহণ করে। এরপর থেকেই দেশটিতে সরকারী বাহিনীর সঙ্গে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের প্রতিনিধিত্বকারী সশস্ত্র সংগঠনের সংঘর্ষ চলছে। সঙ্গে রয়েছে গণতন্ত্রের স্বপক্ষের বাহিনী 'পিপলস ডিফেন্স ফোর্স' (পিডিএফ)।

নেপিডো বিমানবন্দরের দিকে চার ড্রোন ও জায়াথিরি টাউনশিপের দিকে তিনটি ড্রোন এগিয়ে আসে। জান্তার তথ্য বিভাগ জানিয়েছে, 'এই ড্রোনগুলোকে সফলভাবে ভূপাতিত ও ধ্বংস করা হয়েছে।'

তারা জানায়, এই হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহত নেই।

এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানিয়েছে, একটি ড্রোনের সঙ্গে বোমা সংযুক্ত ছিল। এই বোমাটিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

এ অঞ্চলে মোতায়েন করা পিডিএফের সদস্যদের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছে, তারা নেপিডোর সামরিক লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য পিডিএফের সঙ্গে যোগাযোগ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে এএফপি।

সামরিক জান্তার সঙ্গে অস্ত্র ও সেনার সংখ্যায় পেরে না উঠে ভিন্নধর্মী কৌশল ব্যবহার করছে প্রতিপক্ষরা। তারা এখন বোমা বহনে সক্ষম বাণিজ্যিক ড্রোন ব্যবহার করছে। এই ড্রোনগুলো সামরিক বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে হামলা চালিয়ে বড় ক্ষয়ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম হয়েছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে 'বোমা নিক্ষেপ' হামলায় মিয়ানমারের বিভিন্ন অংশে জান্তার সেনারা তাদের সুরক্ষিত অবস্থানগুলো থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলো আক্রান্ত হয়েছে এবং চীনের সীমান্তের কাছে একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিহত হয়েছেন।

সামরিক বাহিনীর নকশা ও পরিকল্পনা মেনে নির্মিত নেপিডো অত্যন্ত সুরক্ষিত। এ শহরে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ও সরকারী কর্মকর্তারা বসবাস করেন।

আশেপাশের এলাকাগুলো নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকায় নেপিডোর কাছাকাছি হামলার ঘটনা খুবই বিরল।

Comments

The Daily Star  | English
National election

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

9h ago